DIY- বিশেষ ক্রিসমাস সপ্তাহ "কটন বার দিয়ে ওয়ালমেট" ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য 🦊
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বাংলাদেশী ও ভারতীয় বন্ধুরা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। এই বিশেষ ক্রিসমাস সপ্তাহ উপলক্ষে আপনাদের সবার কাছে আমার নতুন আরও একটি ডাই নিয়ে চলে আসলাম। আজ আমার ওয়ালমেট বানানো দেখলে আপনারা চমকে যাবেন। কারণ এই জিনিসটি সবার ঘরে আছে কিন্তু তা দিয়ে যে ওয়ালমেট বানানো যায় তা আমিও আগে জানতাম না।
সবাই দেখি ইউনিক ভাবে ডাই করে দেয়। এজন্য আমারও ইচ্ছা হলো যে আমিও ইউনিক কিছু বানাবো। তখন কিছু কটন বার নিয়ে বসলাম তারপর মনের মাধুরী দিয়ে বানাতে থাকলাম কি বানাচ্ছি নিজেও জানিনা। যখন বানানো শেষ হয়ে গেলো তখন তাকিয়ে দেখি সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি হয়ে গেছে। দেখে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেলাম। কটন বার দিয়ে আমরা শুধু কান চুলকাই কিন্তু আর কোনো কাজে ব্যবহার করি না। তবে আমরা ইচ্ছা করলে এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়ালমেট তৈরি করতে পারি। আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার এই ওয়ালমেট ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১. কটন বার
২. গাম
৩. কাঁচি
৪. গোল বৃত্ত
৫. সুঁই সুতা
ধাপ ১
প্রথমে আমি কিছু কালারের কটন বার নেব । তারপরে এখান থেকে গোলাপী কলারের আট পিস কটন বার নিয়ে গাম দিয়ে চতুর্ভুজের মত করে বানিয়ে নেব। কেউ যদি আরও বড় বা বিভিন্ন কালার দিয়ে বানাতে চায় তাহলেও অনেক সুন্দর লাগবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা ঘর সাজানোর জন্য কি বানাবো কি দিয়ে বানাবো খুঁজে পাই না। তবে যদি এরকম কটন বার থাকে আর তা যে কোন কালারের হোক না কেন আমরা এটা দিয়ে খুব সহজেই ওয়ালমেট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারি। যেকোনো জায়গায় আমরা এটা ঝুলিয়ে রেখে দিতে পারব।
ধাপ ২
এরপর শুকানোর জন্য পাঁচ মিনিট রেখে দেবো। এভাবে করে আমি সবগুলো চতুর্ভুজ বানিয়ে নেব। এবার দেখেন সবগুলো চতুর্ভুজ বানানোর পরে কতটা সুন্দর লাগছে।আমরা ইচ্ছা করলে গাম দিয়ে এই চতুর্ভুজগুলো দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারি। তাহলে এটিও একটি ভিন্ন ধরনের ওয়ালমেট হয়ে যাবে। সবগুলো চতুর্ভুজ বানানোর পরে এটি দেখতে দারুণ লাগছে। এই ওয়ালমেট দিয়ে ঘর সাজালে খুবই সুন্দর লাগবে।
ধাপ ৩
এরপরে আমি কিছু কটন বারের মাঝখান বরাবর কেটে দু'টুকরো করে নেব। কারণ এগুলো আবার সুতার মধ্যে গেঁথে নিতে হবে। এগুলো দেখতে অনেকটা ফুলের মত লাগছে। কটন বার দিয়ে ওয়ালমেট খুবই সুন্দর লাগে। বিভিন্ন কালারের দিলে আসলে খুবই সুন্দর লাগে। আপনারা চাইলে আরও নানান ধরনের কালার দিতে পারেন।
ধাপ ৪
এবার আমি কটনবার দিয়ে যে চতুর্ভুজ বানিয়ে রেখেছিলাম তার থেকে একটি অংশ নিয়ে এক কোনায় সুতা বেঁধে নেব। আবার সবগুলো কোনায়ও সুতা বেঁধে নেওয়া যায়। এভাবে করে আগে আমি সবগুলো চতুর্ভুজের সুতা বেধে নেব।
ধাপ ৫
এরপরে সুতাসহ একটি চতুর্ভুজ নিয়ে এতে একটি একটি করে কটন বারের অর্ধেক অংশ লাগিয়ে নেব। এভাবে করে আমি সবগুলো লাগিয়ে নেব। এখানে হিসাব করে দেইনি আমার ইচ্ছামত দিয়েছি। আপনারা চাইলে গুনে গুনেও দিতে পারেন। আমি আমার আইডিয়া মতো প্রতিটি সুতায় কটনবাটের অর্ধেক অংশ লাগিয়ে নিয়েছি। প্রতিটি ধাপে কটন বারের এই ফুলগুলো যেন ফুটে উঠছে। খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।
ধাপ ৬
এখন আমি একটি গোল বৃত্ত নেব। এরপরে চতুর্ভুজের মধ্যে কটনবার লাগানো অংশটি বৃত্তের মধ্যে সুতা দিয়ে আটকে নেব। সুন্দর করে আটকাতে হবে যাতে খুলে না যায়। তাছাড়া পাশ দিয়ে সুতা বের করে এতে গাম লাগিয়ে নিলেও আটকে থাকবে। সমান ভাবে সম্পূর্ণ সাইডে সুন্দর করে লাগিয়ে নিতে হবে।
ধাপ ৭
এভাবে করে আমি বৃত্তের সম্পূর্ণ সাইডে সুতাগুলো লাগিয়ে নেব। এবার দেখেন লাগানো হয়ে গেলে কতটা সুন্দর লাগছে দেখতে। আমার ওয়ালমেট বানানোর অর্ধেক অংশ হয়ে গেছে। চতুর্ভুজ ঠিক জায়গায় লাগাতে হলে আমাদের উচিত ছোট ছোট ফোটা করে নেওয়া। করে আমরা সমানভাবে সবগুলো চতুর্ভুজ লাগে নিতে পারব তাহলে দেখতেও সুন্দর লাগবে।
শেষ ধাপ
এবার আমি উপরে যে সুতা গুলো ভেসে আছে এগুলোকে একটি কার্ডের মধ্যে আঠা দিয়ে আটকে নেব। এরপর বৃত্তের উপরে কিছু কটন বারের অর্ধেক অংশ নিয়ে গাম দিয়ে লাগিয়ে নেব। তারপর উপরের গাম শুকানোর জন্য পাঁচ মিনিট রেখে দেবো। তাহলে হয়ে যাবে আমাদের আজকের সুন্দর একটি ওয়ালমেট।
