বাবার জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাক🦊এর জন্য
আসসালামু-আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে যা শেয়ার করবো সম্পূর্ণ ঘটনা সত্য। আমার আব্বু আমাদের তার জীবনের কিছু ঘটনা বলেছেন। আমরা হয়তো জীন-ভুত এগুলোকে বিশ্বাস করি না।এই পৃথিবীতে ভূত-পেত্নী বলতে কিছু নেই কিন্তু জীন জাতি আছে। জীনদের মধ্যে ভালো খারাপ দুটোই আছে। আমি আজ পর্যন্ত তেমন কিছু দেখিনি তবে সবার কাছে অনেক গল্প শুনেছি।
আমার কাছে আবার এই ধরনের গল্প শুনতে ভালোও লাগে আবার ভয়ও লাগে।আপনারা দেখছি এমন কিছু কিছু পোস্ট শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লেগেছিল তাই ভাবলাম আমিও যেহেতু এমন ঘটনা জানি তাহলে শেয়ার করে নেই। প্রথমেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার বাবা তখন মাত্র আমার মা কে বিয়ে করেছেন। আমার বাবা ঢাকায় চাকরি করতো তারজন্য আমার মা আমার নানার বাড়িতে ছিল। আমার আব্বু যখন গ্রামে যেত তখন আমার নানার বাড়িতেই যেতো।মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে এসে থাকতো। একদিন সন্ধ্যার দিকে আমার আব্বুর বন্ধুরা সবাই মিলে চিন্তা করলো হলে ছবি দেখতে যাবে। প্রথমে আব্বু যেতে রাজি ছিল না পরে তাদের কথা রাখতে যেতে হয়েছি।
তাদের মুভি দেখতে দেখতে তখন রাত ১২টা বেজে গেল।সবাই আবার আমাদের বাজারে এসে জমা হলো।এরপর সবাই সবার বাড়িতে চলে গেল।আব্বুকেও তাদের বাড়ি যেতে বলেছিল কিন্তু মা রাগ করবে বলে আর যাইনি। আমার নানার বাড়ি যেতে আমাদের বাজারের পর আরও একটি বাজার পার করে তারপর যেতে হয়। আব্বু হাতে একটি মোটা লাঠি নিয়ে আল্লাহ ভরসা বলে হাঁটা শুরু করলো।
যখন দুটি বাজার পার হলো তখন রাত প্রায় ১টা বাজে।গ্রামে রাত ১টা মানে তো অনেক রাত সেটাতো আপনারা সবাই জানেন। বাজারের পর অনেক বড় রাস্তা শুরু সেই রাস্তার পাশে ধাপ ক্ষেত আবার একটু দূরে একটা স্কুল আবার কিছু রাস্তার মোড় আছে। এই রাস্তায় দিনের বেলাই অনেক সময় মানুষ ভয় পায়।আব্বু যখন স্কুল পার হলো তখন হঠাৎ করে শুনে পিছন দিয়ে ঘোড়ার শব্দ। কিন্তু তারপরও আব্বু পিছনে না তাকিয়ে সোজা হাটতে থাকে। আমার আব্বু এতটাই সাহসী ছিল।এরপর ঘোড়া পাশ দিয়ে চলে গেল।একটু পর ইয়া বড় এক কুকুর ঘেউঘেউ করে ছুটে আসলে তাও আব্বু তাদের আঘাত করেনি।এরপর কুকুরও চলে গেল। এবার আসলো বিড়াল সেজে এসে শুধু পায়ে পায়ে ধাক্কা খেতে শুরু করলো। এরপর আব্বু শুধু তাদের বললো আমি তো তোদের কোনো ক্ষতি করিনি তাহলে এমন বিরক্ত করছ কেন।
এই কথা বলার পর আর কিছু আসেনি।তারপর একদম বাড়ির কাছাকাছি যখন গিয়েছে তখন দেখে জঙ্গলের ভিতরে সাদা শাড়ি পরা মহিলা কান্না করতেছে।আব্বু ওদের পাত্তা না দিয়ে সোজা বাড়ি চলে যায়।এরপর বাড়িতে গিয়ে মাকে কিছুই বলেনি।আব্বু খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে।সকাল বেলা সবাইকে এই কথা বলাতে সবাই খুব ভয় পেয়ে যায়।মা তো অনেক রাগারাগি করে কারণ এমন কিছু দেখলে নাকি মাছ দিয়ে ভাত খেতে হয়না।তাহলে নাকি অনেক সমস্যা হয়।এই বিষয় নিয়ে আমি কিছু জানিনা এগুলো গ্রামের মানুষ এখনো বিশ্বাস করে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
Twitter Share
https://twitter.com/TanjimaAkter16/status/1564289850567667712?s=20&t=r_uHr3vfbtxGyQJ3Vi2xiA
সত্যি আপু আপনার আব্বু অনেক সাহসী ছিলেন। প্রথমে ঘোড়া, তারপরে কুকুর, তারপরে বিড়াল হয়ে পায়ের সাথে ধাক্কা খাওয়া সত্যিই ভাবতেই শরীর ভয়ে শিউরে যাচ্ছে। আবার বাড়ির কাছাকাছি এসে সাদা শাড়ি পড়ে মেয়ে মানুষ কান্না করতে দেখা, সত্যি আপু সাহসী মানুষ বলেই তিনি ওই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন। আবার তিনি সাহসের সাথে উত্তর দিয়েছিলেন আমি তোদের কোন ক্ষতি করিনি আমাকে কেন এত বিরক্ত করতেছির। আপু আপনার বাবার সাহসিকতা জানতে পেরে আমি মুগ্ধ হলাম। তবে এমন ভয়ংকর পথ দিয়ে রাত্রে একলা যাওয়া- আসা না করাই উত্তম।
ভাইয়া যখন আমার আব্বুর মুখ থেকে এই ঘটনার কথা শুনেছি তখন আমাদেরও অনেক ভয় লেগেছিল। কিন্তু আব্বু একটাই কথা বলেছে ভয়কে জয় করতে হবে।ধন্যবাদ
আপনার এই ঘটনাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার আব্বু অনেক সাহসী এরকম সাহসী মানুষ এখন সচরাচর দেখা যায় না। আমার সামনে যদিও এখন পর্যন্ত কিছু আসেনি যদি আমার সামনে কিছু আসে তাহলে আমি সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যাব। সত্যি বলতে আমি মাঝে মাঝে রাত্রেবেলা বারোটা থেকে একটা সময় বের হই আর রাস্তায় হাটাহাটি করি জ্বীন দেখব বলে কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার সামনে আসেনি আফসোস।
হ্যাঁ ভাইয়া আমার আব্বু অনেক সাহসী ছিলেন।শুধু এই ঘটনা নয় এমন আরও অনেক দিন অনেক কিছু দেখছেন কিন্তু একটুও ভয় পায়নি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।