গল্প || সাথী ও তার মা(শেষ পর্ব)
প্রিয় বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছো? আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি? আজ আবারও আরেকটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। গত সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম আজ তার বাকি অংশ শেয়ার করতে এসেছি। গত পর্বে বলেছিলাম সাথীর মা মারা গিয়েছে আর সাথী খুব ভেঙ্গে পড়েছে। সাথীর এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল যে সে ভেবেছিল আর বেঁচে থেকে লাভ নেই। কিন্তু কথায় বলে না,বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। একদম সত্য কথা সাথীর ক্লাসে তার তিনজন ভালো বন্ধু ছিল। ঐ সময় তারা সাথীর পাশে এসে দাঁড়ায়। সাথী কে বিভিন্ন ভাবে মানসিক সাপোর্ট দিতে থাকে। তখন যেনো সাথী বেঁচে থাকার আশার আলো খুঁজে পায়।
এরপর সাথী আবার ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কারণ তার মায়ের স্বপ্ন যে তাকে পূরণ করতে হবে। সাথী তার মা কে কথা দিয়েছিলো পড়ালেখা করে অনেক বড় হবে আর বাবার চেয়ে বড়লোক হবে। তারপর বন্ধুদের সাপোর্ট পেয়ে সে আবারও পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠে। সাথী প্রতিটা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে থাকে। এভাবে সে তার পড়ালেখা শেষ করে। এরপর তার ব্যাংকে অফিসার পদে চাকরি হয়।
কিন্তু সাথী এতেও যেন শান্তি পাচ্ছিলো না। তারপর চাকরির পাশাপাশি সে ব্যবসা শুরু করে। একদিন সে ব্যবসা করেও সফল হয়ে যায় আর সে তার বাবার থেকেও বড় লোক হয়ে ওঠে। এরপর তার ব্যবসার মাধ্যমে তার বাবাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। এভাবে একদিন সাথী তার বাবার ব্যবসাকে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে নিঃশেষ করে দেয়। সাথীর বাবা তার ব্যবসা বাঁচানোর জন্য সাথীর কাছে আসে। এরপর তার হাতে পায়ে ধরে বলে তুমিই পারো আমাকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে।
কিন্তু তখন সাথী তার সাহায্যের হাত পিছিয়ে নেয় আর তার মায়ের নাম বলে। তখন লোকটি বলে তুমি তাকে চিনো আর সাথী বলে উনি আমার মা। এরপর লোকটি বলে তাহলে তুমি আমার মেয়ে। তখন সাথীর কাছে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায় আর বলে তোমার মায়ের কাছে আমাকে একবার নিয়ে যাও। তারপর সাথী বলে আমার মা আর বেঁচে নেই। মায়ের কথা মনে হতেই যেনো সাথীর আরও বেশি রেগে যায়।
লোকটিকে ক্ষমার পরিবর্তে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু সাথী তার মায়ের সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিয়েও যেনো শান্তি খুঁজে পাচ্ছিলো না। এরপর রাতে স্বপ্নে সাথী তার মা কে দেখে আর তার মা বলে তোমার বাবা এত করে ক্ষমা চাচ্ছে তুমি ক্ষমা করে দাও। তাহলেই তুমি শান্তি খুঁজে পাবে। সাথী সকাল বেলা তার বাবার সাথে যোগাযোগ করে আর তার বাবা কে ক্ষমা করে দেয়। এরপর সাথী কে তার বাবা দাদীর বাড়ি নিয়ে যায় আর তার দাদী ও বুকে জড়িয়ে নেয়। এরপর থেকে সাথী তার পরিবারের সাথে সুখে শান্তিতে জীবন কাটাতে থাকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার গল্পের প্রথম পর্বটা যদি ও আমার পড়া হয়নি।তবে এই পর্ব পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম সাথীর বাবা একজন খারাপ মানুষ ছিল আর সাথে মা গরীব বলে হয়তো মেনে নেয়নি।যাইহোক সাথী অবশেষে তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আবার তার বাবার সাথে মিলিয়ে গেছে এটা জেনেও অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার কাছে গল্প পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।