দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি || ১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে "আমার বাংলা ব্লগের" সকল সদস্যরা সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আমি আপনাদের কাছে আরো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে চলে আসলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি। আমার কাছে এই শাক খেতে দারুন সুস্বাদু লাগে। অন্যসব তরকারি থাকলেও আমি প্রায় সবসময় এই শাক ভাজি করার চেষ্টা করি। মাছ মাংস দিয়ে দেখবেন পেট ভরে খাওয়া যায় না কিন্তু কোনো শাক বা সবজি হলে একদম পেট ভরে খাওয়া যায়। আপনাদের কাছে কেমন মনে হয় জানিনা তবে আমার কাছে এমনি মনে হয়।
ছোটবেলায় যখন গ্ৰামে ছিলাম তখন এই শাক খেতে আরো বেশি মজা পেতাম। কারণ দেশি শাক আর চাষ করা শাকের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান। আমরা এখন যেই শাক খাই সেটি চাষ করা শাক তারজন্য এত বড় বড় পাতা আর দেশি শাক দেখতে ছোট ছোট পাতা। সেই শাক যখন মা রান্না করে দিতেন তখন মনে হতো অমৃত খাচ্ছি এতটা সুস্বাদু হতো। এখন যে সুস্বাদু লাগেনা তা না তবে সেই শাকের মজা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা ভাই-বোনেরা মিলে যখন "টুফাভাতি"মানে "পিকনিক" খেলতাম তখন খুবই মজা হতো। আমাদের গ্ৰামে এই নাম বলে আপনাদের দিকে হয়তো অন্য কিছু বলে। আমরা সেই "টুফাভাতিতে" রান্না করার জন্য সবাই মিলে পুকুর পাড় থেকে কলমি শাক তুলে নিয়ে আসতাম। তারপর দেশি আলু দিয়ে রান্না করে খেতাম দারুন মজা হতো। আমরা খাওয়ার সময় প্লেটে খেতাম না আমরা কলা পাতায় ভাত নিয়ে খেতাম। সবাই একসাথে কলা পাতায় ভাত নিয়ে খেতে খুবই মজা হতো।
আপনাদের সেই দেশি শাক দেখাতে পারলাম না তবে চাষ করা শাকের সাথে দেশি আলু দিয়ে এভাবে ভাজি করলেও দারুন মজা লাগে। আজকের শাক ভাজি আরো মজা হওয়ার কারণ এই শাকে আমি বোম্বাই মরিচ দিয়েছি। বোম্বাই মরিচ দিলে সুন্দর একটা ঘ্রাণ আসে আর খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে। তাহলে চলুন দেখে নেই আমার আজকের শাক ভাজি রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শাক | এক আটি |
দেশি আলু | হাফ বাটি |
লবণ | স্বাদ মতো |
পেঁয়াজ কুচি | একটি |
রসুন কুচি | একটি |
তেল | পরিমাণ মতো |
বোম্বাই মরিচ | একটি |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
শাক ভাজির ধাপসমূহ
ধাপ ১
প্রথমে শাকগুলো কুচি কুচি করে কেটে সুন্দরভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম।
ধাপ ২
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দেবো। তারপর কড়াই গরম হয়ে গেলে এতে পরিমান মত তেল দিয়ে দেবো। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি দিয়ে দেব।
ধাপ ৩
পেঁয়াজ ও রসুন কুচি যখন বাদামি কালার হয়ে যাবে তারপর এতে শাক গুলো দিয়ে দেব। এরপর পেঁয়াজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নেব।
ধাপ ৪
এবার শাকের মধ্যে মরিচ কুচি, লবণ ও কেটে রাখা আলু দিয়ে দেবো। এরপর সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে নেব।
ধাপ ৫
এবার আলু ও শাক সিদ্ধ হওয়ার জন্য আমি একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব। এখানে আমি আলাদাভাবে সিদ্ধ করে নিতে পারতাম কিন্তু শাকের মধ্যে যে ভিটামিন থাকে আলাদাভাবে সিদ্ধ করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে সে ভিটামিন চলে যায়। তার জন্য আমি একবারে সিদ্ধ করে নিলাম। যখন পানি শুকিয়ে যাবে তারপর নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নেব। এভাবে একসাথে বাগার দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়ে শাক রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
শেষ ধাপ
এবার আমি আমার এই শাক ভাজি সুন্দরভাবে পরিবেশন করার জন্য আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম। এই শাক ভাজি খেতে সত্যি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনারা চাইলে আমার মত এভাবে বোম্বাই মরিচ ও দেশি আলু দিয়ে এই শাক ভাজি করে খেয়ে দেখতে পারেন খুবই মজা পাবেন।
