ওয়াজ মাহফিলের পাশে ছোট মেলা।১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমার বাংলা পরিবারের সদস্যরা ,সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আমি আজ আবারও চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। একেক দিন একেক রকম পোস্ট করতে আর পড়তে আমার যেমন ভালো লাগে ঠিক তেমনি আপনাদের কাছেও এই বিষয় ভালো লাগে আমি জানি। আমরা সবসময় নতুনে অব্যস্থ আর পুরোনো জিনিস দেখতে কারো কাছেই ভালো লাগে না। পোস্টের নতুনত্ব আনার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট করা উচিত। তাহলেই বুঝা যাবে আপনি একজন বেস্ট ব্লগার। আমি জানিনা কতটুকু পারি পোস্টের নতুনত্ব ধরে রাখতে তবে চেষ্টা করি সবসময় নতুন নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যাই হোক কাজের কথায় আসি আজ আমি আপনাদের সাথে অন্যরকম একটি পোস্ট নিয়ে এসেছি। এবার বাড়িতে যাওয়ার পর আমাদের বাড়ির কাছেই ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।আমরা ছোট বেলায় ওয়াজ হলে খুব খুশি হতাম। তার অবশ্য কারণ আছে আর খুশি হওয়ার কারণ পেন্ডেলের পাশেই বড় করে মেলা বসতো। আমরা ছোট ছিলাম বলে সেই মেলায় যেতে কোনো বাঁধা ছিল না। আমরা মেলা থেকে খেলনা পাতি থেকে শুরু করে খাবারের অনেক জিনিস কিনে নিয়ে আসতাম।
বিশেষ করে জিলাপি খেতে বেশি ভালো লাগতো। এছাড়া আমরা হাতে রং দিয়ে বিভিন্ন ফুলের ডিজাইন করে নিয়ে আসতাম। আমার কাছে সেই সময়টা অনেক ভালো লাগতো। শৈশবের সেই সময়টা আর কখনো ফিরে আসবে না। সেই দিনগুলো আজ স্মৃতির পাতায় জমা পড়ে গিয়েছে। যখন পাতা উল্টাবো তখন দেখতে পাব কিন্তু কখনো সেই সময়ে ফিরে যেতে পারবো না। একটা প্রবাদ আছে"সময় আর নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আমরা সব কিছু ধরে রাখতে পারবো কিন্তু এই দুটো জিনিস কখনো ধরে রাখতে পারবো না।
সেই কথাটা আজ এই ওয়াজ মাহফিলের মেলার সাথে মিলে গিয়েছে। ছোট বেলায় সেই মেলায় যেতে বাঁধা ছিল না। কিন্তু এখন মেলায় যাওয়ার কথা বললে সবাই বলে বড় হয়ে গিয়েছো আর ছেলেও হয়েছে এখন আর সেই সময় নেই। আগে মেলায় গিয়ে নিজের জন্য খেলনা কিনে নিয়ে আসতাম আর এখন ছেলের জন্য নিয়ে আসতে হয়। সময়ের সাথে সব পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন যা কিছু কিনা হয় ছেলের জন্য আর মনে হয় এতেই যেন আনন্দ খুঁজে পাই।
আমার ছেলের জন্য এই মেলা হয়ে খুব ভালো হয়েছিল। আমাদের বাড়িতে মেয়ের সংখ্যা কম আর ছেলের সংখ্যা বেশি বলে তার মামার অভাব নেই। তারজন্য সব মামারা মিলে ওকে অনেক খেলনা কিনে দিয়েছিল। এত সব খেলনা পেয়ে সে তো মহা খুশি। কিন্তু আর মনে হয় কখনো ওয়াজ মাহফিলের সময় মেলা বসবে না। তার কারণ সেখানে সব ছেলে মানুষ থাকে আর মেয়েদের যাওয়া নিষেধ। কিন্তু এবার মেলায় কিছু অবিবাহিত মেয়ে গিয়ে সেখানে ঘুরাঘুরি করেছে। এতে কিছু সমস্যা হয়েছিল আর সেজন্য হুজুর ওয়াজ শুরু হওয়ার পর মেলা বসতে নিষেধ করে গিয়েছেন।
বর্তমান যুগ আবার বেশি ভালো নয়। ছেলেমেয়েরা একটু সুযোগ পেলেই অন্য পথে চলে যায়। আমার মনে হয় এভাবে মেলা না বসলেই ভালো হবে। এতে আর খারাপ কিছু হতে পারবে না। তবে আমার ছেলের জন্য এই ছোট মেলা খুব ভালো ছিল। আমিও এক ফাঁকে সেই মেলায় গিয়েছিলাম। কিছু খাবার কিনে দিয়েছিল আর বাড়িতে চলে আসলাম। যাই হোক আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম। এই পোস্ট পড়ে আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ছোট্টবেলা যখন মাহফিল শুনতে যেতাম তখন এত দোকানপাট দেখতে পেতাম না। বর্তমানে এমন এক পরিবেশ দাঁড়িয়েছে দোকানপাট বসে সেখানে যে পরিমাণ লোকের আগমন ঘটে মাহফিলে বক্তাদের বক্তৃতা শোনার লোক খুব কম সেই তুলনায়। সত্যিই এটা অনেক খারাপ দিক যাই হোক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আমাদের এদিকে আবার সব সময় অনেক বড় মেলার মতো বসে। তারজন্যই এবার থেকে নিষেধ করা হয়েছে আর কোনো সময় বসতে পারবে না। এটা সত্যি একটু খারাপ দিক।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
সত্যি আপু সময় আর নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। শৈশবের সেই দিনগুলো আর কখনো আমাদের জীবনে ফিরে আসবেনা। যাইহোক পোস্টের মাঝে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছি আমরা সবাই। তাই তো সবাই চেষ্টা করছি ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করার জন্য। আপনিও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন দেখে ভালো লাগলো। একদিকে মাহফিল শুনা হয়েছে অন্যদিকে মেলা দেখাও হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আপনার এই পোস্টটা দারুন হয়েছে আপু। ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে।
