ননদের মেয়ের দ্বিতীয় জন্মদিন পালন
ঈদ মোবারক |
---|
আজকের দিনটি খুব ভালো ভাবেই কেটেছে কিন্তু গরমে একদমই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমার শ্বশুর বাড়ির দিকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর থেকে কোনো বৃষ্টি নেই। আমার এখন মনে হচ্ছে ঢাকায় ছিলাম সেটাই ভালো ছিল। কিন্তু এসে যখন পড়েছি সেজন্য কয়েকদিন থাকবো। তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যেতে হবে। যাই হোক আমরা ঈদে বাড়ি আসবো শুনে আমার ননদ বলছে এবার আমার মেয়ের জন্মদিন খুব ভালো একটা সময় পড়েছে। তোমরা আসলেই পালন করবো। তারজন্য সে আগে থেকেই সব কিছু রেডি করে রেখে দিয়েছে।
ননদের মেয়ের নাম নুসরাত জাহান রাফা। রাফার জন্মদিন ছিল ১২ তারিখ কিন্তু আমরা ১৩ তারিখ এসেছি বলে সেদিন রাতেই কেক কেটেছে। ঘরোয়া ভাবে যতটুকু পারা যায় করেছে। আমার ফুফু শ্বাশুড়ি আর পাশের বাড়ির ভাবিদের আসতে বলা হয়েছিলো।আমরা দূরের রাস্তা বলে ভোরবেলা বের হয়েছিলাম আর ১২ টার মধ্যে চলে এসেছি। এরপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া করে একটু রেস্ট নিয়ে সাজানো শুরু করে দেই। এরপর আমরা সবাই সন্ধ্যার পরে রেডি হয়ে নেই।
আমার ছেলে আর ননদের মেয়ে মিলে অনেক আনন্দ করেছিলো। আমার ছেলে আবার একটু ভয় পায়,বেলুন ফোলানোর সময় মাঝে মাঝে একটা দুটা ফুটে উঠতো আর সেই শব্দে কান্না শুরু করে দিতো। এরপর কেক কাটার সময় যখন বাতি জ্বালানো হয় তখন বারবার বলছে আম্মু জ্বালিও না আগুন লাগবে। যখন আগুন জ্বালানো হলো আর কান্না শুরু করে দিলো। ছেলে কে বললাম তুমি রাফার হাত ধরো কেক কাটি কিন্তু সে ভয়ে আর রাজি হয়নি।
তবে আমার ছেলে আবার ঐ কেক খেতে খুব পছন্দ করে। এটা জানা ছিল না কিন্তু ঐ দিন বুঝলাম তার এত পছন্দ। চিন্তা করেছি ঢাকায় গিয়ে মাঝে মাঝেই ঘরে বানাতে হবে। ১৩ তারিখ সারাদিনটা খুবই ভালো কেটেছে। রাফার জন্য জন্মদিনের গিফট হিসেবে ড্রেস দিয়েছিলাম। ছোট মানুষ ড্রেস ছাড়া আর কিছু খুঁজে পেলাম না। তাকে এই ড্রেস পড়েই কেক কাটানো হয়েছে। জন্মদিন পালন করা ভালো নয় কিন্তু আমার ননদের ইচ্ছে সে এবার আমাদের নিয়ে কেক কাটবে। সে বলে এবারই শেষ আর পালন করবো না।
তারজন্য যতটুকু পেরেছে আনন্দ করার চেষ্টা করেছে। সেদিন ভালোই আনন্দ করেছি তবে গরমে অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। এভাবে জন্মদিন পালন করা হয়। ঈদের আগে এই আনন্দ খুব ভালো লেগেছে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নেই। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার ননদের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। সেই সাথে আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার ছেলেকে দেখলাম খুব সুন্দর ভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি। জন্মদিনের উপলক্ষে ভালই খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার আজকের উপস্থাপনা টা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু
ভাইয়া আমার ছেলে ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে। তারজন্য ছবি তুলতে গেলেই সে আগে গিয়ে দাঁড়াবে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার ননদের মেয়ে জন্মদিন একদিন আগে থাকলেও আপনারা আসতে দেরি করেছেন বলে একদিন পরে কেক কেটেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে আপনার ননদ আপনাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসেন। আপনার ননদের মেয়ের জন্মদিনের বিভিন্ন মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আমার ননদ আমাদের খুব ভালোবাসে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার ননদের মেয়ের জন্মদিন পালন করার বিষয়টা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। আপনজনদের সাথে এভাবে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে পারলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার তো তা নাই। আশা করব আপনার ননদের সাথে তাদের পরিবারের সাথে সুন্দর মিল রাখবেন এভাবে।
আপু দোয়া করবেন যেন সারাজীবন এই সম্পর্ক থাকে। ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনার ননদের মেয়ের দ্বিতীয় জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই:- শুভ জন্মদিন।
জন্মদিনের অনুষ্ঠান বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। আপনার জন্মদিনে কাটানো অনুভূতিগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ননদের মেয়ের জন্মদিন দারুণভাবে পালন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।আর আপনাদের জন্য একদিন পিছিয়ে কেক কেটেছে এটাও আনন্দের বিষয় ছিল।তাছাড়া রাফার গায়ে জামাটি বেশ মানিয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো দিদি। ধন্যবাদ
প্রথমেই আপনার ননদের মেয়ের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। আপনার ননদের মেয়ের জন্মদিনে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।জন্মদিনে গিয়ে দারুন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার আসতে দেরি হয়েছিল এর জন্য একদিন পর কেক কাটা হয়েছিল এই বিষয়টি জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি আপন জন গুলোর সাথে এমন সম্পর্ক থাকলে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনজনদের সাথে এমন সম্পর্ক থাকলে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
ছোট বাচ্চাদের জন্মদিন পালন করলে সত্যি খুব ভালো লাগে। বাচ্চারা অনেক বেশি খুশি হয়। আপনার ননদের মেয়ে তো অনেক ছোট। আপনার ননদের মেয়ের দ্বিতীয় জন্মদিন ঘরোয়া ভাবে আপনারা সবাই পালন করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। জন্মদিনের কেকটা কিন্তু অনেক সুন্দর। ঘরোয়া ভাবে হলেও জন্মগ্রহণ পালন করলে খুব ভালো সময় কাটে। কেকের পাশাপাশি দেখছি মজার মজার খাবারও তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এত সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু বাচ্চারা জন্মদিন পালন করলে খুব খুশি হয়। বিশেষ করে আমার ছেলে কেক কাটতে বেশি পছন্দ করে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম, আপু কেমন আছেন.? অনেক দিন পর আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি আপনার ননদের মেয়ের জন্মদিন এর একটি পোস্ট করেছেন যেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে জন্মদিন পালন করা সেটা সবার কাছেই ভালো লাগে। তবে আপনার ছেলে ভয় পেয়েছে জেনে একটু খারাপ লাগলো তবে এটা ও সত্যি যে কিছু কিছু ছোট ছোট ছেলে মেয়ে বেলুন ফোটানো বা মোম বাতিতে আগুন জালানো এগুলো অনেক ভয় পায়। তারপর ও আপনারা সুন্দর ভাবে জন্ম দিনের অনুষ্ঠান শেষ করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আমার ছেলে এই শব্দ গুলো নিতে পারে না আর সেজন্য তাকে দিয়ে কখনও কেক কাটানো যায় না। ধন্যবাদ।