জেনারেল রাইটিং: মাছের কাঁটা যখন বিপদজনক হয়ে উঠে।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। তবে ছেলে ব্যথা পেয়েছে সেজন্য মনটা খুব খারাপ। সকালে তার বাবার সাথে বাহিরে গিয়েছিল তখন পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে আর দুই হাঁটু, হাতের তালুতে চামড়া উঠে গিয়ে একটু রক্ত বের হয়েছে। বাচ্চারা মনে হয় মা কে দেখলে বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়ে। সে কিন্তু রাস্তায় কান্না করেনি। বাসায় এসে আমাকে বলে আম্মু আমি ব্যথা পেয়েছি আর আদর করতে গেলেই কান্না শুরু করে দেয়। ওর বাবা দেখে তো অবাক বলে এটা কি হলো। রাস্তায় তো একটুও কান্না করেনি। বাসায় এসে তোমাকে দেখেই কান্না শুরু করে দিল। শীতের দিন একটু কেটে গেলেই খুব খারাপ লাগে। ছেলে আমার কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছে।
Location
আজ বছরের শেষ দিন আর হয়তো এই দিনটিকে ঘিরে সবার বিভিন্ন প্ল্যান রয়েছে কিন্তু আমার নেই। তার কারণ কি জানেন আমার জীবন থেকে যে একটি বছর আর এতটা সময় চলে গিয়েছে সেটা হয়তো ভালো খারাপ মিলিয়ে ছিল। কিন্তু সামনে যে নতুন বছর শুরু হবে তা কেমন হবে জানা নেই তাহলে কেন সেই দিনটি নিয়ে এত আনন্দে মেতে উঠবো। তবে নতুন বছর আসছে তা মন থেকে গ্ৰহণ করে নিয়ে স্বাগত জানাই। নতুন বছর অনেকের জীবনে হয়তো আনন্দ বয়ে আনবে আবার হয়তো অনেক মানুষ কষ্টে দিন পার করবে।
তার জন্য বলে যায় দিন ভালো যায় কিন্তু আসে দিন কেমন যাবে কেউ বলতে পারে না। এই কথা বলার কারণ আছে সবশেষে বুঝতে পারবেন। যাই হোক কাজের কথায় আসি আমার টাইটেল দেখে হয়তো ভাবছেন মাছের কাঁটা বিপদজনক হয়ে উঠে কিভাবে? হ্যাঁ মাঝে মাঝে এমন কিছু জিনিস থাকে যা ছোট হলেও মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। ছোট জিনিস দেখা যায় না তাই অনেক সময় সেগুলো দিয়ে অজান্তেই আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার মধ্য মাছের কাঁটা অন্যতম।
আমার বড় ফুফু ভাত খাবার সময় একদম ছোট পাতলা একটা কাঁটা গলায় আটকে যায়। আমরা সাধারণত বলি মাছের কাঁটা গলায় বিঁধলে শুধু গরম ভাত সেই সাইডে কাঁটা লেগে আছে সেদিকে করে ভাত না চিবিয়ে গিলে ফেলতে হয়। এতে করে কাঁটা চলে যায়। আমারও এমন অনেক বার হয়েছিল আর এভাবে ভাত খাওয়াতে চলে গিয়েছিল। আমার ফুফুও তাই করেছিল আর মনে হয়েছে চলে গিয়েছে। এরপর আর কোনো সমস্যা হয়নি এভাবে বেশ কয়েকদিন চলে যায়।
এরপর হঠাৎ করে সেই জায়গাটা একটু একটু করে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর বুঝতে পারে গলার ভিতরে ফোলে উঠেছে আর ব্যাথা শুরু হয়। এরপর ডাক্তারের কাছে যায় আর এই অবস্থা দেখে অপারেশন করতে বলে। তখন আমার ফুফু অপারেশন করে আর ডাক্তার দেখতে পায় একদম মাংসের ভিতরে একদম ছোট একটা কাঁটা লেগে রয়েছে। সেজন্য মাংস ফোলে উঠেছে। এরপর কাঁটা বের করে সেই জায়গার মাংস একটু কেটে ফেলা হয়। তারপর আমার ফুফু সুস্থ হয়ে যায়। এভাবে আরও কয়েকমাস চলে যায়।
