জেনারেল রাইটিং|| মায়ের সুখের জন্য সন্তানের মৃত্যু
আসসলামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
'মা' এমন একজন ব্যক্তি যার সাথে অন্য কারো তুলনা করা যায় না। একটা বাচ্চা জন্মের পর প্রথমেই তার মা কে চিনে। প্রথম ডাক মা দিয়েই শুরু হয়। বাচ্চারা সবসময় মায়ের কাছেই নিরাপদ থাকে। এরচেয়ে শান্তি ও নিরাপদ স্থান দুনিয়ার আর কোথাও নেই। কিন্তু যখন সেই জায়গা অনিরাপদ হয়ে উঠে তখন একটা সন্তানের জন্য তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। একজন মা অন্যায় করলে সকল মায়ের ঘাড়ে সেই দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সব মা যদি এক রকম হতো তাহলে তো সব বাচ্চারা মারা যেতো আর এই দুনিয়াও ধ্বংস হয়ে যেতো।
তবে এই পৃথিবীতে এমন কিছু মা রয়েছেন যা তাদের নিজেদের সুখের জন্য সন্তানকে বলিদান করেন। যেসব মা এই কাজ গুলো করেন সেসব মা কে ধীক্কার জানাই। তাদের যখন নিজের লাইফটা ইনজয় করার এত ইচ্ছা তাহলে সন্তান কেন নেয়? তার তো সারাজীবন সন্তান ছাড়া আনন্দ ফুর্তি করে বাঁচতে পারে। একটা সন্তানের জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। মা হতে গেলে নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য সব কিছু বিসর্জন দিয়ে দিতে হয়। একজন মায়ের তখন একটা জীবন তা হলো তার সন্তান।
কিন্তু সবাই নয় হাতে গুনা কিছু মা রয়েছেন যারা সন্তানকে ভুলে গিয়ে নিজের লাইফ মন মতো ইনজয় করতে পছন্দ করে। তেমনি এক মায়ের কথা বলতে এসেছি। আমি তাকে মা বলবো নাকি অন্য কিছু বুঝতে পারছি না। আপনারা সম্পূর্ণ ঘটনা শুনলে বুঝতে পারবেন। গত দু'দিন ধরে ফেসবুকে একটা খবর খুব ভাইরাল হয়েছে। যার ঘটনা বিদেশে হয়েছে তবে এমন ঘটনা আমাদের দেশেও হয়েছিল। মহিলাটির স্বামী কোথায় জানি না। মহিলা তার ১৬ মাসের বাচ্চাকে ঘরে রেখে বাহিরে থেকে তালা দিয়ে উনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সমুদ্রের পাড় ঘুরতে চলে যায়।
সেখানে গিয়ে মহিলা প্রায় ১১ দিন ছিল। উনার সেই সময় সন্তানের কথা একবারও মনে আসেনি। এর মধ্যে বাচ্চাটি খাবারের জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। অবশেষে কিছু না পেয়ে নিজের মলমূত্র খেয়েই বাঁচার চেষ্টা করেছে। এই ছোট বাচ্চাটিও বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। মহিলাটি ১১ দিন পর বাসায় এসে সন্তানের এমন অবস্থা দেখেও তার কোনো কষ্ট হয়নি। বরং সে বাচ্চাকে পরিষ্কার করে নতুন জামা পড়ায়। তারপর ডাক্তার খবর দেওয়া হয়। ডাক্তার এসে বাচ্চার অবস্থা দেখেই বুঝে যায়। এরপর এই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এরপর মহিলাটি কে শাস্তি দেওয়া হলে সে খুব কান্না করে। কিন্তু সেই কান্না সন্তানের জন্য নয়। তার শাস্তি হয়েছে বলে কান্না করে। এত বড় একটি অন্যায় করার পরও মহিলার কোনো অনুশোচনা ছিল না। তার সন্তান হারিয়েছে বলেও তার কোনো কষ্ট নেই। সেই মহিলার মধ্যে সন্তান হারানোর কোনো ধরনের কষ্ট ছিল না। এই খবর দেখার পর বাচ্চাটার জন্য অনেক খারাপ লেগেছিল। নিষ্পাপ বাচ্চাটি কতটা কষ্ট পেয়ে মারা গেলো।
এসব মহিলারা কেন বাচ্চার জন্ম দেয় বুঝিনা। তাদের কাছে যখন বাচ্চা এতটাই বিরক্তের জিনিস তাহলে কাউকে দিয়ে দিতে পারে কিংবা জন্ম না দিলেই পারে। এরা মা নামের কলঙ্ক। তবে এই একটি মহিলার জন্য পৃথিবীর বাকি মা কে দোষারোপ করা যাবে না। মা এমন একজন ব্যক্তি যে নিজের স্বার্থ ছাড়াই সন্তান কে বড় করে তুলে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbja4sC5ZUQ1cTzZwYPsSiJ8fyCFS8g2jAJtXkWi8s8oi/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdkckySfU4dLA17wixLyomDfqmijASCbrGn3ceCYuhgNM/2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
![RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQ7F9Zp7jdu2Dym9AU62Tj5fHdsZoC1pamo6EkKJXC7K/RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png)
কয়েকদিন থেকে ফেসবুকে এই খবরটি খুবই ভাইরাল হয়েছে। কাহিনীটি শুনে সত্যিই খুব খারাপ লেগেছিল বাচ্চাটির জন্য। কাহিনীটি শোনার পর আমার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন জাগছিলো যে, একটা মা কিভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারে? যাই হোক, কাহিনীটি পোস্ট আকারে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এমন ঘটনা শুনার পর আমিও শুধু বারবার ভাবছিলাম মা কিভাবে এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে? এইসব মহিলাদের মা হওয়ার কোন অধিকার নেই। আপনিও এমন একটি ঘটনা দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।