লাইফস্টাইল: সকাল সকাল খেজুরের রস খাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। তবে আমার পায়ের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এই সপ্তাহে কাজ গুলো এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। গ্ৰামে আসলে সব কাজ কেমন জানি অগোছালো হয়ে যায়। তারপরও চেষ্টা করছি ঠিক মতো পোস্ট করার। সে জন্য আজ আবারও চলে আসলাম নতুন পোস্ট নিয়ে। আজকের পোস্ট একটু ভিন্ন ধরনের নিয়ে এসেছি। এখন যেহেতু শীতকাল চলে সেহেতু এমন মজার খাবার মিস করতে ইচ্ছে করছিল না। সেই খাবার কি জানেন খেজুরের রস। নাম শুনেই মনে হচ্ছে আপনাদের জিভে জল চলে আসলো। জল আসারই কথা খুবই লোভনীয় খাবার যে এটি।
যারা গ্ৰামে থাকে তারা তো সবসময়ই এই খাবারের স্বাদ নিতে পারে। কিন্তু যারা শহরে থাকে তাদের দ্বারা সম্ভব হয় না। তাই প্রতিবার শীতে মজাদার খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য চলে আসি। সকাল সকাল যদি এমন এক গ্লাস খেজুরের রস পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। আমার বাড়ির পাশেই খেজুরের বাগান রয়েছে। আমরা আসলেই সবাই মিলে সেখানে চলে যাই।
সবাই মিলে সকালে খেজুরের রস খেতে বেশ ভালো লাগে। এমন সুন্দর মুহূর্ত কখনো ভুলা সম্ভব নয়। সেই সময়ের একটি ভিডিও করেছিলাম তা আপনাদের সাথে পরে শেয়ার করবো। আমি সেখানে কিছু রস খেয়ে বাড়ি চলে আসি। যারা যেতে পারেনি তাদের জন্যও নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের খেতে দেওয়ার সময় এক ফাঁকে তুলে নিলাম।
.jpg)
বাড়িতে মা চাচি সবাই বলতেছে এই রস খালি পেটে খেলে নাকি পেটের কৃমি মরে যায়। এই কথা শুনে আমরা বেশি করে খেয়ে নিলাম। এক কেজি খেজুরের রস ৮০ টাকা করে নিয়েছে। আমরা সেখানে খেয়ে আরও ২ কেজি কিনে নিয়ে এসেছি। কারণ বাড়িতে অনেক মানুষ ছিল সবাইকে তো দিতে হবে। কিন্তু সবাইকে খাওয়াতে পেরেছি শুধু আমার ছেলেকে খাওয়াতে পারিনি। সে একটু মুখে নিয়ে বলে আম্মু ভালো লাগে না।
এই রস রোদ উঠার আগেই শেষ করতে হয় তা না হলে টক হয়ে যায়। আমাদের অল্প একটু ছিল আর আমি পরীক্ষা করার জন্য রোদ উঠা পর্যন্ত রেখে দিয়েছিলাম। এরপর রোদ উঠলে দেখতে পেলাম এর থেকে কেমন জানি গন্ধ বের হচ্ছে আর খেতেও টক লাগে। আপনারা হয়তো ভাবছেন খেজুরের রস থেকে ভাইরাস ছড়াচ্ছে। হ্যাঁ এটা ঠিক কিন্তু আপনি যদি সব নিয়ম মেনে রস সংরক্ষণ করতে পারেন তাহলে সমস্যা নেই।
যেহেতু ঐ লোকটি বাগান করেছে আর সেখানে প্রতি শীতে সবাই রস খেতে যায় তাই তিনি সব সময় কলসির উপরে জাল দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর আবার উপরে কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখে। এমন ভাবে যদি সতর্ক থাকা যায় তাহলে কোনো ভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না। যদি খোলামেলা ভাবে কলসি ঝুলিয়ে রাখা হয় তাহলে তো ভাইরাস ছড়াবেই। গতকাল সকালে খেয়েছিলাম রস আর পোস্ট লিখবো ভাবছি কিন্তু লেখাই হচ্ছিল না। তাই আজ সকাল সকাল শেয়ার করে নিলাম। অনেক কথা বলেছি আজ এই পর্যন্তই, আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
আমিও বেশ কদিন হলো গ্রামে এসেছি। আমিও এই খেজুরের রস খুজঁছি আপু। কিন্তু আশেপাশে তেমন খেজুরের বাগান না থাকায় ওভাবে কাউকে পাই নি যে এমন ভালোভাবে খেজুরের রসের ব্যবস্থা করে দিবে! আজকে আপনার পোষ্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো। ছোটবেলায় আমিও শুনেছি যে খেজুরের রস খালি পেটে খেলে তা পেটের জন্য ভালো।
আপু আমাদের এখানে অনেক বড় একটি বাগান রয়েছে আর সেখানে অনেক খেজুর গাছ রয়েছে। আপু রস খাওয়ার জন্য চলে আসেন আমাদের বাড়িতে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
সকাল সকাল খেজুরের রস পান করার চমৎকার একটি অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে শীতের সকালে খেজুরের রস পান করার মজাই আলাদা। আর এটা সত্য যে বেলা উঠার সাথে সাথে খেজুরের রস টক হয়ে যায় যেটা খাওয়ার আর উপযোগী থাকে না। অনেক সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
বেশ দারুণ এক অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ভালো লাগলো আপনার খেজুরের রস খাওয়ার এই অসাধারণ অনুভূতিটা শেয়ার করেছেন দেখে। আসলে শীতের সময় মানেই খেজুরের রসের অন্যতম একটা সময় এ রস পাওয়ার জন্য অনেকেই ছুটে চলে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে।
