ডাক্তারের সিরিয়ালে বসে থাকার বাজে অভিজ্ঞতা
আজ ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। গতকাল ভেবেছিলাম রাতে করবো কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য আর করা হয়নি। তাই সকাল সকাল পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। গতকাল ডিস্কোর্ড চেটিং করার হয় জানতে পারি @tania69 আপুর ছোট ছেলে অসুস্থ আর তিনি ডাক্তারের সিরিয়ালে বসে রয়েছেন। আপুর ছেলের সুস্থতা কামনা করছি। ঐ সময় আপুর সাথে কথার বলার এক পর্যায়ে এই টপিক নিয়ে পোস্ট লেখার কথা মাথায় আসে। ডাক্তারের সিরিয়ালে বসে থাকা খুবই বাজে একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। আমি মনে করি আমার মতো আপনাদের ও এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে।
কিন্তু যখন নিজে কিংবা অন্য কেউ অসুস্থ হয় তখন আর সেই কথা মনে থাকে না। কষ্ট করে হলেও সিরিয়ালে বসে থেকে ডাক্তার দেখাতে হয়। কিন্তু তারা এটা বুঝে না এই সিরিয়ালে বসে থেকে একজন রোগীর সেই সময় কি অবস্থা হতে পারে? আমার কথাই বলি তাহলে বুঝতে পারবেন। আমার বিয়ের আগে একবার রোজার ঈদের সময় আমার প্রচন্ড জ্বর আসে। কোনো স্বাভাবিক জ্বর নয় একদম টাইফয়েড জ্বর হয়। তখন আমি ঈদে গ্ৰামে গিয়েছিলাম আর ঈদের দিন সকাল বেলা আবোল তাবোল বলা শুরু করি, মোটকথা জ্বর মাথায় উঠে গিয়েছিল।
এরপর মাথায় পানি দেওয়া হয় আর বাড়িতে ডাক্তার নিয়ে আসা হয়। তারপর প্রেসার মেপে দেখে একদম লো আর শরীর প্রচুর দুর্বল। সেজন্য সেলাইন দিতে পারেনি। এরপর চেকাপ করে কিছু ঔষধ দিয়ে যায়। কিন্তু কিছুতেই জ্বর ভালো হচ্ছিলো না। এরপর আমার ভাইয়া ঈদের পরের দিন সবাইকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসে। আমাদের এখানেই ভালো একজন ডাক্তার বসেন আর ভাইয়া পরের দিন সকাল বেলা সিরিয়াল দেয়। সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৫৪, এবার বুঝেন সকালে সিরিয়াল দিয়েছে এতেই এত পরে ছিল। তারপর সন্ধ্যার দিকে ফোন করেই গিয়েছি। কিন্তু এরপরও সিরিয়াল পাচ্ছিলাম না।
একজন মহিলা ছিল সেখানে যে সিরিয়াল মেইনটেইন করে টাকা বলে ছিল আপনাকে কিছু টাকা দিবো একটু দেখেন ভিতরে যাওয়া যায় কিনা। মহিলা অনেক চেষ্টা করেছিলো কিন্তু বসে থাকা মানুষ গুলো যেতে দিলো না। এদিকে জ্বরে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো। এরপর ভাইয়া চিন্তা করলো এখানে বসে থেকে লাভ নেই। এই সিরিয়াল শেষ হবে না আর ডাক্তার দেখানোও হবে না। এরপর আমরা অন্য ডাক্তার দেখালাম আর কিছু টেস্ট করে নিলাম। এরপর আমাকে সাতদিন পর্যন্ত টাইফয়েড এর জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয়। সেদিনের সিরিয়ালে বসে থাকার মতো বাজে অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।
যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সিরিয়ালে বসে থাকার বাজে অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই রয়েছে আপু। সিরিয়ালে বসে ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করাটা সত্যিই খুব অস্বস্তিকর লাগে। সিরিয়ালে বসে থাকতে থাকতে অসুস্থতা আরও বেশি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সিরিয়ালে বসে থাকার বাজে অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু এই সিরিয়ালে বসে থাকতে গেলে অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্য।
ডাক্তারদের চেম্বারের এই ভোগান্তি আমাদের কখনো শেষ হবেনা। যদিও সিরিয়াল থাকে কিন্তু সিরিয়াল অনুযায়ী যদি টাইম ঠিক করে দেয় তাহলে আর এই কষ্ট হয় না। কিন্তু টাইমের কোন ঠিক ঠিকানা নাই। দেখা যায় যে টাইমে যেতে বলে তারও দুই তিন ঘন্টা পরে ডাক্তার দেখাতে হয়। যাই হোক সে যাত্রায় ভালো করেছিলেন সে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে অন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে। আমার অবশ্য গতকালকে খুব বেশি সময় বসে থাকতে হয়নি। ফোন করে যাওয়ার কারণে সময় মতোই পৌঁছতে পেরেছিলাম।
