লালবাগ কেল্লায় কিছু সময়।১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম ইউনিক পোস্ট নিয়ে। আমার কাছে সবসময় ইউনিক পোস্ট শেয়ার করতে খুব ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করি সবসময় যেন ইউনিক কিছু শেয়ার করা যায়। আমার একটা জরুরি কাজের জন্য আজ সকাল বেলা পুরান ঢাকা গিয়েছিলাম। ছেলেকে তার বাবার কাছে রেখে গিয়েছিলাম। অল্প সময়ের কাজ বলে সাথে নিয়ে যাইনি। মাত্র দু'দিন আগে বাড়ি থেকে এসেছি বলে আর বাবুকে নিয়ে যাইনি। তবে বাসায় আসার পর ওর বাবা বললো মা বলে কান্না করেছিল। ছেলে যে আমার মা ছাড়া থাকতে পারেনা।
কাজ শেষ করতে দশ মিনিট সময় লেগেছিল। আমার সেই কাজ লালবাগকেল্লার পাশেই ছিল। তাই কাজ শেষ করার পর চিন্তা করলাম এত কাছে চলে যাব। তাই কেল্লার ভিতরে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আসলাম। আমি অনেক বার গিয়েছি সেখানে তবে এভাবে একা কখনো যাওয়া হয়নি। একা গিয়ে এত সুন্দর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তবে সেখানে যাওয়ার পর একটা খুব মনে পড়ে গিয়েছিল।
আমি অনেক আগে সাপে কামড়ে মারা যাওয়া আমার চাচাতো ভাইয়ের কথা শেয়ার করেছিলাম। সেই ভাই আর ভাবিকে নিয়ে ২০১৭ সালে মা,ছোট ভাই আর আমি সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তারা প্রথমবার ঢাকা এসে এত সুন্দর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভাইয়া চলে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল আবার ভাবিকে নিয়ে ঘুরতে আসবে। ভাইয়া এসেছিল মার্চ মাসে তখন চারপাশে ফুলে ফুলে ভরা ছিল। কিন্তু ঢাকা থেকে যাওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাসেই আমার সেই ভাই মারা যায়।
যাই হোক কাজের কথায় আসি আমার কাছে লালবাগকেল্লা গেলে খুব ভালো লাগে। সেখানে গেলে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছসহ পুরোনো অনেক তথ্য জানা যায়। ছেলেকে রেখে গিয়েছি বলে অল্প সময় থেকে চলে এসেছি। তবে সকাল সকাল এমন সুন্দর একটি পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করে খুব ভালো লেগেছিল। বসন্ত কাল আসার আগেই সেখানে ফুলে ফুলে ভরে গিয়েছে।
লালবাগকেল্লায় লাল মাটির এই দালানগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। সেখানে যাওয়ার পর ফুরফুরে বাতাস আর চারপাশের এত সুন্দর পরিবেশ দেখে মন ভালো হয়ে গিয়েছে। আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
লালবাগ কেল্লা খুবই সুন্দর একটি জায়গা। সত্যি এই জায়গাটিতে আমিও ভ্রমণ করেছি কয়েকবার। আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া খুবই সুন্দর একটা জায়গা। আপনার কাছে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
সেই ছেলেবেলায় গিয়েছিলাম এই লালবাগ কেল্লায়। মনেও নেই। তবে আপনার চাচাতো ভাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিনি আবার এখানে আসার কথা থাকলেও সে দুনিয়া থেকেই চলে গেলেন। বিষয়টা আসলেই অনেক কষ্টের। আর বাচ্চাদের কে তো সব সময় বাহিরে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই আপনার বাচ্চাটির মাকে খুঁজার বিষয়টিও কষ্টের।
চাচাতো ভাইকে খুবই মিস করেছিলাম। যাই হোক আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আপনার মত আমিও চেষ্টা করি ইউনিক ভাবে পোস্ট করার। আপনি তো দেখছি আজ এক ঢেলে দুই পাখি মারলেন নিজের কাজটাও কমপ্লিট হয়ে গেল তার পাশাপাশি ঘুরাঘুরি। পুরান ঢাকায় লালবাগ কেল্লায় আমারও যাওয়ার খুব শখ জায়গাটি আপনার ঘোরাঘুরির মাধ্যমে আমিও উপভোগ করে নিয়েছি আপু। কিন্তু আপনার চাচাতো ভাইয়ের সাথে এই জায়গাটিতে একবার এসেছিলেন তিনি হয়তো আর পৃথিবীতে নেই সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়েছে যেটা একটু কষ্টের ছিল।
আপনার কমেন্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এভাবে সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাচ্চাকে বাবার কাছে রেখে যাওয়ার কারণে একা একা বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। যদিও বাচ্চাকে রেখে যাওয়ার কারণে বেশি সময় লালবাগ কেল্লায় থাকতে পারেননি কিন্তু এরকম জায়গাগুলোতে যাওয়ার ফলে বেশ ভালোই লাগে। আপনার সেই চাচাতো ভাইয়ের কথা শুনে বেশ খারাপ লেগেছে আমার কাছে। যাইহোক আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত পড়ে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জি ভাইয়া বাচ্চার জন্য একটু খারাপ লেগেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লালবাগের কেল্লা আমিও ঘুরতে গিয়েছিলাম অনেক আগে। খুব ভাল লেগেছিল তখন।এমন পরিবেশে আসলে অনেক কিছু জানার কৌতুহল থাকে। ইতিহাস বলে কথা। আপনি খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন এমনটাই আশাকরি। যদিও ছেলেকে রেখে গিয়েছিলেন। অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু পরিবেশটা খুবই সুন্দর। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লালবাগ কেল্লার কথা অনেকবারই পড়েছি বইতে। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখেছি। তবে সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি। আপনার মাধ্যমে আরো একবার দেখে নিলাম। আসলে এই পুরনো জায়গা গুলোতে ঘুরতে সবারই বেশ ভালো লাগে। কারণ এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক ইতিহাস। আপনার তো যে করেই হোক দেখার সৌভাগ্য হলো, জানিনা আমার কবে হবে।
ভাইয়া তাহলে একদিন চলে আসেন দেখার জন্য খুবই সুন্দর জায়গা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ গেলে যদি সময় পাই তাহলে যাবো। ঐতিহাসিক জায়গা গুলোতে ঘুরতে আমার বেশ ভালই লাগে।