বাস্তবিক গল্প: ভালোবাসা বয়স কিংবা সম্পর্ক বুঝে না(শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামু আলাইকুম


IMG_20230705_124220.jpg


Location


গত সপ্তাহে বাস্তবিক গল্পের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম আর এখন শেষ পর্ব শেয়ার করতে চলে এসেছি। গত পর্বে বলেছিলাম আকাশ আর বৃষ্টির মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি আসাতে ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয়। বৃষ্টির ক্লাসমেটের সাথে সেদিনের পর আর তেমন কথা হয়নি। একদিন রাতুল নামের ছেলেটা বৃষ্টির বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তবে সেদিন বৃষ্টিকে দেখার জন্যই এসেছিল আর ভাগ্যক্রমে বৃষ্টি তার সামনে গিয়ে পড়ে। রাতুল আবার আকাশের চিঠি আদান প্রদানকারী ছেলের বন্ধু। এভাবে বেশ কিছু দিন ভালোই কেটে যায়। রাতুলের কথা বৃষ্টির মা জেনে যায় আর বৃষ্টিকে জিজ্ঞেস করাতে সে মাকে সব বলে দেয়।


এটাও বলে রাতুলের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। রাতুলের বাবা আবার সেই স্কুলের টিচার। বৃষ্টির মা সরাসরি স্যারকে এসব কথা বলে। এরপর দিন থেকে রাতুল আর স্কুলে আসেনি। কিছুদিন পর বৃষ্টি জানতে পারে রাতুল বিদেশে চলে গিয়েছে। এর মাঝে আকাশ আর বৃষ্টির মান অভিমানও ভেঙ্গে গিয়েছে। এরই মাঝে শীতকাল চলে আসে। একদিন রাতের বেলা আকাশ বৃষ্টির চাচির উঠানে দাঁড়িয়ে ছিল। শীতের সময় গ্ৰামে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। সেখানে বৃষ্টি আর তার মা সহ আরও অনেকে বসে ছিল।


কিছুক্ষণ পর এশার আযান দিলে সবাই চলে যায়। এদিকে বৃষ্টিকে তার মা বললো তুই এখানে বস আমি অযু করে আসি। এরপর তার মা চলে গেলে আকাশ বৃষ্টিকে ডাক দেয়। বৃষ্টিও তার ডাকে সারা দিয়ে সেখানে যায়। তাদের মধ্যে কথা হয় আকাশ সকালে বৃষ্টির স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে। এর মধ্যে বৃষ্টির মা চলে আসে আর বৃষ্টিকে খুঁজে না পেয়ে ডাকতে শুরু করে। বৃষ্টি তার মায়ের ডাক শুনে ভয় পেয়ে যায়। এরপর বৃষ্টি আসলে তার মা ঘরে নিয়ে মারধর করে। তারপর বৃষ্টির মা বলে চল তোকে আজই আকাশের বাড়িতে দিয়ে আসবো। এই কথা বলে বৃষ্টিকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।


বৃষ্টি তার মায়ের এই কথা শুনে অনেক ভয় পেয়ে যায়। এরপর বাহিরে গিয়ে বৃষ্টি তার মায়ের হাত ছাড়িয়ে এক দৌড়ে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে। এদিকে বৃষ্টির মা সব জায়গায় খুঁজতে থাকে আর না পেয়ে বৃষ্টির চাচাতো ভাই ও চাচিকে ডেকে আনে। এভাবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৃষ্টিকে একজায়গায় অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর বাড়িতে আনা হয় এবং বাড়ির আশেপাশের সবাই এসব কথা জেনে যায়। এসব কথা বৃষ্টির বাবাকে তাঁর মা সব জানায়। তার কিছুদিন পর বৃষ্টির বাবা চিন্তা করে আর গ্ৰামে থাকা যাবে না। তারজন্য একমাসের মাথায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে আসে।


এরপর বৃষ্টি কে শহরের স্কুলে ক্লাস নাইনে ভর্তি করায়। এভাবে কয়েক মাস কেটে যায়। আস্তে আস্তে বৃষ্টি শহরের নতুন বন্ধুবান্ধব পেয়ে আকাশ কে ভুলে যেতে থাকে। আপনারা হয়তো ভাবছেন এত দিনের ভালোবাসা বৃষ্টি এত তাড়াতাড়ি কিভাবে ভুলে যায়। এটার কারণ আছে বৃষ্টি যেই বয়সে আকাশকে পছন্দ করে সেই বয়সে ভালোবাসা হয়না,সেই বয়সে থাকে শুধু ভালো লাগা আর আবেগ। বৃষ্টি বড় হতে থাকে আর তার মধ্যেও পরিবর্তন চলে আসে আর সে ভালো মন্দ বুঝতে শেখে।


