আত্মহত্যা মহাপাপ || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন আরো একটি পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি। আমার এই পোস্ট পড়ে কেমন লাগবে জানিনা। কয়েক দিন ধরে আশেপাশে এমন সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তার জন্য এই পোস্ট না করে পারলাম না। মনে হচ্ছিল আপনাদের সাথে কিছু বাস্তব ঘটনা শেয়ার করি। আমি আজ আত্মহত্যা নিয়ে কিছু ঘটনা ও কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আত্মহত্যা করা মহাপাপ এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু সব কিছু জেনেও মানুষ কেন আত্মহত্যা করে জানিনা। যখন মানুষ অতিরিক্ত কষ্ট পায় তখন তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এসময় তারা যেকোনো খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আবার অনেকে নেশার জগতে চলে যায়। কিন্তু কেন মানুষের র্ধৈয্য শক্তি এতটা কমে গেছে। জীবন মানেই তো সুখ-দুঃখ দিয়ে তৈরি। তাহলে আমাদের জীবনে যখন সুখ আসে আর তাকে যদি মনের আনন্দে গ্ৰহণ করে নিতে পারি তাহলে দুঃখ কে কেন মেনে নিতে পারিনা।
Source
একবার চোখ বন্ধ করে দেখবেন আজ জীবিত আছেন সবাই আপনার পাশে আছে আর কত আনন্দে আছেন কিন্তু যখন আপনার নিঃশ্বাস চলে যাবে তখন আপনার পাশে আর কেউ থাকবেনা। তখন আপনার দেহ টা দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সবাই উঠে পড়ে লাগবে। সকালে মারা গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ রাখতে চায়না। তখন আপনার সাথে কেউ থাকবেনা শুধু থাকবে আপনার ভালো কাজগুলো। আপনারা কেন এই পথ বেছে নেন বুঝিনা আমাদের জন্ম যেহেতু হয়েছে মৃত্যু একদিন হবেই এটা নিশ্চিত। আপনি নিজে কষ্টসহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন কিন্তু একবার চিন্তা করেছেন আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার মা-বাবা কিংবা কাছের মানুষের অবস্থা কি হবে।
আমার কাছে মনে হয় আপনারা মারা যান না আপনাদের প্রিয় মানুষদের ফাঁসিয়ে দিয়ে যান। মারা যাওয়ার পর আপনারা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন আপনার প্রিয় মানুষটার কি অবস্থা হচ্ছে তখন সহ্য করবেন কিভাবে। এই পর্যন্ত অনেক মানুষ এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আমার অনেক কাছের এক বান্ধবীও আত্মহত্যা করেছিল আমি যখন জানতে পারলাম তখন অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমার এই বান্ধবী খুবই ভালো ছিল সে সবসময় বলতো যত কষ্টই হোক না কেন আমি কখনো আত্মহত্যা করবো না। কিন্তু সেই আজ আত্মহত্যা করে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। এই খবর যেদিন শুনতে পেলাম সেদিন আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। এখনো পর্যন্ত আমি তাকে মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি। আমি ঢাকায় ছিলাম বলে ওর লাশ দেখা হয়নি। গ্ৰামে আমার চারজন বান্ধবী ছিল একজন এভাবে মারা গেছে।
Source
আমার বান্ধবীর আত্মহত্যার একটু কাহিনী শেয়ার করি। ওরা তিন ভাই ও একবোন ছিল। আমি দেখেছি ওর তিন ভাই ওকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। একবোন থাকলে যা হয় সবসময় সবার ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছে। আমরা একসাথে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। এরপর আমি যখন ঢাকা চলে এসেছি তখন ওর সাথে শুধু বাড়িতে গেলে কথা হতো। সবকিছু ভালোই ছিল চলছিল। আমার বান্ধবী তার খালাতো ভাইকে পছন্দ করতো কিন্তু তার মা রাজি ছিল না। তার মা তাকে জোর করে ধুমধাম করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। এমন একজনের সাথে বিয়ে দেয় যে নাকি দুই সন্তানের বাবা। তার বৌ মারা গিয়েছে কিন্তু সে বিদেশে ছিল বলে অনেক টাকা পয়সা ছিল। আমি ওর বিয়ের পর যখন গ্ৰামে গিয়েছি তখন তার সাথে দেখা হলে সে অনেক কান্না করে আর বলে আমি ওখানে থাকবো না। এভাবে তার সংসার জীবন চলতে থাকে।