আমার মতো যারা খেজুরের রস পাগল তারাই গ্ৰামে চলে যায়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই খেজুর রস খেয়ে থাকে। আর শীতের সময় এই খেজুরের রস খাওয়ার জন্য একটা অন্যরকম আনন্দময় মুহূর্ত আমরা উপভোগ করি। আপনি ৮০ টাকা কেজি ধরে খেজুর রস কিনেছিলেন এবং যাওয়ার সময় দুই কেজি কিনে নিয়ে গেছেন। তবে খেজুরের রস গুলো ফুটিয়ে খাওয়া উচিত।
ভাইয়া এই রস এত সুন্দর ভাবে সংরক্ষন করে রেখেছিল যার জন্য ফুটানোর প্রয়োজন হয় না। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার খেজুরের রস দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করছে অনেকদিন এরকম খেজুরের রস খাওয়া হয় না। আর আপনার সকাল সকাল রস খাওয়ার অনুভূতি পড়েও খুব ভালো লাগলো। তবে এটা আমার জানা ছিল না যে রোদ ওঠার আগে খেজুরের রস খেয়ে শেষ করতে হয় না হলে নষ্ট হয়ে যায় আপনিও পরীক্ষাটা করলেন। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম বিষয়টা। আর এটাও ঠিক বলেছেন সব নিয়ম মেনে খেজুরের রস সংরক্ষণ করলে তেমন কোন ভাইরাস ছড়ায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খেজুরের রস রোদ উঠার সাথে সাথে টক হয়ে যায় আর খেতে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
সকাল সকাল আপনারা খেজুরের রস পান করেছেন দেখে তো আমার খেতে মন চাচ্ছে। খেজুর রস খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে ঢাকা শহরে খুব একটা পাওয়া যায় না। শীতের সময় গাছ থেকে পেড়ে খেজুর রস খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ ভাইয়া ঢাকায় কখনো পাওয়া যায় না। তারজন্য সবসময় গ্ৰামে চলে আসি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
খেজুরের রস আমারও খুব প্রিয় এই শীতে বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে।
আসলে শীতের সময় খেজুরের রস খেতে খুব ভালো লাগে প্রচন্ড শীত আর ঠান্ডা রস অন্যরকম একটি অনুভূতি জাগায়।
ফটোগ্রাফি এবং আপনার অনুভূতি জানতে পেরে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীত আর ঠান্ডা রস খাওয়া অনুভূতি বুঝানোর মতো নয়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সকাল সকাল খেজুরের রস পান করার যেই চমৎকার একটি অনুভূতি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি কখনোও খেজুরের রস খাইনি। আর তাই এর অনুভতি বুঝা হয়নি। তবে শুনেছি খেতে নাকি অনেক মজা। আর এই রস শীতেই নাকি খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু অনেক মজার একটি খেজুরের রস খাওয়ার অনুভতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কি বলেন আপু আপনি কখনো খেজুরের রস খাননি জেনে অবাক হলাম। হ্যাঁ আপু এই রস খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
সত্যি আপু খাইনি শুধু শুনেছি খেতে অনেক টেস্ট।
বলতে পারেন আপু, আমার জীবনের একটা আফসোস! খেজুরের রস কখনো খেতে পারলাম না। সকাল সকাল খেজুরের রস খেতে পারলে ভালোই হতো। পেটের জন্যও যেহেতু ভালো তাহলে উপকার হতো
ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।শীতের সময়ে গ্ৰামে চলে যাবেন তাহলে খেতে পারবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, খেজুরের রসের মাধ্যেমে ভাইরাস ছড়াচ্ছে। আর এই জন্য আমি বাংলাদেশ গিয়ে সাহস করে কাঁচা খেজুরের রস খেতে পারিনি। তাছাড়া খালি পেটে খেজুরের রস খেলে যে কৃমি মরে যায় এটা আমিও শুনেছি। আর সূর্য ওঠার পরে রস ঘোলা হয়ে যায়, টক হয়ে যায়, এটাও সত্যি কথা। তবে আপনার বাড়ির পাশে যেহেতু খেজুর গাছ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, তাহলে তো কোন সমস্যা নেই রস খাওয়ার। আমাদের এখানে আবার পাওয়া যায় না খুব বেশি একটা।
ভাইয়া আমরা যেটা খেয়েছি তা খুব সেভ ভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে তাই ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা কম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
তাহলে তো খুব ভালো কথা আপু। ভাইরাস এর সমস্যাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে , এই বিষয়ে একটু বেশি সাবধান থাকা দরকার সবার।