থার্টি ফার্স্ট নাইটে ছেলের অনুভূতি।১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
হ্যালো আমার বাংলা পরিবারের সদস্যরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন।
আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। সবাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ২০২২ সাল কারো জীবনে সুখ বয়ে এনেছিল আবার কারও জীবনে দুঃখ নিয়ে এসেছিল। তবে আমার জীবনে দুটোই ছিল। সুখ-দুঃখ মিলিয়ে মানুষের জীবন। একটি বছর আমাদের জীবন থেকে চলে যাওয়া মানে আমরা মৃত্যুর পথে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আজ যে দিন চলে গিয়েছে সেই দিন আমাদের জীবনে আর কখনো ফিরে আসবে না।
সেই দিন যদি আপনার জীবনে খারাপ দিন থাকে তাহলে আপনার উচিত তা ভুলে গিয়ে নতুন দিন বরণ করে নেওয়া। কখনো পুরনো দিনকে মনে করে অনুশোচনা করা উচিত নয় এতে শুধু দুঃখই বাড়বে। আমরা যাতে নতুন বছরের প্রত্যেকটি দিন ভালো কাটাতে পারি তার জন্য বিধাতার কাছে প্রার্থনা করা উচিত। আপনার উপরের শ্রেণীর মানুষ কেমন আছে তা কখনো দেখবেনা। কারণ এতে আপনি কখনো ভালো কাজ অর্থাৎ ভালো পথে অগ্রসর হতে পারবেন না। সবসময় আপনার নিচের শ্রেণীর মানুষের দিকে তাকাবেন তাহলে আপনার জীবন মঙ্গলময় হবে।
সবাই এই নতুন বছরের প্রতিটা দিন আনন্দে থাকুক এই দোয়া কামনা করি। যাই হোক কাজের কথায় আসি আমার ছেলের জন্য এই বছরের প্রতিটা দিন স্পেশাল ছিল। তবে শেষ দিন সবচেয়ে বেশি স্পেশাল ছিল। আমি খুবই দুঃখিত তেমন কোনো ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি। কারণ ছবি তোলার জন্য তেমন সময় সুযোগ হয়নি। আমি সারাদিন তেমন কিছুই করিনি হালকা কিছু রান্নাবান্না করেছি। কিন্তু রাতের বেলা এতটা সারপ্রাইজ ছেলের জন্য থাকবে ভাবতে পারিনি। তার বড় মামা আর ছোট মামার পক্ষ থেকে এই সারপ্রাইজ ছিল।
আমাদের বিকালে মায়ের বাসায় দাওয়াত দেওয়া হয়। তার নানু ফোন দেওয়াতে সে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। তারপর আর কি করার চলে গেলাম। আমরা যাওয়ার পর আমাদের বাসায় রেখে সবাই বাহিরে চলে গিয়েছে। আরেকটি কথা বলে রাখি তার দুই দিন আগে বড় মামার পক্ষ থেকে সে একটি ড্রেস গিফট পায়। এতে সে মহা খুশি। যাই হোক আমরা বাসায় একা বসে থাকি। তারা সবাই বাহিরে গিয়ে দুই ঘন্টা পর আসে। এসে কলিং বেল দেওয়াতে দৌড়িয়ে দরজা খুলে এত সুন্দর গিফট দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই।
আমার ছোট ভাই তার ভাগিনার জন্য ছোট বাইসাইকেল নিয়ে আসে। আমার ছেলে এটা দেখে মহাখুশি হয়ে যায়। তারপর নান রুটি আর চিকেন নিয়ে আসে। আমরা খাওয়া দাওয়া করে ছাদে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। রাত যখন ১১.৪৫ বাজে তখন আমরা সবাই ছাদে চলে যাই। যখন ১২ টা বাজে তখন অন্ধকার আকাশ রঙিন হয়ে ওঠে। চারদিকে আতশবাজির শব্দে কিছুই শুনা যায় না। কিন্তু আমার ছেলে এটা দেখে খুব ভয় পেয়ে যায়। ওর বয়স দুই বছর হতে আরও দুই মাস বাকি আছে। ছোট মানুষ তো তারজন্য এত শব্দ নিতে পারেনি।
ছেলের জন্য আমার মা ছাদে বেশিক্ষণ থাকতে দেয়নি। কারণ আমার ছেলে ভয়ে একবার চোখ বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর আমি সিঁড়িতে এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু আমার ছেলে বারবার বলছে আম্মু বাসায় চল। তারপর আর থাকতে পারলাম না চলে আসলাম বাসায়। বাসায় আসার পরও চারোদিকের শব্দে সে অনেক ভয় পেয়ে যাচ্ছিল।
এভাবেই চলে যায় আমাদের বছরের শেষ দিন আর রাত। আমরা ভালোই কাটিয়েছি সারাটা বছর। জানিনা এই নতুন বছর আমাদের ভাগ্যে কি লেখা আছে। তবে খারাপ ভালো যাই থাকুক না কেন আমাদের সেটাই মেনে নিতে হবে। আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল যাতে সবাই সবার পরিবারকে নিয়ে এই নতুন বছরের প্রত্যেকটি দিন ভালোভাবে কাটাতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
