বিকালে একটু ঘোরাঘুরি আর হালকা খাওয়া দাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি।
গ্ৰাম থেকে আসার পর আর বাহিরে বের হইনি। আজ ছেলে সারাদিন ধরে শুধু বলছে আম্মু বাহিরে চলো। আজকে আবার প্রচুর গরম পড়েছে। এই গরমে একদমই ইচ্ছে করছে না বাহিরে যেতে। কিন্তু দুপুর থেকে সে কান্না শুরু করেছে বাহিরে যাওয়ার জন্য। তাকে কোনোভাবে বোঝানোই যাচ্ছেনা। কিছুক্ষণ কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। এরপর একদম আছরের আযানের পর ঘুম থেকে ওঠে।
এরপর ওর বাবা বলে তাহলে চলো একটু ঘুরে আসি। ছেলের বায়না পূরণ করতে রেডি হয়ে নিলাম। আমাদের বাসার কাছে তেমন ঘোরাঘুরি করার কোনো জায়গা নেই। তাই বিকাল হলে আমরা হাঁটতে হাঁটতে একদম মেইন রাস্তায় চলে যাই। এরপর সেই রাস্তা ধরে হেঁটে নিচে নেমে ঠান্ডা লাচ্চি খেয়ে নেই। আমরা জানি ফুটপাতে খাবার স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু দোকান থাকে যেখানের খাবার রেস্টুরেন্টের থেকেও সুস্বাদু হয়। আমার কাছে এই দোকানের লাচ্চি খেতে অনেক ভালো লাগে। তারজন্য বাহিরে গেলে সবসময়ই এখানে গিয়ে লাচ্চি খাওয়া হয়।
এরপর চলে গেলাম ছেলেকে কিছু খাওয়ানোর জন্য। অয়ন বার্গার খেতে খুব পছন্দ করে। তারজন্য বাহিরে গেলে অয়নকে বার্গার খাওয়ানো হয়। আজ যেই রেস্টুরেন্ট থেকে বার্গার খেয়েছি তা এত সুস্বাদু ছিল বলে বুঝাতে পারবো। এত দিন অনেক বার্গার খেয়েছি কিন্তু এর মতো এত স্বাদ পাইনি। অয়ন এখন খুবই বিরক্ত করে তার জন্য তাকে বাহিরে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না। রেস্টুরেন্টে গিয়ে চেয়ারে না বসে সে টেবিলের উপর বসে থাকবে। টেবিলে টিস্যু থাকলে তো কোনো কথাই নেই। একটা টিস্যু আস্ত থাকবে না।
সে কখনো এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকতে চায়না। তারজন্য আমার রেস্টুরেন্টে যেতে ইচ্ছে ভালো লাগে না। এরপর আমার কিছু রঙিন পেপার দরকার ছিল তা নিয়ে আসলাম। বাহিরে গেলে তার জন্য খেলনা কিনতেই হবে। এরপর সে আম খাবে তারজন্য কিছু আম কিনে বাসায় আসবো কিন্তু রাস্তায় তাকিয়ে দেখি গুলিস্থানের জ্যাম লেগেছে। এত গরমে সম্পূর্ণ রাস্তা হেঁটে এসে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বাসায় এসে ইচ্ছে মতো ঠান্ডা পানি খেলাম।
এই গরমের মধ্যে এই ছিল আমার বিকাল বেলা ঘোরাঘুরি। এমন কিছু সময় থাকে যখন নিজের কষ্ট ভুলে ছেলেমেয়েদের আবদার পূরণ করতে হয়। অনেক গরম লেগেছে ঠিকই কিন্তু অনেক দিন পর বাহিরে বের হয়ে ভালোই লেগেছে। যাই হোক আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
কোথা থেকে দীর্ঘদিন থেকে এসে যদি শহরে বন্দী জীবন যাপন করা হয় তাহলে ভালো লাগেনা। যেহেতু গ্রামে খোলামেলা পরিবেশে চলাফেরা করছে তাই শহরে এসেই কয়েকদিন খারাপ লাগবে বাচ্চার। তাই বাইরে যাওয়ার জন্য বায়না ধরল। আপনি বেশ ভালই করলেন বাইরে নিয়ে গিয়ে একটু ঘোরাফেরা করলেন খাওয়া-দাওয়া করলেন। মনটা অনেক হালকা হয়ে যাবে।
আসলে ছোট বাচ্চারা বাইরে যেতে একটু বেশিই পছন্দ করে। তা ঘোরাঘুরি হোক বা খাওয়া-দাওয়া করা হোক। কষ্ট করে হলেও ছেলের আবদার পূরণ করতে আপনারা বাহিরে গিয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। খাওয়া দাওয়া দেখছি, বেশ ভালোভাবে করলেন। মুহূর্তটা এত সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে।
আসলে বাহিরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করলে এবং খাওয়া দাওয়া করলে ভীষণ ভালো লাগে নিজের কাছেও। আমি তো খুবই পছন্দ করি বাহিরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে। আপনার বাচ্চা বুঝতেই পারছি অনেক বেশি আবদার করেছিল বাহিরে যাওয়ার জন্য। তাইতো বাধ্য হয়েই আপনারা বাইরে গিয়েছিলেন, কিন্তু খুব ভালো মুহূর্ত কেটেছিল মনে হয়। যদিও আপনারা আসার সময় হেঁটে হেঁটে এসেছিলেন, আর গরমের কারণে অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। কিন্তু ছেলের আবদার তো পূরণ হলো।
সব মায়েরাই চান বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে।আপনি গরমের জন্য বাইরে যেতে চাইছিলেন না কিন্তু বাচ্চার আবদার পূরণ করতে গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে আপনার।আপনারা দারুণ একটা সময় পার করেছেন।লাচ্চিকে আমরা লস্যি বলি,এটা খেতে অনেক মজার।বিকেলে ঘোরাঘুরি করতে আমার ও ভালো লাগে ধন্যবাদ আপু।
আসলে বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতেই হয়। নয়তো বাসায় থাকাটা কষ্টকর হয়ে যায়। অনেক বাচ্চারা রেস্টুরেন্টে গেলে টেবিলের উপর বসে দুষ্টামি করে। যাইহোক বিকেল বেলা বের হয়ে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু। এটা ঠিক অনেক সময় রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়েও স্ট্রিট ফুড খেতে খুব ভালো লাগে। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।