একদিন শুনতে পেলাম সে তার খালাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে এসেছে। তার সাথে নাকি বিয়েও হয়ে গেছে। তারপর আগের ওখানে ডির্ভোস দিয়ে এখানে নতুন করে সংসার করতে শুরু করে। কিন্তু সে বিয়ের পর জানতে পারলো তার স্বামী নেশা করে। তখন থেকে আস্তে আস্তে সে মনের দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে। একদিন তার স্বামী ঘর থেকে টাকা চুরি করে নিয়ে নেশা করে তার সেই চুরির অপবাদ পড়ে তার উপর। সেদিন তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে অনেক মারধর করে। সে কাউকে এই কষ্ট বুঝাতে না পেরে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়।
Source
তার বাবা মা লোভে পড়ে অর্নাস পড়ুয়া মেয়েকে এক বুড়া লোকের সাথে বিয়ে দেয় এটা একটা বড় ভুল। এরপর আবার সে ওখান থেকে পালিয়ে এসে আরেক ভুল করে। সে চিন্তা করলো এখন যদি আবারো চলে যায় তাহলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। একদিকে সমাজ আবার অন্যদিকে তার কষ্টগুলো সহ্য করতে পারছিলোনা বলে চলে গেল সবাইকে কাঁদিয়ে। ওর মায়ের কাছ থেকে যখন এই কথা গুলো শুনছিলাম তখন আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল। এখনো মাঝে মাঝে ওর কথা খুব মনে পড়ে। আমরা একসাথে ছোট থেকে বড় হয়েছি।
শেষে একটা কথা বলবো নিজেদের কষ্টকে মন থেকে দূরে সরিয়ে আনন্দে বাঁচতে শিখুন। হয়তো আজ আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন কিন্তু সামনে এমন একদিন আসতে পারে যেদিন আপনার থেকে সুখি মানুষ আর কেউ হবে না। একটু কষ্টের জন্য এই সুন্দর জীবনকে শেষ করে দিলে সবকিছুর সমাধান হয়না। একদিন তো চলেই যেতে হবে তাহলে কেন নিজের হাতে এই সুন্দর জীবনটাকে শেষ করে দেবেন। এই দুই দিনের দুনিয়াতে সুন্দর জীবনটাকে উপভোগ করতে শিখুন তাহলে দেখবেন আপনার থেকে সুখি মানুষ আর কেউ নেই। আজ আত্মহত্যা নিয়ে কথা এখানেই শেষ করছি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। আমার এই পোস্টে যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
|| Join Heroism Discord Server for more Details ||
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন আরো একটি পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি। আমার এই পোস্ট পড়ে কেমন লাগবে জানিনা। কয়েক দিন ধরে আশেপাশে এমন সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তার জন্য এই পোস্ট না করে পারলাম না। মনে হচ্ছিল আপনাদের সাথে কিছু বাস্তব ঘটনা শেয়ার করি। আমি আজ আত্মহত্যা নিয়ে কিছু ঘটনা ও কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আত্মহত্যা করা মহাপাপ এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু সব কিছু জেনেও মানুষ কেন আত্মহত্যা করে জানিনা। যখন মানুষ অতিরিক্ত কষ্ট পায় তখন তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এসময় তারা যেকোনো খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আবার অনেকে নেশার জগতে চলে যায়। কিন্তু কেন মানুষের র্ধৈয্য শক্তি এতটা কমে গেছে। জীবন মানেই তো সুখ-দুঃখ দিয়ে তৈরি। তাহলে আমাদের জীবনে যখন সুখ আসে আর তাকে যদি মনের আনন্দে গ্ৰহণ করে নিতে পারি তাহলে দুঃখ কে কেন মেনে নিতে পারিনা।
Source
