মজাদার চাউল ভাজার রেসিপি ।১০% প্রিয় 💞 @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমি আবারও অনেক অসুস্থ। একটা সময় ছিল যখন আমি বলতাম আমার কোনো অসুখ হয়না সত্যি আমার ঠান্ডা জ্বর আল্লাহর রহমতে খুব কম হয়। এখনো আমার তেমন ঠান্ডা জ্বর হয়না। কিন্তু যেদিন সিজার হয়েছে তারপর থেকে আমি মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। প্রায় সময় প্রচন্ড কোমড় ব্যাথা করে। আজও তাই মনে হয় যেন সহ্য করার মতো নয়। আমারই কি এমন হয় নাকি সবার এমন মনে হয় জানিনা। যাই হোক কাজের কথায় আসি আমি আজ আপনাদের সাথে মজাদার চাউল ভাজার রেসিপি শেয়ার করতে চলে এসেছি।
আমি এই রেসিপি আমার ননদের কাছ থেকে শিখেছি। আমি এবার গিয়ে কিছু অন্য রকম রেসিপি শিখে এসেছি আর আমার কাছেও সেই রেসিপি গুলো ভালো লেগেছে। আমি এখন প্রায় সময় এই রেসিপি তৈরি করি খেতে অনেক ভালো লাগে। এই চাউল ভাজা একটু ঝাল ঝাল হলে খেতে অনেক ভালো লাগে। বিকালের নাস্তা হিসেবে আমরা এই রেসিপি সহজেই তৈরি করে নিতে পারি। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নেওয়া যাক রেসিপির ধাপসমূহ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
চাউল | একবাটি |
পেঁয়াজ | এক প্লেট |
সরিষার তেল | পরিমান মতো |
কাঁচামরিচ | পরিমাণ মতো |
লবণ | স্বাদ মতো |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
১ম ধাপ
প্রথমে পেঁয়াজের উপরের খোসা ফেলে দিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেব। এরপর কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেব।
২য় ধাপ
এবার কাঁচা মরিচ ভালো করে ধুয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নেব।
৩য় ধাপ
এখন চাউলের মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দেব। এরপর হালকা পানি দিয়ে মাখিয়ে নেব।
৪র্থ ধাপ
এবার চুলায় একটি পাতিল বসাবো চাউল ভাজার জন্য। পাতিল গরম হয়ে গেলে এতে অর্ধেক চাউল দিয়ে দেব। এরপর ভালো করে ভেজে নেব।
৫ম ধাপ
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দেব। এরপর গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেব।
৬ষ্ঠ ধাপ
এবার তেল গরম হয়ে আসলে এতে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুঁচি দিয়ে দেব। এরপর একদম ভালো করে ভেজে নেব।
শেষ ধাপ
এবার আগে ভেজে রাখা চাউল এর মধ্যে দিয়ে দেব। এরপর সবগুলো একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে নেব।
উপস্থাপনা
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
এককথায় জিভে জল আসার মত রেসিপি, ছোটবেলায় বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে এই ধরনের চালভাজা মা আমাদের করে খাওয়াতেন। অলস সময় গুলো এগুলোর সাথেই কাটাতাম আজকে আপনার পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে ছোটবেলার কথা খুব ভালোভাবে মনে পড়ল। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া বৃষ্টির দিনে গরম চা আর সাথে এই চাউল ভাজা খেতে খুবই ভালো লাগে। আমার এই রেসিপি দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়াতে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার অনেক পছন্দের একটা রেসিপি।জ্বর ঠান্ডা ভালো করার জন্য কার্যকর একটা খাবার। আমরা যখন হোস্টেলে থাকতাম তখন মাঝে মাঝে এইগুলো রাতে বেলা খাওয়া হতো। বিশেষ করে পরীক্ষা আগে এগুলো বেশী খাওয়া হতো। বানানোর ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। বানানোর পর এর ছবিটি দারুন হয়েছে। খেতে অবশ্যই অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন জ্বর ঠান্ডা হলে ঝাল দিয়ে এই চাউল ভাজা রেসিপি তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া সব সিজারের রোগী প্রায় সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। যাই হোক আপনার কাছে এই চাউল ভাজা রেসিপি ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আপু আপনি অসুস্থ, আপনি সুস্থ হয়ে যান এটাই কামনা করি।আপু আপনি খুব মজর চাউল ভাজার রেসিপি শেয়ার করেছেন আমি কখনো এভাবে খাইনি।মনে হচ্ছে ঝাল ঝাল খুব মজাই লাগবে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ঝাল ঝাল চাউল ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে। একবার খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ।