হ্যাঁ আপু মেলা দেখাও হলো আর ওয়াজ শুনাও হলো। আমার ছেলে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু মেলা দেখাও হলো আর ওয়াজ শুনাও হলো। আমার ছেলে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছে। ধন্যবাদ।
আপু, বর্তমানে আমি দুই সন্তানের জনক তবুও কোথাও মেলার কথা শুনলে, ছেলেমেয়েদের আগে আমার নিজেরই মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে হয়। মন বলে কথা, তাই অন্যের কথা না শুনে ছেলের হাত ধরে যেখানে খুশি সেখানে ঘুরে বেড়াবেন। যাইহোক আপু, ওয়াজ মাহফিলের পাশে ছোট মেলা ঘুরে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া আমি এরপর একবার গিয়ে ঘুরে এসেছি আর মেলার সুন্দর দৃশ্য দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
বর্তমান পরিবেশ এমন দাঁড়িয়েছে যে মাহফিলে তেমন লোক হয় না কিন্তু মেলায় পা রাখার মত জায়গা নেই। আপনি একদিকে মাহফিল শুনেছেন অন্যদিকে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ভালো তো । আপনার ছেলের তো দেখছি তাহলে অনেক খেলনাই হয়েছে। অনেকগুলো মামা থাকলে এরকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেলাতে সব মানুষ চলে যায় কিন্তু মাহফিলে তেমন মানুষ নেই। তারজন্যই এবার নিষেধ করা হয়েছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আমরা সবাই পোস্টের ভিন্নতা আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনি আজ ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করলেন।ওয়াজ মাহফিল আর মেলা একই সাথে দেখে নিলেন।খুব ভাল লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু
হ্যাঁ আপু একসাথে দুটো কাজ হয়ে গেল। আমাদের এদিকে সবসময়ই ওয়াজ মাহফিলের সময় মেলা বসে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সময় চলে যায় কিন্তু মানুষের স্মৃতিগুলো রয়ে যায়। শৈশবে অনেক স্মৃতি থাকে যে স্মৃতি গুলো ভোলা যায় না। তবে আপনার মত আমরা ওয়াজ মাহফিলে গেলে অনেক কিছু কিনি এবং খাওয়া-দাওয়া করি।তবে একটা জিনিস আমি সব জায়গায় লক্ষ্য করে দেখি যে কোন ওয়াজ মাহফিল বা অন্য কিছু হইলে মানুষ অধিকাংশ খাওয়ার ব্যাপারে জিলাপিটাই বেশি খায়। যদিও আমি মিষ্টি পছন্দ করি আর জিলাপি আমার অনেক প্রিয় একটা খাবার। পোষ্টের মান উন্নত করার জন্য সবাই নিজ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে ভিন্ন ধরনের কোন কিছু করতে। আপনি ও তার ব্যতিক্রম নয়। এভাবে চেষ্টা করে যান অবশ্যই সফল হবেন আপনার যেন শুভ কামনা রইল।
সব সময় আমার কাছে জিলাপি খেতে ভালো লাগে না। তবে এই সময়টা জিলাপি খেতে খুবই মজা পাই। ওয়াজ মাহফিলের সময় অনেক গুলো আনা হয় আর সবাই একসাথে মিলে খাওয়া হয় বল খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রত্যেকটা এলাকাতেই দেখছি ওয়াজ মাহফিল কে কেন্দ্র করে মেলা বসে থাকে। আপনারা তো মেয়ে মানুষ তাই বড় করে যেতে পারেন না, কিন্তু আমরা ছেলের াও ছোটবেলার মতো আর এই মেলাতে মজা পায় না।
ভাইয়া আমরাও ছোটবেলায় এই মেলাতে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি। তবে এখন যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও সময় পেলে চলে যাই। ধন্যবাদ।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন সময় আর নদীর স্রোত কখনো কেউ ধরে রাখতে পারে না। আমাদের শৈশবে কাটানো দিনগুলো আমরা মনে করতে পারব সবসময় কিন্তু কখনো সেই দিনগুলো আবারও ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবো না।আপনি তো দেখছি একদিকে মাহফিল শুনেছেন অন্যদিকে মেলায় ঘুরাঘুরি করেছেন এবং বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার আজকের ব্লগ বেশ ভালোই ছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া শৈশবের ঘটে যাওয়া প্রতিটি মুহূর্ত এখন স্মৃতির পাতায় জমা হয়ে গিয়েছে। এই সময় আর কখনো ফিরে আসবে না। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমাদের এদিকেও ওয়াজ মাহফিলের পাশে ছোট মেলা হয় আপু। মেলায় অনেক ধরনের দোকান থাকে, অনেক লোকজনের সমাগম থাকে। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই লাগে। তবে মেলা উপলক্ষে অনেক মেয়েরা বাসা থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায়, আর এতে করে অনেক সময় নানান ধরনের ঝামেলাও সৃষ্টি হয়। তবে ছোটবেলায় এই ধরনের মেলা বেশি ভালো লাগতো। জিলাপি খাওয়া, অনেক কিছু কেনাকাটা করা ভালোই ছিল সেই দিন গুলো। অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।