মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি
আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজ আপনাদের সাথে অন্যরকম ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে এসেছি। আমার কাছে এখন ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে অনেক ভালো লাগে। তার জন্য প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি শেয়ার করা হয়। ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে আরও বেশি ভালো লাগে। তারজন্য সবসময় চেষ্টা করি আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে ভিন্নতা আনার জন্য। আজকে কতগুলো মাটির তৈরি ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকের প্রতিটা ফটোগ্রাফি মেলা থেকে তুলা। আমাদের এখানে অনেক দিন ধরে মেলা হচ্ছে আর গতকাল তা শেষও হয়ে গিয়েছে।
মেলায় গেলে মাটির তৈরি অনেক ধরনের জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে মাটি দিয়ে বানানো ফলগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। এই ফলগুলো ঝুড়ি ভরে টেবিলের উপর সাজিয়ে রাখলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আমার মা একবার আমার বড় ভাইয়ার স্কুলে ড্রয়িং এর জন্য খুব সুন্দর একটি মাটির আম বানিয়ে দিয়েছিল আর আমার ভাইয়া সেই প্রতিযোগিতায় ফাস্ট হয়েছিল। আমি ছোটবেলায় মানুষের টেবিলে এই ফলগুলো সাজিয়ে রাখা দেখে ভাবতাম এগুলা বাস্তবের ফল। কিন্তু যখন মা বানিয়েছিল তখন থেকে বুঝতে পারি এগুলো মাটির তৈরি।
মেলায় গিয়ে এত সুন্দর ফল দেখে চুপ করে থাকতে পারিনি তাই চেষ্টা করি সুন্দর ভাবে ক্যামেরা বন্দি করার। আমরা এমন একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছি যেখানে সবারই ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছে জাগে। তবে সুন্দর কিছু দেখলে এখন ফটোগ্রাফি করে সবার সাথে শেয়ার করে নিতে অনেক ভালো লাগে। তারজন্য ভালো কিছু পেলেই ফটোগ্রাফি করার নেশা জাগে। আপনাদের মতো এত ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারি কিনা জানিনা তবে চেষ্টার কোনো ক্রটি রাখি না। যাই হোক তাহলে চলুন আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেই।
মাটির তৈরি পেঁপে
প্রথমে আপনাদের দেখাবো মাটির তৈরি পেঁপের ফটোগ্রাফি। আপনি যদি দূর থেকে দেখেন তাহলে ভাববেন বাস্তবের পেঁপে রেখে দিয়েছে। কিন্তু কাছে গেলেও না ধরা পর্যন্ত এতটা বুঝা যায় না। আমার কাছে মাটির তৈরি এই পেঁপে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পেঁপের উপরে কত সুন্দর ভাবে কালার দিয়ে ফিনিশিং দিয়েছে।
📸 মাটির তৈরি পেঁয়ারা 📸
এবার দেখাবো মাটির তৈরি পেঁয়ারার ফটোগ্রাফি। এই পেঁয়ারা দেখতে আরও বেশি সুন্দর। পেঁয়ারার অরজিনাল কালার ব্যবহার করাতে দেখতে এত চমৎকার লাগছে। এই ফলগুলো দেখে। বুঝার কোনো উপায় নেই যে এগুলো মাটির তৈরি। আমাদের দেশের মৃৎশিল্প সত্যি অসাধারণ। তাদের হাতের নিপুন কাজগুলো আমাদেরকে মুগ্ধ করে।
📸মাটির তৈরি জামরুল 📸
এবার আপনাদের দেখাবো মাটির তৈরি জামরুল ফলের ফটোগ্রাফি। জামরুলের নিচের যে কালার তা খুব সুন্দর ভাবে তুটিয়ে তুলেছে। প্রতিটা ফলের এত সুন্দর ভাবে কালার করেছেন যা দেখে মুগ্ধ হবারই কথা। আমি এই একটা ফল একদমই খেতে পারিনা তবে এই ফল গাছের মধ্যে ঝুলে থাকতে দেখতে বেশ ভালো লাগে।
📸 মাটির তৈরি ডালিম 📸
