মেলায় ঘোরাঘুরির করার কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। কয়েক দিন ছেলে অসুস্থ থাকার জন্য ঠিক মতো এক্টিভ থাকতে পারিনি। সন্তান অসুস্থ থাকলে মায়ের চোখে ঘুম থাকে না। ছেলের খাওয়া ঘুম কিছুই ছিল না শুধু এক কান্নার উপরে ছিল। খুব ছোট তো অসুস্থ হলে সহ্য করতে পারেনা। তবে আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ আছে। একদিকে আমাদের গ্ৰামের বাড়ি যাবো শ্বাশুড়ি মা কে নিয়ে অন্যদিকে ছেলে এতো অসুস্থ কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তবে এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে এটা হাজার শুকরিয়া। গতকাল সকালে আমার হাসবেন্ড মতিঝিল গিয়েছিল আর আসার সময় শনিআখড়া মেলা বসে দেখে আসলো।
এরপর সে বললো সন্ধ্যায় আমরা মেলায় যাবো। চিন্তা করলাম এখন মেলা বসাতে ভালোই হয়েছে ঘোরাঘুরি করলে ছেলের কাছেও ভালো লাগবে আর শ্বাশুড়ির কাছেও ভালো লাগবে। গ্ৰামের মানুষ তো গ্ৰামে থাকতেই পছন্দ করে। শহরে বন্দী ঘরে বসে থাকতে তার একদমই ভালো লাগে না। তারজন্য আসার পর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে বাহিরে ঘোরাঘুরি করেছি। এখন পূজোর সময় তারজন্য গ্ৰাম থেকে শুরু করে শহরের প্রায় সবজায়গাতেই মেলা বসেছে। মেলার কথা শুনলেই যেতে ইচ্ছে করে।
শনিআখড়া মেইন রাস্তার পাশেই ছোট্ট একটা খোলা মাঠ রয়েছে সেখানেই কিছু দিন পর পর ছোট মেলা বসে। অনেক সময় দেখা যায় যতদিন মেলা থাকে ততদিনই যাওয়া হয়। এখন মেলায় যাওয়া হয় ছেলের খেলনা পাতি কেনার জন্য আর আগে যাওয়া হতো নিজের টুকিটাকি কিছু জিনিস কেনার জন্য। বিশেষ করে জিলাপি না খেলে তো ভালোই লাগে না। আমার হাসবেন্ড আর ছেলে জিলাপি খেতে বেশি পছন্দ করে। কালকের মেলা খুব বেশি বড় ছিল না তবে মেলাতে গিয়ে খুব মজা পেয়েছি।
শ্বাশুড়ি মা বলে আমার কাছেও মেলায় ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু গ্ৰামে তো মেলাই হয় না। তাদের গ্ৰামে হয় না আর যদি হয় তাও বাড়ি থেকে অনেক দূরে যেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে আমাদের দিকে অন্যরকম কিছু দিন পর পর এঁকেক জায়গায় মেলা বসে। একটা ছোট্ট গল্প বলি আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। স্কুলে গিয়ে জানতে পারি স্কুল থেকে একটু দূরে একজায়গায় বড় মেলা বসেছে। তখন থেকে আমাদের চিন্তা কিভাবে সেখানে যাওয়া যায়। এরপর একদিন টিফিনের পর একটি ক্লাস করে আমরা চার বান্ধবী মিলে পালিয়ে যাই। সেদিন খুব ভালো লেগেছিল তবে পরের দিন স্কুলে এসে অনেক বকা খেয়েছিলাম।
গতকাল মেলায় দাদি নাতি খুব মজা পেয়েছে। মেলায় গিয়ে ছেলেকে সবসময় ট্রেনে নিয়ে বসি। এবার দাদি নিয়ে বসেছে। এবারের ট্রেন দেখতে একটু ভিন্ন ছিল। এটি দেখতে ড্রাগনের মতো আর অনেক বড়। তারজন্য ছেলে খুব মজা পেয়েছে। এরপর রাস্তার পাশে যাত্রী ছাউনী রয়েছে সেখানে বসে বাদাম, শিম বিচি আর চেনাচুর মাখা খেলাম। এরপর জিলাপি নিয়ে চলে এসেছি। কালকে সকাল বেলা গ্ৰামে চলে যাবো বলে আর মেলায় যাওয়া হবে না।
যাই হোক আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
ক্যামেরার বিবরণ
ডিভাইসের নাম vivo
ফটোগ্রাফার @tanjima
লোকেশন ঢাকা
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
|| Join Heroism Discord Server for more Details ||
Posted using SteemPro Mobile
ডিভাইসের নাম | vivo |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
লোকেশন | ঢাকা |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার ছেলে এখন সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে মাঝে মাঝে এরকম ছোটখাটো মেলায় ঘুরতে যেতে ভালোই লাগে। তবে আমাদের এদিকে বিশেষ কিছু দিন ছাড়া তেমন মেলা দেখা যায় না। আপনাদের চার বান্ধবীর স্কুল পালানোর গল্পটা পড়েও মজা পেলাম। জিলাপির ফটোগ্রাফিটা বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনাদের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু ঢাকায় এখন কিছুদিন পরপরই মেলা বসে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
