সন্ধ্যায় পদ্মার পাড়ে ঘুরাঘুরি || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাককে🦊
পদ্মার পাড়ের পর্ব-২
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
এর আগে আমি আপনাদের সাথে পদ্মার পাড়ের পর্ব ১ শেয়ার করেছিলাম। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজ আপনাদের সাথে সন্ধ্যার পর ঘুরাঘুরির পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা গাড়ির মধ্যে থাকতেই আসরের আযান দিয়ে দিয়েছে। তারপর রোদ ছিল বলে আগে খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করেছি। আমাদের খেতে খেতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। নদীর পাড় বলে ঠান্ডা বাতাস শুরু হলো।
সন্ধ্যার পর নদীর পাড় ঘুরা যে এত মজা আগে জানা ছিল না। এই প্রথম ঘুরে সেই মজা পেয়েছি। আগে যখন রাতের বেলা বাড়িতে যেতাম তখন এই মজা পাইনি। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ওখানে অনেক গাড়ি এবং প্রচুর মানুষ জন ছিল। কিন্তু যখন থেকে পদ্মা সেতু চালু হয়েছে তখন থেকে সেখানে আর তেমন বেশি গাড়ি আর মানুষ জন দেখা যায় না। এখন মানুষ শুধু ঘুরাঘুরির জন্য যায়। আগে যেখানে মানুষ ঘুরাঘুরির মজা পেত না এখন সেই জায়গায় ঘুরাঘুরির মজা খুঁজে নিয়েছে।
পদ্মার পাড় এখন ছোট-খাট দোকান দিয়ে মেলার মতো বসে। ঐ জায়গায় বাচ্চারা ঘুরতে বেশি যায় তার জন্য বাচ্চাদের খেলনা পাতি বেশি পাওয়া যায়। আমরা কতক্ষণ নদীর পাড় দাঁড়িয়ে ছিলাম। কারণ সারাদিন গরমের পর যখন সন্ধ্যায় ঠান্ডা বাতাস শুরু হলো তখন সেই মজা হয়েছে। আমার ছেলে তো মহা খুশি। তারপর নদীর পাড় হাঁটা শুরু করি। এখানে খাবারের দাম যেমন বেশি তেমনি বাচ্চাদের খেলনার জিনিসের দামও অনেক বেশি।
কিন্তু কিছু করার নাই ছেলের বায়না পূরণ করতে হয়েছে। প্রথমে একটি বিমান পছন্দ হলো দাম জানতে চাইলে বললো ৩০০টাকা যার দাম ঢাকায় জিজ্ঞেস করেছিলাম বললো ১৫০টাকা। এরপর ১৫০ টাকা বললো দিতে রাজি হয়নি এরপর ১৭০ টাকায় কিনলাম। এরপর বড় গাড়ি কিনবে দাম চায় ৮০০ টাকা। এত দাম শুনে চলে গেলাম অন্য দোকানে একই গাড়ি দাম বললো ৫০০ টাকা। অবশেষে ৪৫০টাকায় কিনলাম। তারপর কতক্ষণ এভাবেই হাঁটাহাটি করলাম।
এরপর বাসায় আসার জন্য গাড়ি খুঁজতে লাগলাম কিন্তু কোনো বাস পাওয়া যাচ্ছিলো না। একজন লোককে জিজ্ঞেস করলে সে বললো অনেক দূরে কাউন্টার। এরপর লেগুনা ওঠে কাউন্টারের কাছে গেলাম। এরপর গাড়ি আসলে ওঠে দেখি গাড়ি ফাঁকা। একটু দূর যেতেই আরও মানুষ ওঠে পড়লো। এমনেতেই এই রাস্তা খালি থাকে তারমধ্যে রাতের বেলা আরও ফাঁকা পেয়ে গাড়ি অনেক জোরে চালাচ্ছে। এই জোরে চালানোর ফলে দুইবার এক্সিডেন্ট হতে গিয়েও আল্লাহর রহমতে বেঁচে গিয়েছি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
কোন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে গেলে খাবারের দাম এবং বাচ্চাদের খেলনার দাম সবসময় অনেক বেশি হয়। গত পর্বে দেখেছিলাম পদ্মার পাড়ে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন। এবার দেখলাম অনেক সুন্দর ভাবে ঘুরাঘুরির মুহূর্ত। দেখে ভালো লাগলো। আসলে নদীর পাড়ে ঘুরতে সবার অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় পদ্মার পাড়ের মতো এত সুন্দর একটি জায়গা তাহলে তো কথাই নেই। ভালো ছিল আপনার কাটানো মুহূর্ত।
একদম আপু তখন তারা বাচ্চাদের বায়না দেখে আরও দাম বাড়িয়ে দেয়।অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাদের আবদার রাখতে দাম হলেও কিনতে হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু কিছুদিন আগে পদ্মাপারে আমিও সময় অতিবাহিত করেছি। আসলে এই সময় গুলো অনেক আনন্দের হয়। সন্ধ্যার পর আবহাওয়া থাকে অনেক চমৎকার আপনার ছেলেও নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের সময় কাটিয়েছে। আর ছেলে মেয়েরা এরকম গাড়ি দেখতে শুধু কিনতে চায় তাইতো আপনি আপনার ছেলেকে কিনে দিয়েছেন। এক কথায় অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন আপু।
হ্যাঁ আপু আমার ছেলেটা নদীর পাড় খোলামেলা জায়গা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
পদ্মা নদীর পাড় আমার প্রিয় স্থান। অতীতে অনেক কবি পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে অনেক কবিতা উপন্যাস রচনা করেছেন। আমিও দীর্ঘদিন পদ্মা পাড়ের পাশে বসে সময় অতিবাহিত করেছি প্রিয় মানুষের সাথে।ভালোবাসার মানুষটার সাথে ছিল তখন পদ্মার পরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা। আনন্দ উল্লাস করার স্মৃতি রয়েছে আমার। তাই পদ্মা নদীকে আমি বেশ ভালোবাসি। আপনার আজকের এই সন্ধ্যাকালীন ঘোরাঘুরি দেখে খুব ভালো লাগলো আমার।
ভাইয়া আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার কাছে আপনার এই মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।