পুঁইশাকের পাঁকা বিচি ভাজি রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজ আবারও চলে আসলাম নতুন পোস্ট নিয়ে। আজ নিয়ে এসেছি পুঁইশাকের পাঁকা বিচি ভাজি রেসিপি। আপনারা সবাই জানেন আমি গ্ৰামে এসেছি আর গ্ৰামে আসলে একদম টাটকা সবকিছু খাওয়া যায়। তারজন্য আমার কাছে গ্ৰামের যেকোনো খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। এখন যেহেতু শীতকাল তাই সবাই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আর এই সবজি গুলো ঢাকা শহরের মতো ফরমালিন যুক্ত নয়। যেকোনো সবজি খেয়ে খুব মজা পাওয়া যায়।
আজকের এই পুঁইশাকের বিচি গুলো আমার মায়ের লাগানো গাছ থেকে তুলেছি। এই গাছের বয়স প্রায় এক বছর হয়ে গিয়েছে। প্রথমে আমরা প্রচুর শাক খেয়েছি আর এখন পাকা বিচি খাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত গাছ তাজা রয়েছে। এমনকি সেই গাছ থেকে বিচি পড়ে নিচে আরও ছোট ছোট চারা হচ্ছে। এছাড়া মা বলেছে এই গাছ থেকেও নাকি নতুন পাতা গজাবে। তাই মা গাছ কাটেনা আর এখনও গাছে প্রচুর পরিমাণে বিচি রয়েছে। সবকিছু তো আর রেসিপি পোস্টে তুলে ধরা যায় না। তাই চিন্তা করেছি এর পরবর্তীতে এর একটি ভিডিও শেয়ার করবো। তাহলে আপনারা সব বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
পুঁইশাকের বিচি | পরিমাণ মতো |
কাঁচামরিচ | কয়েকটি |
পেঁয়াজ | একটি |
রসুন | একটি |
লবণ | স্বাদ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে পেঁয়াজ, মরিচ ও রসুন কুঁচি করে কেটে নেবো।
😋২য় ধাপ😋
এবার পুঁইশাকের বিচি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে একটি জালিতে পানি ঝরার জন্য দিয়ে রাখলাম।
😋৩য় ধাপ😋
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো।
😋৪র্থ ধাপ😋
এবার পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দেবো। এরপর রসুন কুঁচি দিয়ে দেবো।
😋৫ম ধাপ😋
এখন কাঁচামরিচ দিয়ে সবগুলো একটু বাদামি কালার করে ভেজে নেবো।
😋৬ষ্ট ধাপ😋
এবার পুঁইশাকের বিচি দিয়ে দেবো। এরপর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দেবো।
😋শেষ ধাপ😋
এখন সবগুলো ভালো ভাবে মিশিয়ে নেবো। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ভালো করে মচমচে করে ভেজে নেবো। তাহলেই হয়ে যাবে পুঁইশাকের পাঁকা বিচি ভাজি রেসিপি। এবার সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য চলে যাবো।
এরপর সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে নিয়ে আসলাম। এই রেসিপি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিচিগুলো মচমচে করে ভাজা। যদি আপনি একটু সময় নিয়ে ভাজেন তাহলেই মচমচে হবে আর খেতেও খুব সুস্বাদু লাগে আর ভাজা কম হলে খেতে ভালো লাগে না। এছাড়া এখানে শুধু বিচি নিতে হবে কোনো ডাল পাতা কিংবা কাঁচা বিচি নেওয়া যাবে না। যদি পাকা বিচি ছাড়া অন্য কিছু নেন তাহলে ভিজা হবে আর খেতেও ভালো লাগবে না। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আজ এই পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপির মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ঠিক বলেছেন আপু গ্রামোর তরতাজা সবজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।ঢাকা শহরের মতো ফরমালিন থাকে না এই গ্রামীণ সবজি গুলোতে। আপনার মায়ের পুঁইশাক গাছের বিস্তারিত জেনে ভালো লাগলো।পুঁইশাকের কাঁচা বীজ খেয়েছি কিন্তুু এরকম পাঁকা বীজে খাওয়া হয়নি কখনো।আপনার রেসিপিটি চমৎকার লোভনীয় লাগছে।খেতে ভীষন চমৎকার হয়েছে রান্নার পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধাপে ধাপে চমৎকার করে রান্না প্রনালী তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি যেহেতু এই বিচি দিয়ে এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করেনি সেহেতু বলবো যদি কখনো সুযোগ হয় খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
পুঁইশাকের এই পাকা বিচি আমার খুবই প্রিয়। এই জন্য আমি ছোটকাল থেকে এটা আবাদ করার চেষ্টা করে থাকি। এই বছর আমার পুকুরপাড়ের বড় বড় দুইটা বান শাক ছিল পাশাপাশি এই বিচি হয়েছে। এমনকি প্রায় দিনেও খাওয়া হয়ে থাকে, আজকে রাতেও যেমন খেলাম। তাই বলতে পারি এটা খুবই সুস্বাদু একটা রেসিপি।