এবার দেখাবো মাটির তৈরি কাঁচা ডালিম ফলের ফটোগ্রাফি। এই ফলটাও দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এর কালার খুবই সুন্দর হয়েছে। সবুজ আর হলুদ কালার দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ডালিম ফলকে সাজানো হয়েছে। মনে হচ্ছে যেন মাত্র কাঁচা ডালিম পেড়ে আনা হয়েছে। মাটি দিয়ে এত সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায় এগুলো না দেখলে বোঝা যেতো না।
📸 মাটির তৈরি টমেটো 📸
এবার দেখাবো মাটির তৈরি টমেটোর ফটোগ্রাফি। টমেটো গুলো দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। হলুদ কালার দেওয়াতে একটু ভিন্ন ধরনের মনে হচ্ছে। একদম কাছ থেকে দেখলে আরও বেশি সুন্দর লাগে।
📸মাটির তৈরি মাল্টা📸
এবার দেখাবো মাটির তৈরি মাল্টার ফটোগ্রাফি। এই ফল দেখে তো একদম অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এর কালার এত সুন্দর হয়েছে যা দেখে সত্যি সত্যি বাস্তবের মতোই লাগছিল। মাল্টার শেপ খুব সুন্দর হয়েছে। আমি মাল্টা খেতে খুবই পছন্দ করি। আমার ছেলের জন্য রাখতে পারবো না বলে কেনা হয়নি।
📸 মাটির তৈরি কমলা📸
সবশেষে দেখাবো মাটির তৈরি কমলার ফটোগ্রাফি। এত সুন্দর কমলা দেখে ইচ্ছে করছিল সেখান থেকে নিয়ে খেয়ে নেই। কমলার কালার আরও বেশি সুন্দর হয়েছে। প্রতিটা ফল খুবই চমৎকার ছিল। আমি তো এত সুন্দর সুন্দর মাটির ফল দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। এই কাজগুলো দেখতে যতটা সহজ মনে হয় বানাতে ততটাই কঠিন।
এই হলো আমার আজকের মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি। আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্য করে জানাবেন। যাই হোক আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
পোস্টের বিবরণ
ডিভাইসের নাম vivo y16
ফটোগ্রাফার @tanjima
ক্যাটাগরি ফটোগ্রাফি
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
|| Join Heroism Discord Server for more Details ||
Posted using SteemPro Mobile
ডিভাইসের নাম | vivo y16 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
মাটির তৈরি এই জিনিস গুলো শুধুমাত্র এইরকম মেলাগুলোতেই পাওয়া যায়। ছোটবেলা মেলায় গিয়ে এগুলো কিনতাম। এগুলো যেমন খেলার সামগ্রী হতো একইভাবে এগুলোতে টাকাও জমিয়ে রাখা যেত। মাটির এই জিনিস গুলো অনেক দিন বাদে দেখলাম। বেশ চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাটির তৈরি জিনিসপত্র মেলাতেই বেশি পাওয়া যায়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিসের ফটোগ্রাফি করছেন।মাটির তৈরি জিনিস গুলো দেখতে দারুণ লাগে। আপনি চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করছেন আপু।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
আপু আমি তো যেখানেই ঘুরতে যাই শুধুই ছবি তুলি। কাল ফটোগ্রাফি করতে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। মেলায় কি আপনি দেখছি অনেক রকমের মাটির ফলের ছবি তুলেছেন যা দেখতে অসাধারণ লাগছে। খুব সুন্দরভাবে আমাদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এভাবে সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি আপনি করেছেন। শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় দশ টাকা ২০ টাকা জমিয়ে মাহফিল হলে আমরা মেলাতে গিয়ে ব্যাংকার কিনতাম। এর ভিতর টাকা জমিয়ে রাখতাম। কত সুন্দর ছিল শৈশবের মুহূর্তগুলি আর এখন সামনে টাকা পরেই থাকে আর ইচ্ছা করে না। মাটির তৈরি টমেটো অনেক সুন্দর ছিল এটা।মাটির তৈরি জামরুল, মাল্টা অনেক সুন্দর ছিল। বিশেষ করে আমার টমেটোটা অনেক ভালো লেগেছে ।আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