এরপর সেই জায়গায় আবার ব্যথা শুরু হয়। তখন পরীক্ষা করে জানতে পারে ঐ জায়গার মাংসের মধ্যে পঁচা ধরেছে আর সেটা ক্যান্সারে রুপ নিচ্ছে। ডাক্তার বলে দিয়েছে তাড়াতাড়ি অপারেশন করলে ঠিক হবে তা না হলে ক্যান্সার হয়ে যাবে। এই কথা শুনে সবাই ভয় পেয়ে যায়। শুনেছিলাম ঢাকায় এসে অপারেশন করবে। আমি আপনাদের একটা কথা বলেছিলাম না যায় দিন ভালো যায় আসে দিন কেমন যায় কেউ জানে না। আমার ফুফুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে এর আগের বছর ভালো গিয়েছে কিন্তু এই বছর উনার জন্য খুবই খারাপ যাচ্ছে এমনি কি নতুন বছরে কি অপেক্ষা করছে জানে না।
আমার ফুফুর জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন এই অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে যায় আর কোনো সমস্যা না হয়। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন আর নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণ করে নতুন ভাবে চলার অঙ্গীকার করবেন। ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। তবে ছেলে ব্যথা পেয়েছে সেজন্য মনটা খুব খারাপ। সকালে তার বাবার সাথে বাহিরে গিয়েছিল তখন পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে আর দুই হাঁটু, হাতের তালুতে চামড়া উঠে গিয়ে একটু রক্ত বের হয়েছে। বাচ্চারা মনে হয় মা কে দেখলে বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়ে। সে কিন্তু রাস্তায় কান্না করেনি। বাসায় এসে আমাকে বলে আম্মু আমি ব্যথা পেয়েছি আর আদর করতে গেলেই কান্না শুরু করে দেয়। ওর বাবা দেখে তো অবাক বলে এটা কি হলো। রাস্তায় তো একটুও কান্না করেনি। বাসায় এসে তোমাকে দেখেই কান্না শুরু করে দিল। শীতের দিন একটু কেটে গেলেই খুব খারাপ লাগে। ছেলে আমার কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছে।
আজ বছরের শেষ দিন আর হয়তো এই দিনটিকে ঘিরে সবার বিভিন্ন প্ল্যান রয়েছে কিন্তু আমার নেই। তার কারণ কি জানেন আমার জীবন থেকে যে একটি বছর আর এতটা সময় চলে গিয়েছে সেটা হয়তো ভালো খারাপ মিলিয়ে ছিল। কিন্তু সামনে যে নতুন বছর শুরু হবে তা কেমন হবে জানা নেই তাহলে কেন সেই দিনটি নিয়ে এত আনন্দে মেতে উঠবো। তবে নতুন বছর আসছে তা মন থেকে গ্ৰহণ করে নিয়ে স্বাগত জানাই। নতুন বছর অনেকের জীবনে হয়তো আনন্দ বয়ে আনবে আবার হয়তো অনেক মানুষ কষ্টে দিন পার করবে।
তার জন্য বলে যায় দিন ভালো যায় কিন্তু আসে দিন কেমন যাবে কেউ বলতে পারে না। এই কথা বলার কারণ আছে সবশেষে বুঝতে পারবেন। যাই হোক কাজের কথায় আসি আমার টাইটেল দেখে হয়তো ভাবছেন মাছের কাঁটা বিপদজনক হয়ে উঠে কিভাবে? হ্যাঁ মাঝে মাঝে এমন কিছু জিনিস থাকে যা ছোট হলেও মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। ছোট জিনিস দেখা যায় না তাই অনেক সময় সেগুলো দিয়ে অজান্তেই আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার মধ্য মাছের কাঁটা অন্যতম।
আমার বড় ফুফু ভাত খাবার সময় একদম ছোট পাতলা একটা কাঁটা গলায় আটকে যায়। আমরা সাধারণত বলি মাছের কাঁটা গলায় বিঁধলে শুধু গরম ভাত সেই সাইডে কাঁটা লেগে আছে সেদিকে করে ভাত না চিবিয়ে গিলে ফেলতে হয়। এতে করে কাঁটা চলে যায়। আমারও এমন অনেক বার হয়েছিল আর এভাবে ভাত খাওয়াতে চলে গিয়েছিল। আমার ফুফুও তাই করেছিল আর মনে হয়েছে চলে গিয়েছে। এরপর আর কোনো সমস্যা হয়নি এভাবে বেশ কয়েকদিন চলে যায়।