একবার চোখ বন্ধ করে দেখবেন আজ জীবিত আছেন সবাই আপনার পাশে আছে আর কত আনন্দে আছেন কিন্তু যখন আপনার নিঃশ্বাস চলে যাবে তখন আপনার পাশে আর কেউ থাকবেনা। তখন আপনার দেহ টা দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সবাই উঠে পড়ে লাগবে। সকালে মারা গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ রাখতে চায়না। তখন আপনার সাথে কেউ থাকবেনা শুধু থাকবে আপনার ভালো কাজগুলো। আপনারা কেন এই পথ বেছে নেন বুঝিনা আমাদের জন্ম যেহেতু হয়েছে মৃত্যু একদিন হবেই এটা নিশ্চিত। আপনি নিজে কষ্টসহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন কিন্তু একবার চিন্তা করেছেন আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার মা-বাবা কিংবা কাছের মানুষের অবস্থা কি হবে।
আমার কাছে মনে হয় আপনারা মারা যান না আপনাদের প্রিয় মানুষদের ফাঁসিয়ে দিয়ে যান। মারা যাওয়ার পর আপনারা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন আপনার প্রিয় মানুষটার কি অবস্থা হচ্ছে তখন সহ্য করবেন কিভাবে। এই পর্যন্ত অনেক মানুষ এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আমার অনেক কাছের এক বান্ধবীও আত্মহত্যা করেছিল আমি যখন জানতে পারলাম তখন অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমার এই বান্ধবী খুবই ভালো ছিল সে সবসময় বলতো যত কষ্টই হোক না কেন আমি কখনো আত্মহত্যা করবো না। কিন্তু সেই আজ আত্মহত্যা করে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। এই খবর যেদিন শুনতে পেলাম সেদিন আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। এখনো পর্যন্ত আমি তাকে মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি। আমি ঢাকায় ছিলাম বলে ওর লাশ দেখা হয়নি। গ্ৰামে আমার চারজন বান্ধবী ছিল একজন এভাবে মারা গেছে।
Source
আমার বান্ধবীর আত্মহত্যার একটু কাহিনী শেয়ার করি। ওরা তিন ভাই ও একবোন ছিল। আমি দেখেছি ওর তিন ভাই ওকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। একবোন থাকলে যা হয় সবসময় সবার ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছে। আমরা একসাথে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। এরপর আমি যখন ঢাকা চলে এসেছি তখন ওর সাথে শুধু বাড়িতে গেলে কথা হতো। সবকিছু ভালোই ছিল চলছিল। আমার বান্ধবী তার খালাতো ভাইকে পছন্দ করতো কিন্তু তার মা রাজি ছিল না। তার মা তাকে জোর করে ধুমধাম করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। এমন একজনের সাথে বিয়ে দেয় যে নাকি দুই সন্তানের বাবা। তার বৌ মারা গিয়েছে কিন্তু সে বিদেশে ছিল বলে অনেক টাকা পয়সা ছিল। আমি ওর বিয়ের পর যখন গ্ৰামে গিয়েছি তখন তার সাথে দেখা হলে সে অনেক কান্না করে আর বলে আমি ওখানে থাকবো না। এভাবে তার সংসার জীবন চলতে থাকে।
একদিন শুনতে পেলাম সে তার খালাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে এসেছে। তার সাথে নাকি বিয়েও হয়ে গেছে। তারপর আগের ওখানে ডির্ভোস দিয়ে এখানে নতুন করে সংসার করতে শুরু করে। কিন্তু সে বিয়ের পর জানতে পারলো তার স্বামী নেশা করে। তখন থেকে আস্তে আস্তে সে মনের দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে। একদিন তার স্বামী ঘর থেকে টাকা চুরি করে নিয়ে নেশা করে তার সেই চুরির অপবাদ পড়ে তার উপর। সেদিন তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে অনেক মারধর করে। সে কাউকে এই কষ্ট বুঝাতে না পেরে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়।
Source
তার বাবা মা লোভে পড়ে অর্নাস পড়ুয়া মেয়েকে এক বুড়া লোকের সাথে বিয়ে দেয় এটা একটা বড় ভুল। এরপর আবার সে ওখান থেকে পালিয়ে এসে আরেক ভুল করে। সে চিন্তা করলো এখন যদি আবারো চলে যায় তাহলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। একদিকে সমাজ আবার অন্যদিকে তার কষ্টগুলো সহ্য করতে পারছিলোনা বলে চলে গেল সবাইকে কাঁদিয়ে। ওর মায়ের কাছ থেকে যখন এই কথা গুলো শুনছিলাম তখন আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল। এখনো মাঝে মাঝে ওর কথা খুব মনে পড়ে। আমরা একসাথে ছোট থেকে বড় হয়েছি।