অবশেষে আমাদের সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আমার এই ওয়ালমেট আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। মাঝে মাঝে কিছু ছোট ছোট জিনিস দিয়ে নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করতে হয়।এভাবে আমরা ওয়ালমেট বানিয়ে আমাদের ঘরেকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে পারি। আমরা ইচ্ছা করলে বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে আমাদের সৃজনশীলতার প্রমান দিতে পারি।
যেহেতু "আমার বাংলা ব্লগে" আমরা আমাদের মনের ভাষা উজার করে লিখতে পারি সেজন্য আমাদের উচিত আমাদের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করে নিজের মতো করে সাজিয়ে লেখা। সবাইকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার নতুন আরেকটি ডাই পোস্টটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
কটন বার দিয়ে আপনি চমৎকার একটি ওয়াল মেট বানিয়েছেন খুবই সুন্দর লাগছে।বেশ গুছিয়ে ধাপ গুলো করেছেন শুভ কামনা রইলো
ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহ দেওয়ার জন্য। দোয়া করবেন সবসময়। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
কানের কটনবার দিয়ে এত সুন্দর করে যে ফুল তৈরি করা যায় সেটা আমি এই প্রথমবার দেখলাম। আমি তো মনে করেছিলাম যে এটা শুধুমাত্র কানেই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু না, ফুল তৈরি করা যায় সেটা দেখলাম।ধাপে ধাপে আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আসলে অসাধারণ হয়েছে আপু। আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া চেষ্টা করেছি এবং আমার কাছেও ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
কটন বাট দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি অসাধারণ হয়েছে।আপনার সম্পূর্ণ ক্রিটিভিটি প্রকাশ পেয়েছে এই কাজে মধ্যে দিয়ে। অনেক দক্ষতার সহিত একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ক্রিসমাস সপ্তাহে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস তৈরি দেখতে পেলাম। আপনি কটনবার দিয়ে খুব সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সময় নিয়ে তৈরি করেছেন। সে জন্যই ভালো হয়েছে। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার কমেন্টের জন্য।
অনেক ধরনের শোপিস বা ওয়ালমেট এই কমিউনিটিতে এখন পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি কিন্তু কটনবাড দিয়ে এধরনের কিছু এখনো আমার চোখে পড়েনি। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার এই শিল্পকর্ম। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমিও প্রথমবার চেষ্টা করেছি এবং আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্টের জন্য।
কটন বাট দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে। কটন বাড দিয়ে ওয়ালমেট আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার ওয়ালমেট তৈরির পদ্ধতির প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। অনেক সুন্দর একটি ওয়ালমেট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা ভাইয়া এবং আপনার এত সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
বিশেষ সপ্তাহ ক্রিসমাস ডে উপলক্ষে অসাধারণ একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন যা ছিল কাটন বার দিয়ে সত্যি দারুন লেগেছে আপনার ওয়ালমেট। এবং প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটি ওয়ালমেট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া সবসময় এভাবে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কটন বাড দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে। কটনবাট দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায় কখনো ভেবে দেখা হয়নি। আসলেই মানুষের নিত্য নতুন ব্যবহৃত জিনিস গুলো দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর আসবাবপত্র তৈরি করে সম্ভব। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কটন বাড দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ঠিক বলছেন আমাদের ব্যবহৃত জিনিস দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা সম্ভব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্টের জন্য।
কটন বাট দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে। কটনবাট দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায় কখনো ভেবে দেখা হয়নি।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।