এরপর হঠাৎ করে সেই জায়গাটা একটু একটু করে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর বুঝতে পারে গলার ভিতরে ফোলে উঠেছে আর ব্যাথা শুরু হয়। এরপর ডাক্তারের কাছে যায় আর এই অবস্থা দেখে অপারেশন করতে বলে। তখন আমার ফুফু অপারেশন করে আর ডাক্তার দেখতে পায় একদম মাংসের ভিতরে একদম ছোট একটা কাঁটা লেগে রয়েছে। সেজন্য মাংস ফোলে উঠেছে। এরপর কাঁটা বের করে সেই জায়গার মাংস একটু কেটে ফেলা হয়। তারপর আমার ফুফু সুস্থ হয়ে যায়। এভাবে আরও কয়েকমাস চলে যায়।
এরপর সেই জায়গায় আবার ব্যথা শুরু হয়। তখন পরীক্ষা করে জানতে পারে ঐ জায়গার মাংসের মধ্যে পঁচা ধরেছে আর সেটা ক্যান্সারে রুপ নিচ্ছে। ডাক্তার বলে দিয়েছে তাড়াতাড়ি অপারেশন করলে ঠিক হবে তা না হলে ক্যান্সার হয়ে যাবে। এই কথা শুনে সবাই ভয় পেয়ে যায়। শুনেছিলাম ঢাকায় এসে অপারেশন করবে। আমি আপনাদের একটা কথা বলেছিলাম না যায় দিন ভালো যায় আসে দিন কেমন যায় কেউ জানে না। আমার ফুফুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে এর আগের বছর ভালো গিয়েছে কিন্তু এই বছর উনার জন্য খুবই খারাপ যাচ্ছে এমনি কি নতুন বছরে কি অপেক্ষা করছে জানে না।
আমার ফুফুর জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন এই অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে যায় আর কোনো সমস্যা না হয়। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন আর নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণ করে নতুন ভাবে চলার অঙ্গীকার করবেন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার ছেলে তো একেবারে মা ভক্ত, তাই আপনাকে দেখে একেবারে ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিল। নয়তো ব্যথা পাওয়ার পর তো রাস্তায় কান্নাকাটি করার কথা ছিলো। যাইহোক মাছের কাটা গলায় বিঁধলে খুব খারাপ লাগে। আমারও ২ বছর আগে আইড় মাছের কাটা বিঁধেছিল গলায়। অনেক কষ্ট হয়েছিল কাটা গলা দিয়ে নামাতে। যাইহোক আপনার ফুপুর জন্য অনেক খারাপ লাগলো। আসলে মানুষের জীবনে কখন কি হয়ে যায় সেটা বলা যায় না। আপনার ফুপুর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
বাচ্চাদের আবেগের জায়গায় হল তাদের মা। মাকে দেখলে বাচ্চাদের সব দুঃখ মনে পড়ে
আসলেই বেশ খারাপ লাগলো আপনার ফুফুর বিষয়টি শেনে। আসলেই কি একটা ছোট মাছের কাঁটা থেকে এত বড় বিপদ আসবে? এটা ভাব যায়? কত কিছুই ঘঠে যাচ্ছে। আপনার ফুফুর অসুখ যেন ক্যান্সারের দিকে না যায় সেই দোয়া করি। তাড়াতাড়ি যেন অপারেশনটা সেরে ফেলে।
হ্যাঁ আপু অপারেশন এর জন্য রেডি হচ্ছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু বাচ্চারা মাকে দেখলে ইমোশনাল হয়ে পড়ে।তবে ব্যাথা কিন্তুু ভালোই পেয়েছে। আপনার ফুপুর কথা শুনে বেশ খারাপ লাগছে। এমন ঘটনা অনেক শুনেছি যে গলায় মাছের কাটা বিঁধে ক্যান্সার হয়ে মারা গেছে। আসলে নতুন বছর সবার জন্য ভালো আসে না কারো জিবনে ভালো বছর গিয়ে খারাপ বছরের অপগমন ঘটে আবার কারো বা খারাপ বছর গিয়ে ভালো বছরের আগমন ঘটে।তবে সবাই এটাই ভাবে যে বছরটা ভালো হবে। এই প্রত্যাশা করে ইনজয় করে বরণ করে নতুন বছরকে।আপনার ফুপুর সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।