শেষে একটা কথা বলবো নিজেদের কষ্টকে মন থেকে দূরে সরিয়ে আনন্দে বাঁচতে শিখুন। হয়তো আজ আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন কিন্তু সামনে এমন একদিন আসতে পারে যেদিন আপনার থেকে সুখি মানুষ আর কেউ হবে না। একটু কষ্টের জন্য এই সুন্দর জীবনকে শেষ করে দিলে সবকিছুর সমাধান হয়না। একদিন তো চলেই যেতে হবে তাহলে কেন নিজের হাতে এই সুন্দর জীবনটাকে শেষ করে দেবেন। এই দুই দিনের দুনিয়াতে সুন্দর জীবনটাকে উপভোগ করতে শিখুন তাহলে দেখবেন আপনার থেকে সুখি মানুষ আর কেউ নেই। আজ আত্মহত্যা নিয়ে কথা এখানেই শেষ করছি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। আমার এই পোস্টে যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
|| Join Heroism Discord Server for more Details ||
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন আরো একটি পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি। আমার এই পোস্ট পড়ে কেমন লাগবে জানিনা। কয়েক দিন ধরে আশেপাশে এমন সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তার জন্য এই পোস্ট না করে পারলাম না। মনে হচ্ছিল আপনাদের সাথে কিছু বাস্তব ঘটনা শেয়ার করি। আমি আজ আত্মহত্যা নিয়ে কিছু ঘটনা ও কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আত্মহত্যা করা মহাপাপ এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু সব কিছু জেনেও মানুষ কেন আত্মহত্যা করে জানিনা। যখন মানুষ অতিরিক্ত কষ্ট পায় তখন তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এসময় তারা যেকোনো খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আবার অনেকে নেশার জগতে চলে যায়। কিন্তু কেন মানুষের র্ধৈয্য শক্তি এতটা কমে গেছে। জীবন মানেই তো সুখ-দুঃখ দিয়ে তৈরি। তাহলে আমাদের জীবনে যখন সুখ আসে আর তাকে যদি মনের আনন্দে গ্ৰহণ করে নিতে পারি তাহলে দুঃখ কে কেন মেনে নিতে পারিনা।
একবার চোখ বন্ধ করে দেখবেন আজ জীবিত আছেন সবাই আপনার পাশে আছে আর কত আনন্দে আছেন কিন্তু যখন আপনার নিঃশ্বাস চলে যাবে তখন আপনার পাশে আর কেউ থাকবেনা। তখন আপনার দেহ টা দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সবাই উঠে পড়ে লাগবে। সকালে মারা গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ রাখতে চায়না। তখন আপনার সাথে কেউ থাকবেনা শুধু থাকবে আপনার ভালো কাজগুলো। আপনারা কেন এই পথ বেছে নেন বুঝিনা আমাদের জন্ম যেহেতু হয়েছে মৃত্যু একদিন হবেই এটা নিশ্চিত। আপনি নিজে কষ্টসহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন কিন্তু একবার চিন্তা করেছেন আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার মা-বাবা কিংবা কাছের মানুষের অবস্থা কি হবে।
আমার কাছে মনে হয় আপনারা মারা যান না আপনাদের প্রিয় মানুষদের ফাঁসিয়ে দিয়ে যান। মারা যাওয়ার পর আপনারা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছেন আপনার প্রিয় মানুষটার কি অবস্থা হচ্ছে তখন সহ্য করবেন কিভাবে। এই পর্যন্ত অনেক মানুষ এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আমার অনেক কাছের এক বান্ধবীও আত্মহত্যা করেছিল আমি যখন জানতে পারলাম তখন অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমার এই বান্ধবী খুবই ভালো ছিল সে সবসময় বলতো যত কষ্টই হোক না কেন আমি কখনো আত্মহত্যা করবো না। কিন্তু সেই আজ আত্মহত্যা করে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। এই খবর যেদিন শুনতে পেলাম সেদিন আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি। এখনো পর্যন্ত আমি তাকে মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি। আমি ঢাকায় ছিলাম বলে ওর লাশ দেখা হয়নি। গ্ৰামে আমার চারজন বান্ধবী ছিল একজন এভাবে মারা গেছে।