তারজন্য অবশ্য বৃষ্টি কে দোষ দেওয়াও যায় না। কারণ তার সেই বয়সটাই হলো ভুল করার বয়স। বৃষ্টি শহরে এসে তার বাবার কথা চিন্তা করে সব ভুলে লেখা পড়ায় মন দেয় আর বৃষ্টির বাবাও তাকে সবসময় বিভিন্ন উপদেশ দিতে থাকে। বৃষ্টির বাবা তাকে কতটা ভালোবাসে সে বুঝতে পারে তারজন্য সে আর বাজে দিকে মন না দিয়ে পড়ালেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার এখানে ভালো কিছু বান্ধবী পাওয়াতে তার জীবন একদম অন্যরকম হয়ে ওঠে। এভাবে দুটি বছর কেটে যায়।


একদম দু'বছর পর বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে আকাশ বিয়ে করেছে। কিন্তু তখন এই কথা শুনে বৃষ্টির একদমই মন খারাপ হয়নি। বরং সে বুঝতে পেরেছে এটাই হওয়ার ছিল। কারণ এই সম্পর্ক কোনোভাবে সম্ভব ছিল না। তবে আকাশ বিয়ে করার পরও বৃষ্টির সাথে যোগাযোগ রাখতে চেয়েছিল কিন্তু বৃষ্টি রাখেনি। আকাশ কে তখন মুখের উপর বলে দেয় এই সম্পর্ক কখনো সম্ভব নয় আর আমি এখন খুব ভালো আছি। আমাকে তুমি ভুলে যেতে পারো আর তোমার সংসারে মন দাও।


বন্ধুরা এই ছিল আমার গল্পের শেষ পর্ব। সত্যিই ভালোবাসা যেমন বয়স মানে না তেমনি সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর ও পরিবর্তন হয়ে যায়। আমার গল্প এখানেই শেষ করলাম আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর নিরাপদে থাকবেন।


IMG_20220215_193615.png



আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।

আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।



C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png


C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ (1).png


PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP


RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

ভালোবাসা বয়স কিংবা সম্পর্ক বুঝে না, গল্পটির আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি আপু তবে শেষ পর্বটি পড়ে এটুকু বুঝতে পারলাম, বৃষ্টি খুব অল্প বয়সেই আকাশের প্রেমে পড়ে গিয়েছে। আর রাতুল নামের একটি ছেলে তাদের মাঝে এসে পড়ায় ,তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। তবে যেহেতু এটি খুবই অল্প বয়সের প্রেম ছিল, তাই জন্যই বৃষ্টি সহজে শহরে যাওয়ার পর আকাশকে ভুলে যেতে পারলো। এর কারণ আসলেই ,অত ছোট বয়সে ভালোবাসা হয় না শুধুমাত্র ভালোলাগা হয়।

 11 months ago 

আপু এই বয়সটাকে ধরে রাখা খুবই কঠিন আর যারা ধরে রাখতে পারে তারাই জীবনে উন্নতি করতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।

 11 months ago 

আমি আপনার গল্পের কয়েকটি পর্ব পড়েছি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । আজকে শেষ পর্ব টি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আকাশ এবং বৃষ্টির সম্পর্ক থেকে বোঝা যায় সময় এবং পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 11 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া সময় এবং পরিস্থিতি মানুষকে অন্যরকম করে তুলে। ধন্যবাদ সবগুলো পর্ব পড়ে পাশে থাকার জন্য।

 11 months ago 

ভালোবাসা কখনো বয়স মানে না। প্রেম মানুষের ভিতরে যে কোন বয়সে আসতে পারে। এর আগের গল্পটা পড়ছে কিনা আমার ঠিক মনে নেই। কিন্তু এই গল্পটি পড়ে যা বুঝতে পারলাম বৃষ্টি আকাশের প্রেমে পড়েছিল। খুব ছোটকালে ভালোবাসা হয় না যেটা হয় সেটা হলো ভালোলাগা। বৃষ্টি আকাশ কে ভুলতে পারার একটি কারণ হলো তাদের ভেতর যেটা হয়েছিলো সেটা ভালোবাসা না ভালোলাগা ভালোলাগা।