আপু কি করবো আমার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল আর এত লম্বা সিরিয়ালে বসে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই অন্য ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ডাক্তারের সিরিয়ালে বসে থাকার মাঝে অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে।
আসলে মাঝে মাঝে মনে হতো যে এখান থেকে চলে অন্য কোথাও ডাক্তার দেখায় অথবা বাড়ি চলে যায়।
একটা ডাক্তার একদিনে রোগী দেখে ১০০ দেড়শ।
আসলে তারা পশুর মতো রোগী দেখে ছেড়ে দেয় কিন্তু তারপরেও অনেক রোগী এদের কাছে আসে ঘুরে ফিরে।
যাইহোক আপনার বাজে অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরে আমার পুরাতন বাজে অভিজ্ঞতা আমার মনে হয়ে গেল।
ভাইয়া এটা ঠিক বলেছেন যখন বেশি মানুষ যায় তখন তারা পশুর মতো রোগী দেখে। কিন্তু কিছু কিছু ডাক্তার থাকে যাদের চিকিৎসা ভালো থাকে বলে রোগীর পরিমাণ বেশি থাকে। ধন্যবাদ।
আপনার বিয়ের আগের একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু পড়ে খুবই ভালো লাগলো। টাইফয়েড জ্বর সত্যি অনেক খারাপ। ডাক্তারের সিরিয়ালে বসে থাকা বাজে অভিজ্ঞতা পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো আপু। বড় বড় ডাক্তারদের কাছে দেখাতে গেলে এরকম অনেক সময় সিরিয়ালে বসে থাকতে হয় দেখা যায় ২-৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায় ডাক্তার দেখাতে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপু এত সময় দিয়েও যখন ভালো ভাবে দেখানো না যায় তখন খুব কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
সত্যি কথা বলতে ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য ডাক্তার দেখাতে যেতে ইচ্ছে করে না আপু। এত বাজে অবস্থা বসে থাকতে হয় তাছাড়া ওখানকার পরিবেশ গুলো খুবই খারাপ। আমি মনে করি একজন সুস্থ মানুষ গেলে হাসপাতাল থেকে অসুস্থ হয়ে আসবে রোগ জীবানুর জন্য। যাক অবশেষে অন্যান্য ডাক্তার দেখিয়ে টেস্ট করিয়ে ডাক্তার দেখাই আসলেন। তবে খারাপ লাগলো আপনি যে টাইফয়েড রোগের ইনজেকশন দিচ্ছেন তা শুনে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
ঠিক বলেছেন আপু একজন সুস্থ মানুষ গেলে সেও অসুস্থ হয়ে পড়বে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সিরিয়ালের জন্য বসে থাকা এই বাজে অভিজ্ঞতাটা আমাদের সবার মাঝেই আছে। আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন এটি একটা বাজে অভিজ্ঞতা। কারণ একজন অসুস্থ রোগী সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে থাকতে সে ওখানেই আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমার বাবা একবার অসুস্থ হয়েছিল তখন ক্লিনিকে সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে থাকতে বাবার সাথে আমার মাও অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। তখন অনুভব করতে পেরেছি এই বাজে অভিজ্ঞতাটা। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপু এই অভিজ্ঞতা আপনারও রয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার সেই অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেবেন। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
আসলে আপু, এখন সব জায়গাতেই সিরিয়াল মেইনটেইন হয়। কারণ অনেক সময় সিরিয়াল ব্রেক হয়ে গেলে ডাক্তারের সাথে রোগীদের ঝামেলা বেধে যায়। তবে যারা সিরিয়াস রোগী কিংবা প্রচন্ড অসুস্থ তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যাপার গুলো কনসিডার করা উচিত বলে আমি মনে করি। তবে দেখা গেল আপনাকে কনসিডার করলে অন্য একজন আবার সামনে চলে আসলো।
ভাইয়া ডাক্তার কনসিডার করলেও রোগীরা করতে চায় না। ধন্যবাদ।
এটাই তো সব থেকে বড় সমস্যা আপু, এই সমস্যা আমি নিজেও ফেস করেছি অনেকবার।
চিন্তা করেন এত অসুস্থ থাকার পরেও আপনাকে ভিতরে যেতে দিলো না। মানুষের বিবেক কোথায়। আর আপনারা সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে থাকতে অবশেষে সিরিয়াল ছেড়ে চলেই গেলেন। আপনার ভাইয়া বিষয়টা বুঝতে পেরেছে। যায়হোক বাংলাদেশের জন সংখ্যার তুলনায় ডাক্তার অনেক কম। কিন্তুু এদিকে উপর মহলের কোন খেয়াল নেই। ধন্যবাদ।