আমার বান্ধবীর আত্মহত্যার একটু কাহিনী শেয়ার করি। ওরা তিন ভাই ও একবোন ছিল। আমি দেখেছি ওর তিন ভাই ওকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। একবোন থাকলে যা হয় সবসময় সবার ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছে। আমরা একসাথে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। এরপর আমি যখন ঢাকা চলে এসেছি তখন ওর সাথে শুধু বাড়িতে গেলে কথা হতো। সবকিছু ভালোই ছিল চলছিল। আমার বান্ধবী তার খালাতো ভাইকে পছন্দ করতো কিন্তু তার মা রাজি ছিল না। তার মা তাকে জোর করে ধুমধাম করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। এমন একজনের সাথে বিয়ে দেয় যে নাকি দুই সন্তানের বাবা। তার বৌ মারা গিয়েছে কিন্তু সে বিদেশে ছিল বলে অনেক টাকা পয়সা ছিল। আমি ওর বিয়ের পর যখন গ্ৰামে গিয়েছি তখন তার সাথে দেখা হলে সে অনেক কান্না করে আর বলে আমি ওখানে থাকবো না। এভাবে তার সংসার জীবন চলতে থাকে।
একদিন শুনতে পেলাম সে তার খালাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে এসেছে। তার সাথে নাকি বিয়েও হয়ে গেছে। তারপর আগের ওখানে ডির্ভোস দিয়ে এখানে নতুন করে সংসার করতে শুরু করে। কিন্তু সে বিয়ের পর জানতে পারলো তার স্বামী নেশা করে। তখন থেকে আস্তে আস্তে সে মনের দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ে। একদিন তার স্বামী ঘর থেকে টাকা চুরি করে নিয়ে নেশা করে তার সেই চুরির অপবাদ পড়ে তার উপর। সেদিন তার স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে অনেক মারধর করে। সে কাউকে এই কষ্ট বুঝাতে না পেরে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়।
তার বাবা মা লোভে পড়ে অর্নাস পড়ুয়া মেয়েকে এক বুড়া লোকের সাথে বিয়ে দেয় এটা একটা বড় ভুল। এরপর আবার সে ওখান থেকে পালিয়ে এসে আরেক ভুল করে। সে চিন্তা করলো এখন যদি আবারো চলে যায় তাহলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। একদিকে সমাজ আবার অন্যদিকে তার কষ্টগুলো সহ্য করতে পারছিলোনা বলে চলে গেল সবাইকে কাঁদিয়ে। ওর মায়ের কাছ থেকে যখন এই কথা গুলো শুনছিলাম তখন আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল। এখনো মাঝে মাঝে ওর কথা খুব মনে পড়ে। আমরা একসাথে ছোট থেকে বড় হয়েছি।
শেষে একটা কথা বলবো নিজেদের কষ্টকে মন থেকে দূরে সরিয়ে আনন্দে বাঁচতে শিখুন। হয়তো আজ আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন কিন্তু সামনে এমন একদিন আসতে পারে যেদিন আপনার থেকে সুখি মানুষ আর কেউ হবে না। একটু কষ্টের জন্য এই সুন্দর জীবনকে শেষ করে দিলে সবকিছুর সমাধান হয়না। একদিন তো চলেই যেতে হবে তাহলে কেন নিজের হাতে এই সুন্দর জীবনটাকে শেষ করে দেবেন। এই দুই দিনের দুনিয়াতে সুন্দর জীবনটাকে উপভোগ করতে শিখুন তাহলে দেখবেন আপনার থেকে সুখি মানুষ আর কেউ নেই। আজ আত্মহত্যা নিয়ে কথা এখানেই শেষ করছি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। আমার এই পোস্টে যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আত্মহত্যা নিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। আপু আপনার লেখা পড়লাম ভালো লেগেছে ।আসলে আত্মহত্যা মানুষ তখনই করে যখন তার জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে। চারপাশের অবহেলা তাকে বেঁচে থাকার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে না। অযত্ন অবহেলা এবং নিজের ভিতর হতাশা চাপিয়ে রাখার ফলে দীর্ঘ সময় একটি প্রভাব সৃষ্টি হয় যার ফলে মানুষ আত্মহত্যা করে। তবে আপনার বান্ধবীর আত্মহত্যা করার কাহিনী শুনে খুবই খারাপ লাগলো।
আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা গুলো শেয়ার করেছেন । আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার লেখার শিরোনামটি একেবারে যুক্তিযুক্ত আত্মহত্যা আসলেই অনেক বড় একটি পাপ। পার্থিব জীবনে আমরা ভোগ বিলাসে এত মত্ত থাকি যে শুধু সুখ বা আনন্দটাকে গ্রহণ করতে শিখেছি। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই ভালো-মন্দ পর্যায়ক্রমে আসবে এটাই স্বাভাবিক। খারাপ সময় গুলোতে ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর উপর সবর করতে হবে এটাই আমাদের কর্তব্য হওয়া উচিত। কিন্তু আত্মহত্যার মতো মহাপাপের সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। আত্মহত্যাকারী ইহকাল এবং পরকাল দুই জায়গাতেই ঘৃণিত। আর তাই আমাদের এই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া এই ধরনের মানুষ দুই জায়গায় ঘৃণিত। দুনিয়াতে যেমন তাদেরকে কেউ ভালোবাসে না আখিরাতেও তাদেরকে কেউ ভালোবাসি আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Twitter Share
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1530774196090830848?s=20&t=OYedc-OZKNqn0MAq51x1XQ
আপনার বান্ধবীর ঘটনাটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে কোন পিতা-মাতা চায়না সন্তানের খারাপ হোক তারপরেও হয়তো কখনো কখনো ভুল হয়ে যায়। তবে আমি মনে করি পিতা-মাতার যেমন সন্তানের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত তেমনি প্রত্যেকটি সন্তানের উচিত তার পিতা-মাতার সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানান। সত্যি বলতে কি মানুষ যখন আত্মহত্যা করে তখন তার মানসিক অবস্থা এমন থাকে যে তার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ থাকেনা। এজন্য ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথাগুলো বলেছেন। আপনার এত সুন্দর কথাগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার বান্ধবীর কথাগুলো শুনে খুব খারাপ লাগলো। আসলে তার বাবা-মার প্রথমে উচিত ছিল যাকে পছন্দ করে তার সাথে বিয়ে দাওয়া। যেহেতু তার জীবনে দুটো ভুল হয়ে গেছে তাই সে কিছু বুঝতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যা মহাপাপ । আত্মহত্যা যদি সব কিছুর সমাধান হতো তাহলে পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে থাকত না। যাইহোক খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি সকলে এটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আত্মহত্যা যদি সবকিছুর সমাধান হত তাহলে পৃথিবীতে কোন মানুষই বেঁচে থাকত না। মানুষের ধৈর্যের ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানুষ কেনই বা আত্মহত্যার মতো জঘন্য কাজ করে তা আপনার মত আমারও মাথায় আসে না। চরম কষ্টে উপনিত হয়ে মানুষ হয়তো এই পাপ কাজটিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তখন ভাল মন্দ দিন দুনিয়া নিয়ে তারা কোন কিছু ভাবতে পারে না। আর তার জন্যই এই পাপ কাজটি তারা করে ফেলে। যখন এই কাজটি করে ফেলে তখন তারা বাচার জন্য অনেক চেষ্টা করে কিন্তু আফসোস আজরাইল তাদের প্রান কেড়ে নেয় ভীষণ কষ্ট দিয়ে। আপনার বান্ধবীর কাহিনি পড়ে খুব খারাপ লাগল
যত কষ্ট যত কিছুই হোক না কেন আমাদের উচিত ধৈর্য ধারণ করা। ধৈর্য ধরলে একসময় তার সুফল পাওয়া যাবে। আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আত্মহত্যা নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন । আত্মহত্যা মহাপাপ জীবনে অনেক প্রতিকূলতা আসবে তবে কোন ভাবে আত্মহত্যা করা যাবে না। কারণ জীবন স্রষ্টার দান একখানে নিজে হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই । এত অসাধারন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সবকিছু জেনেও কেন যে মানুষ অবুঝের মত কাজ করে বুঝতে পারিনা। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।