আসলে মাটির তৈরি ফলগুলো ঝুড়িতে সাজিয়ে টেবিলে রাখলে বেশ সুন্দর দেখায়। ছোটবেলায় আমিও বিভিন্ন জায়গায় ফল গুলো দেখে বাস্তবে মনে করতাম। এখনো মাঝেমধ্যে মেলায় এ ধরনের মাটির ফলগুলো দেখতে পাওয়া যায়। খুব সুন্দর মাটি র ফলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মেলাতে গিয়ে এই ধরনের জিনিস দেখতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে ভিন্ন একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে শেয়ার করেছেন মাটির তৈরি বিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফি। আসলে মাটির তৈরির ফলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। কারণ এমন পোস্ট এর আগে কখনো দেখি নাই এই ব্লগে। তাই আপনার এমন পোস্ট দেখে সত্যি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
মাটির তৈরি এমন ফল তো মেলা ছাড়া আর অন্য কোথাও পাওয়ার কথা নয়। সেই ছেলেবেলায় মাটির তৈরি এমন কত শত ফল দিয়ে খেলতাম। আবার এমন মাটির তৈরি ফলের ব্যাংক ও কিন্তু পাওয়া যেত। খুব যত্ন করে এসব জিনিস সংরক্ষন করে রাখতাম। আবার এগুলো দিয়ে খেলা করতাম। আর আজ আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে যেন কিছু সময় হারিয়ে গেলাম।
ঠিক বলেছেন আপু এই ধরনের জিনিস মেলা ছাড়া কোথাও পাওয়া যায় না। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু, মাটির তৈরি জিনিস দেখলেও ভালো লাগে। বিশেষ করে মেলায় গেলে মাটির তৈরি জিনিসগুলো দেখা যায়। ছোট বেলায় আম্মা দেখতাম মাটির চুলা বানাতো, এছাড়া মাটির হাড়িপাতিলও দেখতাম। এখন সেগুলো বিলুপ্ত বলা যায়। যাক, মেলায় গিয়ে দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন 😍
আমরা ছোটবেলায় যা দেখেছি বর্তমানের বাচ্চারা তার অর্ধেক ও দেখতে পাচ্ছেনা। এখন মাটির তৈরি জিনিসপত্র একদমই দেখা যায় না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কিছুদিন আগে আমি আর আমার বন্ধু ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমন করতে গিয়েছিলাম। ঠিক সেখানেই এভাবে দেখেছিলাম বিভিন্ন প্রকার মাটির ফল তৈরি সুন্দর সুন্দর দৃশ্যগুলো। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই ফলের ফটোগ্রাফি গুলো।
মেলা মানেই মাটির জিনিস থাকবে। তারজন্যই তো মেলার সৌন্দর্য ফুটে উঠে। ধন্যবাদ।
চমৎকার কিছু মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। সত্যিই আপু আমরাও যখন ছোট ছিলাম তখন আমার আম্মু মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে দিত। যেগুলো স্কুলে ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় দেখা হতো। তো অনেক সুন্দর করে তৈরি করতো আম্মু এগুলো ভালো হতো দেখতে। আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মাটির তৈরি কালারিং ফল গুলো দেখে আগের কথা মনে পড়ে গেল। সত্যিই অসাধারণ সুন্দর হয়েছে প্রতিটি ফটোগ্রাফি।
আপু সেই সময় আর কখনো ফিরে আসবে না। এখন সব কিছু শুধু স্মৃতির পাতায় জমা পড়ে রয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।