ঘর এবং বাহির থেকে তোলা ঝাল ও মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি
আসসালামু-আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আজ আবারও একদম ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। সবসময় ভিন্ন ধরনের পোস্ট করতে অনেক ভালো লাগে। আমি জানি আপনাদের কাছেও ভিন্ন ধরনের পোস্ট পড়তে অনেক ভালো লাগে। তারজন্য আজ আবারও ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। আজকে আবারও খাবারের ফটোগ্রাফির নিয়ে এসেছি। তবে আজকের খাবারের মধ্যে কিছু খাবার বাসায় তৈরি আবার কিছু খাবার বাহিরের। আমরা মিষ্টি খাবার খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ঝাল খাবার খেতেও অনেক ভালো লাগে। অনেক সময় দেখা যায় ঝাল খাবার খেতে খেতে খুব খারাপ লাগে তারজন্য মুখ মিষ্টি করতে মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছে করে। আমাদের খাবারে ঝাল যেমন প্রয়োজন তেমনি মিষ্টিও প্রয়োজন।
আমি আবার কোনো খাবার বেশি আবার কোনো খাবার কম এভাবে খেতে পারিনা। কিংবা বলতে পারেন কোনটা কম পছন্দ অথবা কোনোটা বেশি পছন্দ এমন নেই। টক,ঝাল মিষ্টি সমান পছন্দ। আজকের প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই লোভনীয়। যখনই দেখি তখনই খেতে ইচ্ছে করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝাল মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি করা হয়েছে। তাহলে চলুন আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
গোলগুলি পিঠা
আমাদের দিকে এই পিঠাকে গোলগুলি পিঠা বলে। হয়তো অঞ্চলভেদে আপনাদের দিকে অন্য নাম হতে পারে। আজকের এই পিঠাগুলো ছোট ভাইয়ার শ্বাশুড়ি নিয়ে এসেছিল। তবে কম বেশি আপনারা সবাই চেনেন এবং পছন্দ করেন। আমি তো এই পিঠা খেতে খুব ভালোবাসি। এই পিঠা চালের গুঁড়া,দুধ, নারিকেল আর চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু। তবে শুধু লবণ আর চাউলের গুঁড়া দিয়েও তৈরি করা যায় আর সেই পিঠা শীতকালে খেজুরের গুড় দিয়ে খেতে আরও বেশি সুস্বাদু লাগে।
তেলের পিঠা
আমরা একে তেলের পিঠা অর্থাৎ আমাদের গ্ৰামের ভাষায় (ডোগা পিঠা) বলে। তবে অবশ্য গ্ৰামে এখন প্রায় মানুষ শিক্ষিত হওয়াতে অনেক ভাষার পরিবর্তন হয়েছে। ছোটবেলায় সবাইকে ডোগা পিঠা বলতে শুনেছি কিন্তু এখন সবাই তেলের পিঠা বলে। এটিও হয়তো অঞ্চলভেদে অন্য নামে চিনেন। এই পিঠা আবার আমার কাছে বেশি ভালো লাগে না। আমার মা খুব সুন্দর করে এই পিঠা তৈরি করতে পারেন আর এত সুন্দর ভাবে ফুলে ওঠে দেখলে খুব ভালো লাগে। আজকের যে পিঠার ফটোগ্রাফি দেখছেন তা আমার বড় ভাইয়ার শ্বাশুড়ি নিয়ে এসেছিল।
তালের সন্দেশ পিঠা
তালের পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এখন যেহেতু তালের সিজন আর গ্ৰামে এসেছি তাহলে পিঠা না খেলে তো হয়না। আমার মা সবসময় তালের সিজনে বেশি করে রস নিয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এই সন্দেশ পিঠা আমার মা তৈরি করেনি। আজ ছোট ভাইয়ার শ্বশুর বাড়ি দাওয়াত ছিল আর বৃষ্টির জন্য যেতে পারিনি বলে তার শ্বাশুড়ি এগুলো নিয়ে এসেছে। তালের এই সন্দেশ পিঠা বানাতে তালের রস,চালের গুঁড়া,দুধ, নারিকেল আর চিনি লাগে। এই পিঠা খেতেও খুবই সুস্বাদু।
লাল ও সাদা মিষ্টি
আমি সাদা মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করি। কিন্তু কালো ও লাল মিষ্টি একদমই খেতে পারিনা। তবে পছন্দ করি বলেই যে বেশি খেতে পারি তা কিন্তু নয়। একটার বেশি মিষ্টি আমি খেতে পারিনা। এবার আমাদের বাড়িতে যেন মিষ্টির ছড়াছড়ি। আমি আসার সময় এনেছি আবার ছোট আর বড় ভাইয়ার শ্বশুর- শ্বাশুড়ি এসেছে তারাও এনেছে। এরপর আবার মেহমান দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল আর তারাও এনেছে। এতে করে ঘর মিষ্টিময় হয়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের ভর্তা
এখানে আপনারা অনেক ধরনের ভর্তা দেখতে পাচ্ছেন আর এই ফটোগ্রাফি একটা রেস্টুরেন্ট থেকে তোলা। এখানের প্রতিটা ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। এর আগে যখন বাড়িতে এসেছি তখন আপনাদের বলেছিলাম আমাদের এখানে একটি রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে ৩২ পদের ভর্তা পাওয়া যায়। এবারেও সেখানে ভর্তা খেতে যাওয়া হয়েছে।