আপনি গতকাল রাতেও খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
এভাবে কখনো পুঁইশাকের পাঁকা বিচি ভাজি করে খাওয়া হয়নি আমার। আপনি আজ আমাদের মাঝে খুবই ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা মজাদার এই রেসিপিটা দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গিয়েছে। অনেক বেশি লোভনীয় লাগতেছে আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা। আপনার কাছ থেকে আজকে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিতে পারলাম। আর নতুন রেসিপিটা আপনার কাছ থেকে শিখতে পারে, আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ রেসিপিটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপু একবার এই ভাজি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
পুঁইশাক খেয়েছি অনেক বার। কিন্তু এভাবে পুঁইশাকের বিচি ভাজি করে খাওয়া হয়নি। এই রেসিপিটা আমার কাছে ইউনিক মনে হলো। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতে নিশ্চয় সুস্বাদু হয়েছিলো। যাইহোক নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আপনার কাছে আমার এই রেসিপি ইউনিক লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
পুঁইশাকের পাঁকা বিচি ভাজি রেসিপি দেখে মজাদার মনে হচ্ছে। যদিও এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করা হয়নি তবে আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে তৈরি করার ইচ্ছা জাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু। একবার খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ।
পুঁইশাকের পাঁকা বিচি ভাঁজি রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লেগেছে।এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন যা সবার ভালো লাগবে।আর রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ ছবিসহ অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়ে যে কেউ আপনার রেসিপি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবে।এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। পুঁইশাকের বিচি যদি এভাবে রান্না করা যায় আর সেটা খেতে যে কতটা বেশি সুস্বাদু হয় তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমার প্রিয় রেসিপি গুলোর মধ্যে এটা অন্যতম।
ভাইয়া একবার খেয়ে দেখবেন তাহলেই বুঝতে পারবেন কতটা সুস্বাদু। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু গ্রামে গেলে বিভিন্ন ধরনের টাটকা সবজি খাওয়া যায়। তাছাড়া নিজেদের গাছের সবজি হলে তো কথাই নেই। যাক একটি গাছ থেকে শাক খেয়ে শেষ করে এখন আবার ফলও খেতে পারছেন। এই ফল দিয়ে ছোটবেলায় অনেক খেলেছি। অনেক দিন হল এর ফল খাওয়া হয় না। আপনার পুঁইশাকের ফল রান্না দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর কালার হয়েছে।
একটা গাছ আমাদের কত উপকার করে তারপরও আমরা গাছ লাগাতে চাই না। কোনো কিছু ইচ্ছে করলে খেতে হয়।বাজার থেকে কিনে আনার চেষ্টা করে এভাবে রেসিপি তৈরি করে নেবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
পুঁইশাকের পাঁকা বিচি ভাজি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। এই রেসিপি এখুন খাওয়া হয় নাই।পরবর্তী তাই তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। আপনার কাছে এত ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমার কাছে পুঁইশাক খেতে খুব ভালো লাগে। তবে পুঁই শাকের বিচি গুলো খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। পুঁই শাকের পাকা বিচি এভাবে ভাজি করা যায় এটা জানতামই না। আমার তো মনে হচ্ছে এটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আর এগুলো খেতে অনেক ভালো লেগেছিল মনে হয়। পাকা বিচি গুলো ভাজি করে আপনি সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরলেন। কেউ চাইলেই কিন্তু এই মজাদার রেসিপি টা আপনার উপস্থাপনা দেখে তৈরি করে নিতে পারবে।
হ্যাঁ ভাইয়া এই বিচি গুলো সত্যিই এভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আপনি একবার খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।