 11 months ago 

বৃষ্টি ছোটবেলায় প্রেমে পড়েছে বলেই তা ভুলতে পেরেছে। কারণ তাকে ভালোবাসা বলে না সেটা শুধু ভালোলাগা আর আবেগ। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 11 months ago 

এই গল্পটির প্রথম পর্ব যদিও আমার পড়া হয়নি, তবে শেষের পর্বটা পড়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে। ভালোবাসা বয়স কিংবা সম্পর্ক বুঝেনা এটা সত্যি কথা, তবে বৃষ্টি যে সময় টাতে আকাশের সাথে সম্পর্ক করেছিল, এটা ছিল ভুল করার বয়স এবং আবেগের বয়স। যাইহোক সবশেষে শহরে আসার পর বৃষ্টি এটা বুঝতে পেরেছিল এবং আকাশও পরে বিয়ে করে নিয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। বৃষ্টি এখন ভালো আছে এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।

 11 months ago 

তারজন্যই এই বয়সে প্রায় ছেলে-মেয়েরা ভুল করে আর অবশেষে তাদের পরিণতি হয় মৃত্যু। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।

 11 months ago 

আসলে এই বয়সে আসলে ছেলে মেয়েরা আবেগের বশে এই ভুলটা করে থাকে। কিন্তু তারা যখন এই আবেগ থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে আসে তখন সব কিছু বুঝতে পারে। তেমনি বৃষ্টি ও ঢাকায় চলে আসার পরে আস্তে আস্তে সব কিছু বুঝতে পেরেছিল। অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে আপনার লেখা গল্পটা। সুন্দর করে লেখার কারণে সম্ভব ভালো লেগেছে।

 11 months ago 

হ্যাঁ আপু এই বয়সটা খুবই খারাপ যারা ধরে রাখতে পারে তারাই জীবনে উন্নতি করতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 11 months ago 

আমি আপনার প্রথম পর্বগুলো পড়ি নাই।আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সময় ভালোবাসার সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি আসলে কোন না কোন কিছু নিয়ে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টি এবং আকাশের সম্পর্কের মধ্যে রাতুলের কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। যদিও আকাশ এবং বৃষ্টির সম্পর্ক মধ্যে ঝগড়া হয়েছে এবং তাদের মা-বাবা জেনে গেল। তবে আমার কাছে ভালো লাগলো আকাশ বিয়ে করার পর বৃষ্টির সাথে যোগাযোগ করার বা সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছে। বৃষ্টি আকাশকে মানা করে তার ফ্যামিলির দিকে মন দেওয়ার জন্য বলল। আপনার ভালোবাসা বয়স কিংবা সম্পর্ক বুঝে না গল্পটি অসাধারণ ছিল।

 11 months ago 

ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের দেওয়ার জন্য।

 11 months ago 

আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়তে পারি নাই। তবে আজকের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কিছু কিছু ভালোবাসা আছে যেগুলোর কারণে মানুষ কষ্ট পায়। আর এই ভালোবাসার গুলোর মধ্যে তৃতীয় কোন লোক এসে ঝামেলা সৃষ্টি করে। যদিও রাতুল তাদের ভালোবাসার চিঠিগুলো আদান প্রদান করত। হয়তো আকাশ তাকে ভালো চোখে দেখতেন না। এদিকে ভালবাসার সম্পর্ক গুলো ফ্যামিলি গত ভাবে কেউ মানতে চায় না। এবং আকাশ বিয়ে করে ফেলেছে শুনে বৃষ্টি তেমন রাগ করে নাই। বরং আকাশ তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে বৃষ্টি তাকে বুঝিয়ে বলে। আকাশে ফ্যামিলির দিকে মন দেওয়ার জন্য। আসলে কিছু কিছু ভালোবাসা আছে না পেয়েও এ ভালোবাসা গুলো অনেক দিন পর্যন্ত মনে রাখে। যাহোক গল্পটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

আপনার কাছে এই গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59934.86
ETH 2666.82
USDT 1.00
SBD 2.45