স্কুল জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারির কিছু ঘটনা।১০% লাজুক-খ্যাঁককে
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু-আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। বুঝতে পারছিনা শরীর দিন দিন কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। একদিন ভালো থাকলে দুই দিন অসুস্থ থাকি। আজ আবারও হঠাৎ করে দুপুরের পর থেকে খারাপ লাগছে।
আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন কার সময় সত্যি অনেক ভালো ছিল। মাঝে মাঝে মনে হয় সেই সময়ে যদি ফিরে যেতে পারতাম। সেই সময়ের হাসিমাখা মুখখানি মনে সত্যি ছিল আর এখন মনে হয় কষ্টগুলো মনের ভেতরে চেপে রেখে সবার সামনে হাসিমাখা মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। সময়ের সাথে সাথে সব কিছু কেমন জানি পরিবর্তন হয়ে যায়।
আজ হঠাৎ করে ছোটবেলায় একুশে ফেব্রুয়ারির ভোর বেলায় ওঠে স্কুলের যাওয়ার কথা খুব মনে পড়ে গেল। আমরা একুশে ফেব্রুয়ারিতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। ফজরের আযানের পর অন্ধকার থাকতেই বের হয়ে যেতাম বলে মা অনেক ভয় পেত। তারজন্য অনেক সময় যেতে দিত না। কিন্তু কান্না কাটি করে চলে যেতাম।
তখন ২০০৭ সাল ছিল আর আমি ঐ সময় ক্লাস সেভেনে পড়ি। তখন একুশে ফেব্রুয়ারিতে যাওয়ার জন্য আমরা বান্ধবীরা মিলে দু'দিন আগে থেকে ফুল জোগাড় করতে শুরু করলাম। যেহতু শীতের সময় একুশে ফেব্রুয়ারি হয় তারজন্য গাঁদা ফুল দিয়ে আমরা মালা বানাতাম। এই সময়টায় প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুল ফোটে।
আমার এক বান্ধবী সবসময় গাঁদা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বড় মালা বানিয়ে তার মাথায় খোঁপা বেঁধে তার মধ্যে আটকিয়ে সেজে গুঁজে যেত। তার তিন ভাই তাকে অনেক ফুল এনে দিত। আমাদেরও সেখান থেকে কিছু দিত। ঐ সময় আমরা সবাই ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠে একুশে ফেব্রুয়ারির উদ্দেশ্যে স্কুলের দিকে রওনা হলাম। আমরা সবাই একসাথে স্কুলে জমা হলে রেলি বের হয়।
এরপর স্কুলে ফিরে এসে সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিলাম। যখন সব অনুষ্ঠান শেষ হলো তখন সবাই চলে গেলে শহীদ মিনার থেকে ফুল নেওয়ার জন্য। হঠাৎ করে শহীদ মিনার ভেঙে আমার বান্ধবী ও আরও একটি ছেলের মাথায় পড়ে। আমার বান্ধবীর মাথায় অল্প একটু আঘাত পায় কিন্তু ঐ ছেলে বেশি আঘাত পায়। তারপর সাথে সাথে স্কুলের সব স্যার মিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। তার সব খরচ স্কুল থেকে বহন করা হয়।
এরপর শহীদ মিনার আবার নতুন করে তোলা হয় কিন্তু তার কাছে আর কাউকে যেতে দেওয়া হয়না।
যাই হোক আমার কথাগুলো এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট পড়ে ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbja4sC5ZUQ1cTzZwYPsSiJ8fyCFS8g2jAJtXkWi8s8oi/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdkckySfU4dLA17wixLyomDfqmijASCbrGn3ceCYuhgNM/2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
![RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQ7F9Zp7jdu2Dym9AU62Tj5fHdsZoC1pamo6EkKJXC7K/RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png)
আহা। আপনার বান্ধুবির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নিতো? ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো। আমরা করতাম কি স্কুলের শহীদ মিনার এ যেয়ে সেখান থেকে ফুল নিয়ে আবার সেখানেই রেখে দিতাম। তবে এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি কখনো।
ভাইয়া অল্প ব্যাথা পেয়েছে তবে অন্য একটি ছেলে অনেক ব্যাথা পেয়েছে। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
কি বলেন আপু! শহীদ মিনার মাথায় ভেঙে পড়েছিল! সাঙ্গাতিক বিষয় তো এটা। সংস্কার হয়নি মনে হয় ভালো করে। আপনার বান্ধবীও ব্যাথা পেয়েছিল অনেক মাথায়! যাক, শৈশবের সেই মুহূর্তগুলো আসলে কখনো ভুলার মতো নয়!
ভাইয়া অনেক পুরোনো হয়ে গিয়েছিল শহীদ মিনার তার জন্য এমন হয়েছে। সত্যি বলেছেন ভাইয়া শৈশবের মুহূর্ত গুলো কখনো ভুলার নয়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার স্কুলের একুশে ফেব্রুয়ারিতে যাওয়ার কথা শুনে আমার নিজের ও একুশে ফেব্রুয়ারিতে যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। আমাদেরকে একদম সাতটা য় স্কুল থেকে খালি পায়ে শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হতো। আপনারা দুইদিন আগে থেকে ফুল সংগ্রহ করতেন, এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। কিন্তু আপনার বান্ধবী এবং আরেকটি ছেলের মাথায় শহীদ মিনার ভেঙে পড়েছে এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে এটা একটা দুর্ঘটনা ছিল। নতুন করে শহীদ মিনার তৈরি করার পরেও আর কাউকে যেতে দিত না বিষয়টি সত্যি খারাপ লাগলো। কারণ একটা দুর্ঘটনার কারণে এখন আর কেউ শহীদ মিনারে যেতে পারে না।
আপু এই দুর্ঘটনার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। এমন হতে পারে আমরা বুঝতে পারিনি। গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
স্কুল জীবনের কথা সহজে ভোলা যায় না। মাঝে মাঝে স্কুল জীবনে ফিরে যেতে মন চায় যা কখনও সম্ভব না। ধন্যবাদ স্কুল জীবনের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
আপু ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে মনে হয় সেই জীবনে যদি আবার ফিরে যাওয়া যেত। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার শহিদ মিনার ঘটনাটি সাংঘাতিক। আপনি শহিদ মিনার যাওয়ার জন্য ২ দিন আগে থেকেই ফুল সংগ্রহ করতেন।আর ঘটনার দিন আপনার বান্ধবীর মাথায় শহিদ মিনার ভেংগে পরার বিষয়টি খুব দুঃখজনক।আবার শহিদ মিনার সংস্কার করার পরেও কাউকে যেতে দেয় না। বিষয়টি খুব খারাপ লাগলো। শেয়ার করে ঘটনাটি জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।