চার বছর পর নিজের জন্মস্থানে আসার অনুভূতি। ১০% লাজুক-খ্যাঁককে
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আজ আপনাদের সাথে নতুন আরেকটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। সবসময় এক রকম পোস্ট করতে ভালো লাগেনা। তারজন্য চেষ্টা করি পোস্টের মধ্যে একটু ভিন্নতা আনার জন্য। আমার কাছে নতুন নতুন পোস্ট পড়তে অনেক ভালো লাগে। এত দিন পর গ্রামে আসার জন্য ঠিক মতো আপনাদের সাথে এক্টিভ থাকতে পারছিনা। তবে যখন সময় পাব তখনই আপনাদের সাথে আমার মনের কথা শেয়ার করার জন্য চলে আসবো।
যাই হোক কাজের কথায় আসি আজ প্রায় চার বছর পর নিজের জন্মস্থানে নরসিংদী এসেছি। সেই ২০১৮সালে আমার বিয়ের পর একবার এসে দুই দিন থেকে চলে গিয়েছি। এরপর বিভিন্ন ঝামেলার জন্য আর আসা হয়না। আমাদের আগে টিনের ঘর ছিল কিন্তু যখন ঢাকা চলে গিয়েছি তখন যত্ন না নেওয়াতে আমাদের সেই ঘর ভেঙে গিয়েছে। এরপর আমাদের বিভিন্ন সমস্যার জন্য ঘর তুলা হয়নি। এত বছর পর সব সমস্যা শেষ করে এখন বিল্ডিং তুলা হয়েছে। আমাদের বিল্ডিং করা নিয়ে বাকি কথা না হয় পড়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যখন গাড়ি থেকে নেমে পা রাখি তখন হঠাৎ করেই মনের ভিতর এক অজানা কষ্ট ভির জমে।
এই গ্রামে আর এই বাড়িতে আমার হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে আনন্দের স্মৃতি যেমন আছে তেমনি বেদনার স্মৃতিও রয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় হঠাৎ এক ঝড় এসে সবকিছু এলোমেলো করে দিয়ে যায়। আমার এত দূরে বিয়ে হয়েছে যেখান থেকে সবসময় আমাদের গ্রামেও আসা সম্ভব নয়। আমি বাড়িতে এসেই সবার খুঁজ খবর নিতে সবগুলো বাড়ি যেতে শুরু করলাম।
এখানেই আমার শৈশব আর কৈশোর কাল কেটেছে। সেই দিন গুলো এখন শুধু স্মৃতির পাতায় জমা পড়ে রয়েছে। সেই দিনগুলোতে আবার ফিরে যেতে পারলে খুব মজা হতো। হঠাৎ করেই আবার আমার বাবার কথা মনে পড়ে গেল। এখানেই আমার বাবাকে শুয়ে রেখেছি। আমাদের বাড়িতে কত মানুষ ছিল। একজন একজন করে বাব-চাচারা সবাই চলে গিয়েছে উপরওয়ালার কাছে। একসময় কত মানুষের আনাগোনা ছিল আমাদের এই বাড়িতে। কিন্তু এখন যেন সবকিছু কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে।
আমার চাচাতো বোনদেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সবাই চলে গিয়েছে তাদের নিজ ঠিকানায় আর বাড়িতে অনেক নতুন বউ হয়েছে। আমি এত বছর পর আসাতে নতুন বউদের চিনতেও পারিনা। বাড়িতে কত ছোট বাচ্চারা রয়েছে তাদেরও আমি চিনি না আর ওরাও আমাকে চিনেনা। বাচ্চারা আমাকে দেখলেই তাকিয়ে থাকে। যেহেতু গ্রামে এসেছি তারজন্য আপনাদের সাথে পরে আমার গ্রামে নিয়ে আলোচনা করতে আবার চলে আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার জন্মস্থান নরসিংদীতে গিয়েছেন জেনে লাগলো। জীবনের অনেক সুন্দর মুহূর্ত এখানে কাটিয়েছেন। জীবনের এই স্মৃতিগুলো কখনো ভুলা যায় না। এত বছর পর আপনি আবার প্রিয় জায়গায় ফিরে এসেছেন সত্যি আজকে আপনার অনুভূতি খুবই অন্যরকম। