অনুগল্প || তমার আত্মহত্যার রহস্য
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে জানাই আমার সালাম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আজকে আবারও প্রতিদিনের মতো নতুন একটি গল্প নিয়ে চলে এসেছি। গল্প লিখতে ও পড়তে আমি খুব পছন্দ করি। একটা সময় প্রচুর গল্প ও উপন্যাসের বই পড়া হতো। কিন্তু বর্তমানে সেই সুযোগ ও সময় কোনোটাই হয়ে ওঠে না। আমি যখন গল্প পড়া শুরু করি তখন নিজেকে কল্পনায় সেই জায়গায় নিয়ে যাই। তখন যেনো মনে হয় এই ঘটনা গুলো আমার সাথে ঘটছে। সেই জায়গায় নিজেকে রেখে কল্পনা করতে খুব ভালো লাগে। আজকে এক রহস্যময় গল্প নিয়ে চলে এসেছি। যেই রহস্যের জাল কেউ কখনও উদঘাটন করতে পারেনি। রহস্যময় গল্প পড়তে আরও বেশি ভালো লাগে। তাহলে চলুন শুরু করি ----
তমা খুবই নরম মনের একজন মেয়ে। সে এতটাই সহজ সরল যার সাথে যাকে যে কেউ খারাপ ব্যবহার করতে পারে। তবে সে একটি ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করে। যদিও লাভ ম্যারেজ ছিল কিন্তু পরিবার কে জানিয়ে তারপর তাদের বিয়ে হয়। তমার সংসারে সুখের অভাব ছিল না। কিন্তু সেটা হয়তো সবাই দেখে কিন্তু কতটা সুখ ছিল তা তমা'ই ভালো বলতে পারবে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজের কষ্ট গুলো লুকানোর জন্য মুখে হাসি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
কিছু মানুষ রয়েছে যারা তাদের মনের কথা কখনও কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না। তমা ও সেই সব মানুষদের দলে পড়ে। তমা সবাই কে বলতো তার সংসারে কোনো সমস্যা নেই। সে খুব সুখে রয়েছে, কিন্তু তারপরও কোথাও যেন একটা কিন্তু রয়ে গিয়েছিল। তমার শ্বশুর বাড়িতে সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি আর সেজন্য কাজের চাপ ও অনেক। সারাদিন সে পরিশ্রম করে কিন্তু তাকে দেখার কিংবা যত্ন করার মতো মানুষ নেই।
তমা ভালোবেসে বিয়ে করেছে ঠিকই কিন্তু তার স্বামীর মধ্যে কেয়ারিং তেমন বেশি ছিল না। এই যে তমা দিন রাত সংসারের জন্য এত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, সেদিকে তার স্বামীর কোনো খেয়াল নেই। একটা মেয়ের বিয়ের পর তার স্বামীই থাকে সবচেয়ে আপন ও কাছের মানুষ। সেই মানুষের কাছ থেকে যখন অবহেলা পাওয়া হয় তখন মেয়েটির জীবনে আর কষ্টের কিছু বাকি থাকে না। তমা কখনও কাউকে কিছু বলেনি, কারণ সে ভাবতো ভালোবেসে বিয়ে করেছে কাউকে কিছু বললে হয়তো কয়েকটি কথা শুনতে হবে। সেজন্য সবসময় চুপচাপ থাকতো আর নিরবে কিছু ভাবতো।
একদিন সন্ধ্যায় পরিবারের সবার জন্য খুবই মজার মজার খাবার রান্না করে আর তাও সবার পছন্দ অনুযায়ী। কিন্তু তমার নিজের পছন্দের খাবার রান্না করেনি। এরপর সবাইকে রাতের খাবার খাইয়ে শুয়ে পড়ে আর সেই রাতে তমার কি হয়েছে কেউ জানেনা। সকালে তমার স্বামী তমার দেহ বাহিরে একটি গাছের মধ্যে ঝুলে থাকতে দেখে। তমার আত্মহত্যা করার আগে একটি লাইন লিখে দিয়ে সবাইকে বাঁচিয়ে রেখে যায়। যা পরবর্তীতে পুলিশ তমার ওড়না মধ্যে প্যাঁচানো অবস্থায় পায়। সেই কাগজে লেখা ছিলআমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তাহলে কেন তমা এই কাজ করলো তার রহস্য কেউ বের করতে পারেনি।
তমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমাদের সবাইকে সন্ধ্যার দিকে মজাদার খাবার রান্না করে খাইয়ে ছিলো আর সেই সময় তমা খুব হাসিখুশি ছিল। রাতে আমরা দু'জনে বসে বেশ কিছু সময় গল্প করে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু এরপর কি হলো আর কিছু বলতে পারি না। তাছাড়া তমার স্বামী যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারে সেজন্য তমা বাহিরে থেকে দরজা বন্ধ করে রেখে দেয়। এখন পরিবারের সবার একটাই চিন্তা ভাবনা তমা কেন এই কাজটা করলো? সেই রহস্য পুলিশ পর্যন্ত বের করতে পারিনি। এক ঝাঁক রহস্য নিয়ে তমা চলে গিয়েছে এই পৃথিবী ছেড়ে।
যাই হোক আমার গল্প আজ এখানেই শেষ করলাম, আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbja4sC5ZUQ1cTzZwYPsSiJ8fyCFS8g2jAJtXkWi8s8oi/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdkckySfU4dLA17wixLyomDfqmijASCbrGn3ceCYuhgNM/2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
![RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQ7F9Zp7jdu2Dym9AU62Tj5fHdsZoC1pamo6EkKJXC7K/RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png)
ঠিক বলেছেন আপু সবাই কষ্ট গুলোকে প্রকাশ করতে পারে না।সেরকম তমাও মনের ভীতরের লুকানো কষ্ট গুলো প্রকাশ করতে পারেনি এবং মনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে একদিন জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু এই কাজ বর্তমানে অনেক ঘটছে,প্রায় মেয়েরা নিজের কষ্ট ভুলার জন্য এই একটি রাস্তা বেছে নেয়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অবহেলা পাওয়ার থেকে আর বেশি কষ্ট কোনো কিছুতে হয় বলে আমি নিজেও মনে করি না। তমা সন্ধ্যা বেলায় তো দেখছি সবাইকে নিজেদের পছন্দ মত খাবার খাইয়ে ছিল। আর অনেক হাসিখুশি ছিল। সেই সাথে রাতে নিজের স্বামীর সাথে অনেকক্ষণ পর্যন্ত গল্প করেছিল। তারপর কি হয়েছিল এটা না জানতে পেরে আমি তো স্থির থাকতে পারছি না। রহস্যময় এই বিষয়গুলো মানুষকে অনেক বেশি ভাবায়। যদিও সে নিজের আত্মহত্যার জন্য কাউকেই দোষী করেনি, কিন্তু সে কেন আত্মহত্যা করলো এটাই শুধু বুঝতে পারছি না। তার ভিতরে হয়তো এমন কিছু লুকানো কষ্ট ছিল, যেটা তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
আপু এই রহস্য বের করতে গিয়েও আর করা হলো না আর সেজন্য সবার কাছে তমার মৃত্যুর রহস্য রয়ে গিয়েছে। হয়তো তমার মনে এমন কোনো কষ্ট ছিল যার জন্য চলে যেতে হলো। ধন্যবাদ।
তমার আত্মহত্যার রহস্য তো দেখছি থেকেই গিয়েছে শেষ পর্যন্ত। মনে করেছিলাম একেবারে শেষে তার আত্মহত্যার কাহিনীটা জানতে পারবো। আসলে কোন কিছু অপূর্ন থেকে গেলে, সেটার পূর্ণতার জন্য মন একেবারে পাগল হয়ে যায়। আর তেমনই রহস্যর ক্ষেত্রেও হয়। রহস্যের ভেদ যদি না হয় তাহলে আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগেনা। কিন্তু এখানে তো রহস্যের ভেদ হলো না। তমা কেন নিজেকে নিজে শেষ করে দিল?? এমন কোন দুঃখ তার ভিতর বাসা বেঁধে ছিল, যার কারণে সে এই পথ ভেসে বেছে নিয়েছে?? এ প্রশ্নগুলো তো এখন আমার মনের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে।
ভাইয়া এমন কিছু কষ্ট মানুষের ভেতরে থাকে যার জন্য সে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু রয়ে যায় তার রহস্য আর সেই রহস্য শুধু মাত্র যে চলে যায় সেই জানে। কিছু কিছু সময় থাকে যখন অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রহস্য ভেদ করতে পারে না তখন সবাই সেই কাজ থেকে সরে দাঁড়ায়। আমি নিজেও জানি না কেন তমার মৃত্যুর রহস্য বের করা হলো না। ধন্যবাদ।
আপু কিছু কিছু মরণ আছে মেনে নেওয়া যায় না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম তমা খুব সরল মনের মানুষ ছিল। তবে অনেক বিয়ে এরকম হয় ভালোবেসে পছন্দ করার পর ফ্যামিলিকে বলে বিয়ে করে। তবে আমার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে রাত্রে সবাইকে খাওয়া-দাওয়া করানোর পর সে কেন আত্মহত্যা করবে। আর তার হাতের মধ্যে বা লেখা এই চিঠি থাকবে। তবে আমার কাছে এই মৃত্যুটা রহস্যময় মনে হচ্ছে। যাইহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া তমার মৃত্যু খুবই রহস্যময় ছিল আর এই রহস্য কেউ উদঘাটন করতে পারেনি। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
এই ঘটনাটি তো পুরোটাই রহস্য আপু, এর শেষ এন্ডিং টা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। তাছাড়া তমার আত্মহত্যার কি কারন হতে পারে, এটাই তো সব থেকে বড় ভাবার বিষয় । এটা ঠিক যে, অনেক মানুষকে দেখে সুখী মনে হয় তবে প্রকৃতপক্ষে তারা সুখী কিনা সেটা বোঝা খুবই মুশকিল। তমার ক্ষেত্রে হয়তো সেরকমই কোন কিছু হয়েছিল। তার হয়তো লুকানো অনেক কষ্ট ছিল যা কোনদিন সামনে আনেনি। আর মৃত্যুর মাধ্যমে তা রহস্যজনকভাবেই শেষ হয়ে গেছে।
ভাইয়া সেই রহস্য কেউ বের করতে পারেনি তাই আমিও শেয়ার করতে পারিনি। কিছু কিছু ঘটনা থাকে তা সময়ের সাথে বিলীন হয়ে যায় আর তার রহস্য বের করার মতো আর কোনো মানুষ থাকে না। তমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ধন্যবাদ।
এটা আপনি ঠিক বলেছেন আপু। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত তাহলে অজানাই রয়ে গেলে তমার আত্মহত্যার রহস্য।
হ্যাঁ ভাইয়া