এই ছোট্ট জীবন মানুষ কে অনেক কিছু শেখায়
প্রতিদিনের মতো আজও ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কি নিয়ে পোস্ট করতে চলে এসেছি। আজ কিছু জটিল কথা শেয়ার করবো। আমাদের এই জীবনটা ছোট্ট হলেও এর মাঝে জানার শেখার যেনো কোনো শেষ নেই। দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শেখার সময়। একেক বয়সে গিয়ে আপনি একেক রকম শিক্ষা লাভ করবেন। কখনো বা ভালো শিক্ষা, কখনো বা খারাপ শিক্ষা আবার কখনও বা অপ্রত্যাশিত বিষয়। একেক সময়ে একেক রকম বিষয়বস্তু আপনার সামনে এসে হাজির হবে। কিছু বিষয় আপনাকে খুশি করবে আবার কিছু বিষয় অনেক বেশি কষ্ট দেবো।
দুঃখ কষ্ট মিলিয়েই আমাদের জীবন। কেউ কখনও বলতে পারবে তার কোনও দুঃখ নেই কিংবা সুখ নেই। এক সেকেন্ডের জন্যও হলেও তার জীবনে দু'টো জিনিসই আসবে। তবে প্রতিটা ক্ষেত্রে নিজেকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধৈর্য ধরলে একদিন না একদিন তার ফল পাওয়া যাবে। বিপদ যেমন আসে তেমনি চলেও যায়। শুধু রয়ে যায় সেই বিপদের স্মৃতি গুলো। যা মনে পড়লে খুব কষ্ট লাগে। তেমনি সকালে যাকে গরীব দেখেছেন বিকালে তাকে গরীব দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই তো নিয়তির খেলা*। জীবন মানুষকে কখনও কখনও কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দেয়।
এই ছোট্ট জীবনে কত চড়াই উতরাই পেরিয়ে শেষ সীমানায় যেতে হয় তার কোনো শেষ নেই। একদিন যেখান থেকে জীবনের শুরু হয়,সময়ের সাথে সাথে একদিন জীবনটা সেখানে গিয়েই শেষ হয়। যেমন, মানুষের যখন জন্ম হয় তখন সে অবুঝ থাকে আর তার বুঝার মতো কোনো জ্ঞান বুদ্ধি থাকে না। তেমনি বৃদ্ধ বয়সে এসে সেই মানুষটি আবারও একই রুপে পরিণত হয়। এখনও শিশু বয়সের মতো তার কোন জ্ঞান বুদ্ধি থাকে না। সেই সময় পর্যন্ত যারা যেতে পারে তারা কতটা অসহায় থাকে তাই না। নিজেকে নিয়ে যদি সেই সময়ে দাঁড় করিয়ে দেখেন সত্যি অনেক কষ্ট লাগবে। সেখান থেকেও কিন্তু অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
আমাদের জীবনটা খুবই অদ্ভুত। কেউ বা হাসে,কেউবা কাঁদে এই তো জীবনের খেলা। এই পরিস্থিতি ভালো বুঝা যায় হাসপাতালে গেলে। সেখান থেকেও অনেক কিছু শেখার রয়েছে। কিভাবে আপনি এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখবেন? অনেক সময় দেখবেন হাসপাতালে গেলে কেমন জানি নিজের মধ্যে একটা অশান্তি কাজ করে। আপনাদের লাগে কিনা জানিনা তবে আমার লাগে। তখন মনে হয় আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন,এটাই শুকরিয়া।
প্রত্যেকটা সময় যেমন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তেমনি শিক্ষনীয়। সব সময় এই জীবন থেকে কিছু না শেখার থাকে। অনেক সময় দেখবেন আশেপাশে এমন সব ঘটনা ঘটেছে চলেছে যা থেকেও আপনি শিক্ষা লাভ করতে পারবেন। এই জীবনে মৃত্যু ছাড়া শিক্ষার শেষ হবে না। জীবনটা ছোট্ট হলেও এর গভীরতা অনেক বেশি। যেখানে মৃত্যুই শেষ ঠিকানা। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
এই বিষয়টাতে আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের প্রতিটা বিষয় থেকে শিক্ষা নেওয়ার দরকার আছে। আর হ্যাঁ একজন মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখন সে বুঝতে পারে আসলে জীবনটা কতটা সংক্ষিপ্ত।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আমাদের শিক্ষার কোন শেষ নেই। আমরা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করি।সত্যি বলতে আমাদের কার ভাগ্য কখন কিভাবে পরিবর্তন হয় আমরা বলতে পারবো না।তবে নিজের শক্তি থাকলে কাউকে পরোয়া না করা ঠিক নয়। আসলে পৃথিবীতে আমরা দুদিনের অতিথি। তাই আমাদের সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে চলা উচিত। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা দু'দিনের অতিথি তাই সবার সাথে মানিয়ে চলাই ভালো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমাদের অনেক বেশি শিক্ষা দিয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই আসলে সুখ এবং দুঃখ এই দুটো জিনিস রয়েছে। তবে এই দুটোকে ব্যালেন্স করে যারা চলতে পারে তারা তাদের জীবন জার্নিটা কিছুটা হলেও স্বস্তির সাথে করতে পারে। তবে এটা ঠিক, একটা মানুষ যখন বয়স্ক হয়ে যায়, তখন তার থেকে অসহায় আর কেউ হয় না। আর হসপিটালে গেলে আসলে বোঝা যায় মানুষ কতটা অসহায়। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমরা আসলেই অনেক ভালো আছি।
হ্যাঁ ভাইয়া মানুষ যখন বয়স্ক হয়ে যায় তখন সবচেয়ে বেশি অসহায় থাকে। তাছাড়া হাসপাতালে গেলেই বুঝা যায় আমরা কতটা ভালো রয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।