তাহলে তো বেশ ভালোই হলো আপু যেহেতু বাচ্চা একটু অসুস্থ বের হলে ওরা অনেক বেশি শান্তি পায়। তো আপনি শাশুড়ি মাকেও নিয়ে গেলেন অনেক ভালো লাগলো। একদম ঠিক বলছেন আসলে গ্রামে অনেক হাঁটাচলা করা যায় তাই শহরের বন্দী জীবন তাদের এত ভালো লাগেনা। এভাবে মাঝে মাঝে মেলা বসলে বেশ ভালোই লাগে। মেলায় গিয়ে ঘোরাঘুরি করা যায়। তাছাড়া মজার মজার খাবার খাওয়া যায়।
হ্যাঁ আপু গ্ৰামের মানুষ কখনো শহরে এসে থাকতে পারে না। তারজন্য মেলার কথা শুনেই ঘুরতে বের হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
মেলা ভ্রমণের দারুণ একটি দৃশ্য আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই চমৎকার পোস্ট আমার কাছে ভালো লেগেছে যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন মেলা থেকে। দিনে অথবা রাত্রে কালিন মুহূর্তে যেকোনো মেলায় ভ্রমণ করতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আর মেলায় ভ্রমণ করার মেইন আকর্ষণ কোন কিছু ভাজা জাতীয় জিনিস কিনে খাওয়া। মেলা থেকে গ্রহণ করা বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি এবং সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে ফুটে তোলার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে দিনের বেলা থেকে রাতের বেলায় মেলায় যেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
মেলায় ঘোরাঘুরি করলে হৃদয় মন মানসিকতা ভালো হয়।আপনার ছেলে সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। আল্লাহতালা যেন আপনার পুরা পরিবারকে হেফাজত করেন এবং সুস্থতা দান করেন।মেলায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং অনেক সুন্দর একটি অনুভূতি উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু মুহূর্তে অনুপাতে প্রকাশ করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘোরাঘুরি করলে মন মানসিকতা ভালো থাকে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
মেলাতে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন মনে হয়। আমাদের ভাইয়া আসার সময় মেলাটি দেখেছিল। এই কারণে আপনি ভাইয়া এবং আপনার ছেলে ও আপনার শাশুড়ি সবাই মিলে মেলাতে ঘুরতে গেলেন। তবে মেলাতে ঘুরতে গেলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে ফটোগ্রাফি গুলো খুব অসাধারণ হয়েছে । যাই হোক স্কুল জীবনে তাহলে মেলাতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য চার বান্ধবী মিলে পালিয়ে গেলেন। বকা খেলো পরে খেয়েছে মেলাটি দেখতে পেরেছেন। খুব সুন্দর করে শনিআখড়া মেলাতে ঘুরতে যাওয়া ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ আপু পরে বকা খেয়ে খারাপ লাগেনি কারণ মেলায় ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে বলে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আসলে ঠিক বলেছেন আপু, সন্তান অসুস্থ হলে মায়ের ঘুম হয় না, সবসময় টেনশন করে। যাক, আপনার ছেলে এখন সুস্থ্য এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলেই আপু গ্রামে এখন আগের মতো মেলা দেখা যায় না। শহরে এখন প্রায়ই মেলা দেখা যায়। দাদী নাতি মিলে তাহলে ভালোই উপভোগ করেছে মেলা।
হ্যাঁ ভাইয়া দাদি নাতি মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
মেলায় ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে আপু ঢাকা শহরে মেলাগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। তবে আপনার পরিবার এবং আপনার শাশুড়ি সবাই মিলে মেলাতে ঘুরতে গেলেন। এবার মেলাতে গিয়ে আপনার একটু ভালোই হলো কারণ আপনার বাচ্চাটি আপনার শাশুড়ি দেখে রেখেছে। তবে মেলাতে গেলে খুব মজার মজার খাবার দেখা যায়। তবে আপনার স্কুল জীবনের কথা শুনে সত্যি খুব মজা পেলাম। চার বান্ধবী মিলে টিফিনের পরে চুরি করে মেলা দেখতে গেলেন। এখন এই স্মৃতি গুলো মনে পড়লে শুধু হাসি আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে মেলা গিয়ে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেলায় গেলে খুব মজার মজার খাবার দেখা যায় আর খেতেও অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।