মামাদের এতো আদর!এক ভাগ্নে কি সামলাতে পারবে!?😁।
আজ না হলো সামনের কোনো পোস্টে কিন্তু পিচ্চিকে দেখতে চাই সব গিফটসহ।
সবসময় ভালো থাকুক আর মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠুক,আরেক মামা হিসেবে দোয়া করি😇😊।
হ্যাঁ ভাইয়া আরেক দিন সময় সুযোগ করে সব গিফট দেখাবো। আপনাদের দোয়াই আমার ছেলের জন্য বড় উপহার। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
কিছু বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন আপু।আসলে উপরের লোকের দিকে তাকিয়ে কোন লাভ নেই, কারণ তারা তাদের মতই। তাদেরকে কেন্দ্র করে নিজে সফল কোনোভাবে সম্ভব নয়। তার চাইতে নিচে যারা রয়েছে তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখলে নিজের মঙ্গল হবে এবং নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। যে আমি কোথায় আছি আর অন্যরা কোথায় আছে আমি তো বিধাতার উসিলায় অনেক ভালোই আছি। ভালো লাগলো আপনার বাচ্চাকে তার মামা খুব চমৎকার সারপ্রাইজ দিল সেটা।আর ছাদে গিয়ে যখন সময় অতিবাহিত করছেন তখন আসলে চারদিকে আতশবাজির কারণে আপনার ছেলে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে।আসলে সেতো ছোট মানুষ, আমরা বড়রাও ভয় পাই ও তো এখনো দুই বছর ও হয় নাই। সব মিলি অনেক ভালো লাগলো আপনার ব্লগটি
কিন্তু আমরা কখনো নিচের স্তরের মানুষের দিকে না তাকিয়ে সবসময় উপরের দিকে তাকাই বলেই আমরা ধ্বংস হয়ে যাই। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ বাস্তবমুখী একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
ভাগিনার জন্য মামার উপরের তো কমতি নেই। আর সেদিনের রাতের কথা কি বলব আর আমার তো একবার মনে হয়েছিল একাত্তরের যুদ্ধ বোধহয় আবার লেগে গেল। আর বাবু তো ভয় পাওয়ার কথা সে তো মাত্র বাচ্চা।
একাত্তরের যুদ্ধ থেকেও কম নয়। যাদের হার্ট দুর্ভল তাদের এই শব্দে অনেক সমস্যা হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু সুখ দুঃখ নিয়ে আমাদের জীবন। তা নিয়েই আমাদের চলতে হয়। উপরের দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকালে মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। আপনার ছেলের জন্য মামাদের দেয়া সারপ্রাইজ বেশ ভাল এনজয় করে আপনার ছেলে। আর বাচ্চা যেহেতু ছোট সেহেতু সে আওয়াজে ভয় পাবে ,এটাই স্বাভাবিক।অনেকশুভ কামনা আপনার জন্য।
আপু নিজেকে সুখি মনে করলেই জীবন সুন্দর হয়। হ্যাঁ আপু সে মামাদের এমন গিফট পেয়ে মহা খুশি। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু। সুখ - দুঃখ, হাসি- আনন্দ নিয়ে আমাদের জীবন।এই জীবনে এত উপরের দিকে দেখে কষ্টই বাড়বে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মানুষ এত সব আয়োজন করে, যে কারো কষ্ট হয় কিনা তেমনটা ভাবে না।বাচ্চারা এত শব্দ সত্যি সহ্য করতে পারেনা। ছেলেকে তো দারুন উপহার দিল মামারা। ছেলে খুব খুশী হলো।বাচ্চাদের আনন্দ সত্যি ই খুব ভাল লাগে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেক অভিনন্দন আপু আপনার জন্য।
আপু আমার ছেলে শব্দ একদমই সহ্য করতে পারেনা। হ্যাঁ আপু মামাদের কাছ থেকে এমন গিফট পেয়ে সে খুব খুশি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ্ আপনার ভাইয়েরা আপনার ছেলেকে এত সুন্দর একটা ট্রাই সাইকেল গিফট করেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। বাচ্চাদের কাছে ট্রাই সাইকেল টাই সমস্ত জগৎ। ওটায় কত আনন্দ করে ওরা! নিজেদের ছোটবেলার কথাই মনে পড়ে গেল।আর সত্যি বলতে বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে যারা শব্দবাজি ফাটায় তাদের একটু কম শব্দবাজি ফাটানো উচিত।
আমার ছেলে সারাদিন এখন এটা নিয়ে বসে থাকে। সে তো এই সাইকেল পেয়ে মহা খুশি। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।