আশা করি আমার এই শাক ভাজি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ওয়াও আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। আলু দিয়ে কলমি শাক রান্নার রেসিপি। আমার জিব্বায় পানি চলে আসছে আপনার কলমি শাক রান্নার রেসিপি দেখে। গেছে আপনার রান্নার আইটেম গুলো। সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া তাহলে বাসায় আজই এভাবে কলমি শাক রান্না করে খেয়ে নিয়েন।আপনার কমেন্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি এটা দারুন ছিল। দারুণ দক্ষতায় সম্পন্ন করেছেন এবং এই ধরনের ভাজি গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ধরনের ভাজি খেতে সত্যি খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কলমি শাক ভাজি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।আমার আম্মু মাঝে মাঝে কলমি শাক ভাজি করে গরম গরম ভাতের সাথে শুকনো মরিচ দিয়ে কলমি শাক ভাজি খেতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু আপু এভাবে কখনো দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে আলু দিয়ে শাক ভাজি অনেক সুস্বাদু ।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ আপু আলু দিয়ে এই শাক খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। একদিন বাসায় তৈরি করে দেখবেন। আমার মতো আপনার কাছেও অনেক ভালো লাগবে।আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু কলমি শাক ভাজি অনেক খেয়েছি তবে কলমি শাকের সাথে আলু দিয়ে ভাজি করা যায় তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আর দেখে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিতে পারলাম। আপনার তৈরি দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি রেসিপির রন্ধন প্রণালী মনোযোগের সাথে দেখে নিলাম এবং দেখে ধাপগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার উপস্থাপনা টা বেশ দারুন ছিল। আর সুন্দর উপস্থাপনার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া এই দেশি আলু আমার অনেক পছন্দ। এই আলু দিয়ে যেকোনে রেসিপি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমার মা প্রায় সব শাকের মধ্যে এই আলু দিয়ে থাকে।যা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। একবার আপনিও বাসায় রান্না করে দেখবেন। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
কলমি শাক ভাজি আমি ভীষণ পছন্দ করি খেতে। খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে যখন কলমি শাক ভাজি করা হয়। আমার কাছে তো ভীষণই ভালো লাগে কলমি শাক ভাজি খেতে। আর আপনি তো আলু দিয়ে রান্না করেছেন দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু আপনার মতো আমার কাছেও কলমি শাক অনেক পছন্দ। আমি প্রায় সবসময়ই এই শাক রান্না করি।আপনার কাছেও এই শাক অনেক পছন্দ জেনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কলমি শাক আর আলু ভাজি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে তবে আপু আলুগুলো কুচি কুচি করে কেটে যদি কলমি শাকের সাথে ভাজি করতেন তাহলে টেস্ট আরো বেশি হতে পারত। আলু কুচি কুচি করে কলমি শাক দিয়ে একবার ভাজি করে খেয়ে দেখবেন আরো ভালো লাগবে। সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমি কখনো আলু কুচি করে কখনো খাইনি তবে আপনি যেহেতু বলছেন খেতে সুস্বাদু হবে তাহলে নিশ্চয়ই একদিন খেয়ে দেখবো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
কলমি শাক আমাদের দিকে অনেক পাওয়া যায়। সেই সুবাদে বেশ খাওয়া হয় কলমি শাক ভাজি। গরম ভাতের সাথে কলমি শাক দারুণ। তবে আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি কখনো খাইনি এটা একটু নতুন লেগেছে আমার কাছে। ভালো ছিল রেসিপি টা। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।।
ভাইয়া আলু দেওয়াতে যেহেতু নতুন লেগেছে তাহলে সেই সুবাদে একদিন খেয়ে দেখবেন দারুণ সুস্বাদু। আপনার গঠনমূলক মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে। আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক কথা গরম ভাতের সাথে এই শাক খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা আমরা সবাই জানি যে শাক অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন একটি খাবার। সবার মত আমার কাছেও খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি করাতে মনে হচ্ছে কলমি শাকের টেস্ট অনেক বেড়ে যাবে। কলমি শাক আমিও পছন্দ করি কিন্তু আমার বাবার অপছন্দের কারণে খুব কম খাওয়া হয়। দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া দেশি আলু দেওয়াতে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আমার কাছেতো অনেক ভালো লেগেছে। আপনিও একবার খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু কলমি শাক আমার খুবই প্রিয়। তবে আলু দিয়ে কখনো এভাবে ভাজি করে খায়নি। আপনি আজ অনেক সুন্দরভাবে দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে ইচ্ছে করছে গরম গরম ভাত দিয়ে খাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু চলে আসেন একসাথে খাব।আপু দেশি আলু দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।