অনুগল্প || ভালোবাসার শেষ ঠিকানা মৃত্যু
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আবারও নতুন একটি গল্প নিয়ে চলে এসেছি। কিছু কিছু ভালোবাসা সুখের হয় আর কিছু কিছু ভালোবাসা মৃত্যু বয়ে আনে। সঠিক মানুষকে ভালোবাসতে পারলে জীবন সুন্দর, নয়তো মৃত্যু হবে,তা না হলে জীবন নষ্ট হবে। ভালোবাসায় মানুষ সবসময়ই অন্ধ থাকে তাই পরবর্তীতে কি হবে বুঝতে পারে না। তখনই তারা ভুল পথে পা বাড়ায়। তেমনি আজ আমাদের এখানে একটি ছেলের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা শেয়ার করতে এসেছি। যেই ভালোবাসার পরিনাম মৃত্যু হয়েছে।
আমাদের বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয় ঐ ছেলেদের বাড়ি। ছেলের নাম মোফাজ্জল। মোফাজ্জলের বাবা একজন ছোটখাটো ব্যবসায়ী। ছেলের পরিবার মোটামুটি ভালোই রয়েছে। ছেলে সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। তাই বলতে পারছি না কয় ভাই বোন। মোফাজ্জল একটি মেয়ে কে পছন্দ করে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক অনেক দিনের ছিল। এরপর ছেলে ঐ মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে। কিন্তু প্রথমে ছেলের বাবা-মা রাজি ছিল না। এরপর ছেলের কথা চিন্তা করে রাজি হয়। তারপর মোটামুটি অনুষ্ঠান করে মেয়েকে নিয়ে আসে।
বেশ কয়েকদিন ভালোই চলে তাদের বিবাহিত জীবন। ছেলে পরিবারের সুখের জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। এরপর থেকেই শুরু হয় ঝামেলা। মোফাজ্জল বিদেশে চলে গেলে বউ অন্য একটি ছেলের সাথে কথা বলে। প্রথম কিছুদিন বউ এর ব্যবহার ভালো ছিল কিন্তু যেদিন থেকে বউ অন্য কারো সাথে কথা বলা শুরু করে সেদিন থেকে ব্যবহার খারাপ হতে থাকে। মোফাজ্জল এর মা সব কিছু বুঝতে পারে। এরপর মোফাজ্জল কে ফোন করে তার মা সব বলে। কিন্তু মায়ের কথা সে বিশ্বাস করে না।
এরপর ছয়মাস বিদেশে থেকে মোফাজ্জল বাড়িতে আসে। একদিন মোফাজ্জল নিজের চোখে সব দেখতে পায়। তখন থেকে তাদের মধ্যে ঝামেলা হতে থাকে। মোফাজ্জল ছুটিতে এসে বেশিদিন থাকেনি। একদিন সবার সাথে রাগ করে আবার বিদেশে চলে যায়। সেখানে গিয়ে কিছুদিন পর বউকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। বউ তখন কাবিনের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিকে মোফাজ্জল সেখানে গিয়ে তেমন ভালো কাজ পায়নি। যারজন্য সব মিলিয়ে সে খুব টেনশন করতো।
এরপর একদিন হঠাৎ করে অতিরিক্ত টেনশন করতে করতে মোফাজ্জল স্ট্রোক করে মারা যায়। তারপর আঠারো দিনের মাথায় মোফাজ্জলের লাশ গতকাল বাড়িতে আসে। ভালোবাসার শেষ ঠিকানা মৃত্যু হবে সে বুঝতে পারেনি। মোফাজ্জল ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সুন্দর জীবন কাটানোর জন্য। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি তার সেই ভালোবাসা তাকে মৃত্যু পথযাত্রী করবে। সে একবুক কষ্ট নিয়ে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। এলাকার সব মানুষ বলছে অল্প বয়সে ছেলেটা এভাবে চলে গেলো এটা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও জন্ম যেহেতু হয়েছে মৃত্যু একদিন হবেই। তাই বলে এভাবে কারো জন্য নিজের জীবন নষ্ট করা ঠিক নয়। আজ যাই আবার দেখা হবে নতুন গল্পের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।