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যেহেতু চার বছর পরে নিজের জন্মস্থানে গিয়েছেন তাই ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ারই কথা। আসলে শৈশবে কিরকম মুহূর্ত কেটেছে ভালো, মন্দ সবকিছু মনে পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। হয়তো কোন কারনে আপনারা নিজের জন্মস্থান থেকে এতদিন দূরে ছিলেন। কিন্তু এতদিন পর বেশ ভালো সময় কাটাবেন আশা করছি। এরকম একটি বিষয় সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।
যেখানে আপনার শৈশব কেটেছে এবং যেখানে আপনার শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেই জায়গা থেকে এতদিন দূরে ছিলেন ভাবতেই সত্যি খারাপ লাগছে। হয়তো কোন বিশেষ কারণে আপনাকে এতদিন এই বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। যাই হোক এতদিন পর যখন নিজের প্রিয় জায়গায় গিয়েছেন আশা করছি সুন্দর সময় কাটছে। ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠে আবারো আমাদের সাথে যুক্ত হবেন এই প্রত্যাশাই করি।
আপু ২০১৮ সালে আপনার বিয়ের পর মাত্র একবার আপনার বাবার বাড়িতে এসেছিলেন,সেটা কিভাবে সম্ভব। যে গ্রামে,যে বাড়িতে আপনার শৈশব,কৈশর কেটেছে তার জন্য মায়াও লাগলো না। যায়হোক এত দিন পরে এসেছেন তাই বাড়িতে, গ্রামে অনেক পরিবর্তন দেখছেন। ধন্যবাদ আপু।
চার বছর পর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন। এটা কিভাবে সম্ভব। যেখানে আপনার ছোটবেলা কেটেছে সেই জায়গার তো অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সবাই চায় পুরানো দিনের স্মৃতিগুলো যদি আবার ফিরে পাওয়া যেত কত ভালো হতো। হয়তোবা আপনি কোন কারনে এতদিন পর গ্রামের বাড়িতে এসেছেন আশা করি খুব সুন্দর সময় কাটাবেন।
এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে যেখানে আপনার শৈশব কেটেছে সেখানে আপনি প্রায় চার বছর পরে গিয়েছেন তা জেনে। ওখানে আপনার ভালো-লাগা, খারাপ-লাগা, ভালো-মন্দ সবকিছুরই স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেই স্মৃতিগুলো চার বছর পর যাওয়ার ফলে মনে পড়ারই কথা। এভাবে যদি অনেক বছর পর কোথাও যাওয়া হয় সেখানকার স্মৃতিগুলো মনে করলে খুবই কষ্ট লাগে। আর এটা তো আপনার জন্মস্থান তাই কষ্ট লাগারই কথা।
চার বছর পর নিজের বাসভূমিতে ফিরে আসার আনন্দঘন একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আমি জেনে বেশ খুশি হতে পেরেছি আপনার এই ভালোলাগা অনুভূতিটা। হয়তো অনেকদিন পর নিজের শৈশব স্মৃতি স্থান গুলো খুজে পেয়েছেন। ফিরে পেয়েছেন নিজের বন্ধন।
নিজের জন্মস্থান মানেই আলাদা অনুভূতি।গ্রামে খুবই নেটওয়ার্ক এর সমস্যা থাকে।আপনার জীবনের হঠাৎ এক ঝড় সম্পর্কে জানতে চাই!আপনার বাবা নেই জেনে খারাপ লাগলো।তবে তার আত্মার শান্তি কামনা করি।আপনার দিন ভালো কাটুক গ্রামে এটাই প্রত্যাশা করি, ধন্যবাদ আপু।