সন্ধ্যার পর খানদানি চা খাওয়ার মজা || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাককে🦊
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
ঘুরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়া করতে আমার অনেক ভালো লাগে। কয়েকদিন ধরে শুধু এটাই চলছে। অনেক দিন ধরে শুনছি আমাদের এখানে একটি দোকান আছে যেখানের চা খেতে খুবই মজার। কিন্তু সময় হয়না বলে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। শনিবার সন্ধ্যায় আমরা সবাই মিলে সেখানে গিয়েছিলাম চা খেতে। আমার কাছে সন্ধ্যার পর এভাবে বাহিরে গিয়ে চা খেতে অনেক ভালো লাগে।
আমাদের বাসা থেকে প্রায় অনেকটা দূরে হওয়ায় যাওয়া হয়না। এখানে মাটির ছোট ছোট পাত্রে চা দেওয়া হয়। আমরা সবসময় বাসায় কাঁচের তৈরি চায়ের কাপে চা খেয়েছি। কিন্তু কখনো এভাবে মাটির পাত্রে খাওয়া হয়নি। রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা কফিশপ দেখতে ভালোই লাগে। ঐ দিন আবার অনেক গরম ছিল। আমরা সবাই গরমে ঘেমে একদম অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বাসা থেকে অটোরিকশা করে যেতে হয় অর্ধেক তারপর ঐ কফিশপে হেঁটে যেতে হয়। অটোরিকশা থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে গরমে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
আমরা দু'ধরণের চা অর্ডার করেছিলাম। আমরা ছয়জন ছিলাম তারজন্য তিনটি খানদানি চা আর তিনটি চকলেট চা অর্ডার করেছি। খানদানি চা এক কাপ ৩০টাকা আর চকলেট চা এক কাপ ৩৫ টাকা। লোকটি কিছুক্ষণ পরেই গরম গরম চা নিয়ে হাজির হলো। এখানে ছোট-বড় সবাই আসে চা খেতে। অনেক বছর হয়েছে এই দোকান এখানে দিয়েছে। এর চা খেতে ভালো লাগে বলে সবসময় মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।
দোকানের পাশে অনেক স্কুল কলেজে ভরা তাই বেচাকেনা হয় বেশি। যাই হোক চা কেমন হয়েছে সেটা তো বলি। একেতো মাটির ছোট পাত্র দেখেই মন ভরে গেল। তার উপর চায়ের উপরের সাজানো দেখে লোভ সামলাতে পারিনি। গরম চা মুখে দিতেই জ্বিহ্বা জ্বলে গেল😃😃। আপনারা তো এখানে আসতে পারবেন না। তাহলে কিভাবে বুঝাবো কতটা মজা হয়েছে। সত্যি এখনো মনে হলপ আবার যেতে ইচ্ছে হয়। আমি খানদানি চা খেয়েছি দারুণ লাগে।
এই প্রথমবার এমন চা পান করে দারুণ অনুভুতি হলো। আমি অনেক চা পান করেছি কিন্তু এমন চা নয়। চকলেট চা পান করা হয়নি তারজন্য এর স্বাদ নিজের এটা বলতে পারছিনা। যারা চকলেট চা পান করেছে তারা বললো অনেক মজা ছিল। আরেকদিন গেলে আমি অবশ্যই চকলেট চা পান করবো। আমি চিন্তা করলাম এখন থেকে মাটির পাত্রে চা পান করবো৷ কারণ মাটির পাত্রে আলাদা একটা স্বাদ খুঁজে পাওয়া যায়। এখন ডিজিটাল যুগ হয়ে গিয়েছে তারজন্য কাঁচের জিনিস ছাড়া অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করতে চায়না।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
খানদানি চা, চকলেট চা আজকে প্রথম নাম শুনলাম আপু, আমি খুবই চা-প্রেমী একজন মানুষ চা আমার জীবনের অনেক টা অংশ জুড়ে রয়েছে কিন্তু সারাজীবন ধরে ঐ এক দুধ চা খেয়েই পার করে দিচ্ছি এছাড়া আর কোন চা খাওয়া হয়নি। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন আগের দিনের মানুষ মাটির থালাবাসনে খাবার খেতো আর মাটির ঘরে ঘুমাতো তাই অসুখ কম হতো, এখনকার দিনে যত আরাম বেড়ে গেছে ততটাই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপু আমিও সব সময় দুধ চা খেয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে এমন চায়ের দোকান হয়েছে জেনে আর বসে না থেকে চলে গেলাম এই চা খেতে। ঠিক বলেছেন আপু এখন মানুষ অনেক আরামে থাকে বলে এত অসুখ বিসুখ দেখা দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ভাইয়া আমিও এমন নাম প্রথমবার শুনেছি তার জন্য আর বসে থাকতে পারলাম না চলে গেলাম চা খেতে। ধৈর্য ধরতে না পেরে খেতে গিয়ে এমন অবস্থা। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এই ধরনের চা খেতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু। আপনি খুব সুন্দর ভাবে চা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া এ ধরনের চা খেতে সত্যি অনেক সুস্বাদু লাগে। আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। আপনি সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
খানদানি চা।নামের ভেতরেই একটি রাজকীয় ব্যাপার আছে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেস্টুরেন্ট আর চায়ের বর্ণনা দিয়েছেন।আর যেতে পারব না মানে কি?হুট করে একদিন যেতেও পারি তখন ট্রাই করা যাবে।আমারো চা খেলে জিহ্বা জ্বলে যায়।ধন্যবাদ সুন্দর মোমেন্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া একদিন সময় করে চলে আসেন খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে। আপনার মন্তব্য করে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।