অতিরিক্ত রাগ মানুষকে অনেক কষ্ট দেয় | ১০% লাজুক-খ্যাঁককে
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু-আলাইকুম
আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এখন একটু ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে অন্য রকম একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আমরা অনেক সময় না বুঝে অতিরিক্ত রাগ করি। কিন্তু সেই রাগ কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে তা আমরা নিজেও জানিনা। আজ আমি আমার নিজের রাগ ধরে রাখতে না পারার জন্য কি সমস্যা হয়েছিল তা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি।
আমি তখন খুব ছোট ছিলাম। তখন হয়তো তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ি। তখন বর্ষাকাল ছিল। আমার আব্বু আমার জন্য ও ছোট ভাইয়ার জন্য দুটো ছাতা এনেছে। দুটো ছাতাই খুব সুন্দর ছিল। তবে এর মধ্যে একটি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমার ছোট ভাইয়ারও সেই ছাতাই ভালো লেগেছিল। তখন আমরা দু'জনেই এক ছাতা পছন্দ করলাম। এই নিয়ে দু'জনে অনেক মারামারি ও করেছি।
তারপর আমি রাগ করে আমার চাচির বাড়িতে গিয়ে বসে ছিলাম। এরপর বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়ে। যত রাত হতে থাকে তত আমার রাগ বাড়তে থাকে। মনে হয় রাত তখন ৮টা বাজে তখনও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাকে নিতে আব্বু আসে কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আমি রাগ করে বাড়িতে যাইনা বলে মারতে এসেছে।
আমি আব্বুকে দেখে দৌড়ে চলে যেতে চাইলে আব্বু আমার পিছনে আসে আর দাঁড়াতে বলে। কিন্তু আমি ভয়ে আরও জোরে দৌড় দেই। আব্বু আমাকে বললো দাড়াও যেওনা অনেক রাত হয়েছে বাড়িতে চলো। কিন্তু আমি শুনিনা তারপর আব্বুর অনেক রাগ হয় আর দৌড় দিয়ে ধরে অনেক মারে। এই প্রথম আমি আব্বুর হাতের মার খেয়ে অনেক কান্না করেছিলাম। তারপর মা আমাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল বলে কাঁদা মাখিয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমাকে এই রাতের বেলা গোসল করিয়ে ভাত খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিল।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে আব্বু আমাকে কাছে নিয়ে অনেক আদর করে। এরপর দুপুর বেলা বেড়াতে নিয়ে যায়। সে দিন আব্বুর এত ভালোবাসা দেখে বুঝতে পারলাম আব্বু আমাকে কতটা ভালোবাসে। যাই হোক আমার কথাগুলো এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট পড়ে ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ছোট বেলায় এমন একটু আধটু ধোলাই সবাই খায় আপু। আমি যে কতবার ঝাড়ুর বাড়ি খেয়েছি,রাগ না করেও।আর তারপর কেউ আদর ও করেনি।তবে রাগ করা সব দিক থেকেই ক্ষতিকর।ধন্যবাদ রাগের খারাপ দিক সম্পর্কে এমন পোস্ট দেওয়ার জন্য।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রাগ অনেক খারাপ জিনিস আপু। রাগকে মনের মধ্যে পুষে রাখা ভালো না।আপনার গল্পটি পড়ে আমার চোখে জল এসে গেছে। কারণ বাবার আদর হচ্ছে অনেক বড় জিনিস। মায়ের ভালোবাসা ও আরো অনেক বড় সন্তানদের জন্য।আপনার গল্পটি পড়ে আমার কাছেও বাবার ছোটবেলার আদরের কথা মনে পড়ে গেল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু রাগ মনের মধ্যে পুষে রাখলে এর পরিণতি খারাপ হতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
অত্যন্ত সুন্দরভাবে একটু পোস্টের মাধ্যমে রাগ করার ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। আসলে প্রাগ মানুষকে অনেক অসুস্থ করে দেয়। বেশি রাগ করে মানুষ তখন মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই আমাদের প্রত্যেক রশিদরা কে দমন করা
আপু অতিরিক্ত রাগ কখনোই ভালো নয়।এতে করে নিজেই বিপদে পরতে হয়।ধন্যবাদ।
দৌড় না দিলে আপু আপনার আব্বুর হাতে মাইর খাওয়া লাগতো না । শুধু শুধু কেন যে দৌড় দিয়েছিলেন হাহাহা ! তবে আসলে আমরা রাগের মাথায় অনেক কিছুই করে ফেলি । কিন্তু আমাদের রাগকে কন্ট্রোল রাখা উচিত । কথায় আছে না রাগ করলেন, তো হেরে গেলেন !
হ্যাঁ ভাইয়া দৌড় না দিলে হয়তো মার খেতে হতো না।সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপু ঠিকই বলেছেন, রাগ করা কখনোই ভালো না। রাগের কারণে অনেক বড় বিপদ ও হয়ে যেতে পারে। যেটা হয়তো আমরা রাগ করার আগে বুঝিনা। কিন্তু যখন রাগ করে ভুল করে ফেলি তখনই এর পরিনাম বুঝতে পারি। আপনার ঘটনাটি পরে বুঝতে পারলাম সেদিন হয়তো আপনি অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আসলে বাবা মা কখনোই আমাদের খারাপ চায়না। তাই আমরা অযথা কখনোই রাগ করে হঠাৎ করে খারাপ কিছু না করে ফেলি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া অতিরিক্ত রাগ থাকা একদম ভালো নয়।কিন্তু আমরা তা বুঝিনা। গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।