মিষ্টি পান
আপনারা হয়তো নাম দেখে ভাবছেন মিষ্টি পান হয় কিভাবে? হ্যাঁ এখন বর্তমানে প্রায় সব জায়গায় এই পান পাওয়া যায়। এই পান খেতে অনেক ভালো লাগে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি মশলা দেওয়া হয় আর খেতেও মিষ্টি লাগে। আমরা ঝাল ভর্তা দিয়ে খেয়ে আসার সময় এই মিষ্টি পান খেয়েছিলাম। মিষ্টি পান খাওয়াতে যেন ঝাল বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে হা হা হা।
কৈ মাছ ভাজি
এটা আমাদের নদীর মাছ। এই কয়দিনের বৃষ্টিতে সবাই প্রচুর মাছ ধরেছে। গতকাল ভোরবেলা বাজারে গিয়ে একদম তাজা কৈ মাছ আনা হয়েছে। লোকটি বললো মাত্র নদী থেকে ধরে এনেছি। সত্যিই এই মাছ ভাজা খেয়ে খুব মজা পেয়েছি। এভাবে কড়া করে মাছ ভাজা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
এই হলো আমার আজকের ঘর এবং বাহিরের ঝাল মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি। আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্য করে জানাবেন। যাই হোক আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
পোস্টের বিবরণ
ডিভাইসের নাম vivo
ফটোগ্রাফার @tanjima
ক্যাটাগরি ফটোগ্রাফি
লোকেশন নরসিংদী
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
|| Join Heroism Discord Server for more Details ||
Posted using SteemPro Mobile
ডিভাইসের নাম | vivo |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | নরসিংদী |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনি তো বেশ চমৎকারভাবে ঝাল ও মিষ্টির ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আমার কাছে ঝাল খেতে অনেক ভালো লাগে। কিছুদিন আগে আমি বাজারে গিয়েছিলাম এভাবে মিষ্টি পান দেখে খেয়েছিলাম। যাই হোক আপনি ঘরে এবং বাহির থেকে খুব চমৎকার কিছু ঝাল মিষ্টির ফটোগ্রাফি করেছেন। সব ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
কি যে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন আপু। প্রতিটি খাবার এত লোভনীয় ছিল সত্যি বলতেই লোভ সামলানো যাচ্ছে না। কারণ এই ধরনের খাবারের প্রতি আমার অনেক লোভ বেশি। অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে আপনার প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি।
আপনার কাছে আমার ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু এমন লোভনীয় খাবার দেখিয়ে কেউ লোভ লাগায়
আপনার প্রতিটি খাবারই অনেক লোভনীয় ছিল। আপনারা তো অনেকেই দাওয়াত করেছেন ইস আমাদের যদি একটু বলতেন হা হা হা। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু এখন চলে আসেন খুব মজা হবে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো লোভ লেগে গেল আপু। বিশেষ করে মিষ্টি পানের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। মিষ্টি পান দেখতেও খুব লোভনীয় লাগছে। অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলোও ভালো ছিল।
আপু এই পান খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ওয়াও আপনি খুব চমৎকার করে ঝাল এবং মিষ্টি খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন তবে কিছু ফটোগ্রাফি আপনার বাসায় করেছেন আবার কিছু ফটোগ্রাফি বাহির থেকে করেছেন। তবে মিষ্টি জাতীয় এবং ঝাল জাতীয় দুইটি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সত্যি বলতে আপনার কৈ মাছের ফটোগ্রাফি দেখে আমার খেতে মন চাইতেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া কৈ মাছ ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। একবার এভাবে বাসায় তৈরি করে দেখবেন। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু । সত্যি কথা বলতে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে সেই খাবার খাওয়ার জন্য লোভ চলে আসে নিজের মধ্যে। এত সুন্দর সুন্দর খাবার দেখে নিজের লোভ কন্ট্রোল করা যায় না। যাই হোক আপু আপনারা যেগুলোকে গোলগুলি পিঠা বলেন আমরা সেইগুলোকে আমাদের ভাষায় নাড়ু বলে থাকি।
আমাদের দিকে শুধু নারিকেল আর গুঁড়া দিয়ে নাড়ু তৈরি করা হয়। যাই হোক এই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।