আপু সিজার হলে কাজ করার সময় কোমর ব্যাথা করে।আমার দুইটা সিজার প্রথম প্রথম সমস্যা হয়েছিল।আলহামদুলিল্লাহ এখন হয়না।তবে আমি কাজ করার সময় সব সময় কোমরে বেল্ড ব্যবহার করে থাকি।আপনি চাল ভাজা খুব সুন্দর করে করেছেন।আমি মিষ্টি করে যেটা ভাজে সেটা খেয়েছি।কিন্তু ঝাল করে ভাজে সেটা খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপি দেখে একবার ঝাল ঝাল করে ভেজে খেয়ে দেখতে হবে। আপনি খুব সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন।
আপু মাঝে মাঝে একদম সহ্য করা যায় না।আপু ঝাল চাউল ভাজা খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
আপনি বলেছেন আপনার সহজে অসুখ হয় না আর দেখুন এখন অসুখ ছাড়ছেই না। আসলে সিজারের পরে শুনেছি অনেকের প্রচণ্ড পরিমাণে কোমরে ব্যথা হয়। আপনার মনে হয় তাই হয়েছে। আমারও মাঝে মাঝে হয়। আপনার চাউল ভাজা রেসিপিটি আমার কাছে ভালই লাগলো। এরকম করে চাল ভেজে খেলে মনে হয় ভালো লাগবে। শিখে নিয়েছি আপু আপনার কাছ থেকে রেসিপিটি।
আপু এই ব্যাথা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।হ্যাঁ আপু এই চাউল ভাজা খেলে অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু চাউল ভাজা রেসিপিটি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে।রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু। কোমড়ের ব্যথা অনেক কষ্টদায়ক যার হয় সেই শুধু বোঝে। চাল ভাজা কতদিন আগে খেয়েছি মনেই পড়ে না। আগে ছোটবেলায় দেখতাম বাড়িতে অনেক মুড়ি ভাজা হতো তখন চুলার পাশে বসে মুড়ি ভাজা দেখতাম আর যে ভাজতো তাকে বলতাম আমাকে একটু চাল ভেজে দিন, মুড়ি ভাজা শেষে আমাকে চাল ভেজে দিতো। লবণ তেল দিয়ে মেখে খেতাম অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু কখনো এভাবে চাল ভাজা খাওয়া হয়নি। আপু আপনি খুবই সুন্দর করে চাল ভাজার রেসিপি টি শেয়ার করেছেন তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু আমরাও যখন মুড়ি ভাজতো সেখান থেকে চাউল ভাজা নিয়ে মাখিয়ে খেতাম খুব ভালো লাগতো। যেহেতু এভাবে আপনার কখনো খাওয়া হয়নি তাহলে একবার এই রেসিপি দেখে খেয়ে নেবেন। আশা করি ভালো লাগবে। গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আর আমার সর্দি লেগেই থাকে কেন জানি।আপু সিজার হলে কোমর ব্যথা করে সবারই।শুনেছি পিঠে একটা ইনজেকশন যে দেয়, তার কারনে।যাই হোক আপু আপনার রেসিপিটা আমার খুব ভালো লেগেছে। এভাবে কখনো চাল ভাজা খাওয়া হয়নি।ঝাল ঝাল খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আমি একদিন বাসায় বানিয়ে দেখবো তো।আপু সংরক্ষণ করে রাখা যায় কি?
আপু একবার এভাবে ঝাল দিয়ে চাউল ভাজা রেসিপি তৈরি করে দেখবেন খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
সর্বপ্রথম আপনার সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করছি।।
আমিও দেখেছি সিজার হওয়ার পর থেকেই আমার আপুর এরকম সমস্যা মাঝে মাঝেই হয়।।
এরকম সব ধরনের মশলা দিয়ে চাউল ভাজা খেতে কিন্তু আমারও অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে মা এগুলা প্রস্তুত করে আমাদের দিতো খাওয়ার জন্য।।
আপনার প্রস্তুত করা দেখে বহুদিনের পুরনো স্মৃতি মনে হয়ে গেল
মনে হচ্ছে খেতে খুব মজাদারি হয়েছিল ।।
ভাইয়া আমার এই রেসিপি দেখে আপনার পুরনো স্মৃতি মনে হওয়াতে খুব ভালো লাগলো। সত্যিই বৃষ্টির দিনে এই চাউল ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে ।ধন্যবাদ।