আমাদের টুনটুনি পাখির এক বছর পূর্ণ হলো
হ্যালো বন্ধুরা, আসসালামু-আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমার পরিবারকে নিয়ে এখন সুস্থ আছি। আজ সকাল থেকে খুব ব্যস্ত সময় পার করেছি। গতকাল পোস্টের মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয়ই জেনে ছিলেন আমি নতুন ফার্নিচার কিনেছি। আজ সেগুলো মধ্যে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে হয়েছে। সারাদিন এই নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। সন্ধ্যার পর আবার কিছু টুকিটাকি জিনিস কিনতে বাহিরে গিয়েছিলাম। তাই আজ পোস্ট করতে অনেক দেরি হয়ে গেলো। আমার টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আজ কি পোস্ট নিয়ে এসেছি। হ্যাঁ আমাদের টুনটুনি পাখির এক বছর পূর্ণ হলো তার গল্পই শেয়ার করতে চলে এসেছি।
দু'দিন আগেই শেয়ার করার কথা ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে আর করা হয়নি। তাই ভাবলাম আজ করে নেই। সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন হাসপাতালে গিয়ে ছিলাম ভাবিকে নিয়ে আর তখনই এমন টুনটুনি পাখিকে নিয়ে এসেছি। আমাদের সবার আদরের টুনটুনি পাখি। আমাদের বংশে মেয়ে কম বলে আমার ভাতিজিকে সবাই খুব আদর করে। তার নাম রেখেছে ইয়ানা বিনতে ইব্রাহিম আর আমি রেখেছিলাম তানিশা। আমার নামের সাথে মিলিয়ে এই নাম রেখেছি আর এখন সবাই তানিশা বলেই ডাকে।
তার জন্মদিন ছিল ফ্রেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ। কিন্তু তেমন পালন করা হয়নি। কারণ আমার মা নিষেধ করেছে আর গ্ৰামের বাড়িতে আমার চাচারা শুনলে খুব রাগ করে। এছাড়া জন্মদিন পালন করাও ভালো নয়। আমরা তো ছেলে মেয়েদের খুশির জন্য পালন করে থাকি। তারজন্য এই দিন দুঃখের সাগরে ভেসে গেলেও চলবে না। সবসময়ের মতোই হাসিখুশি থাকতে হবে।
বিকাল বেলা তানিশা কে সাজিয়ে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে বেশ কিছু ছবি তোলা হয় আর হাঁটার গাড়িতে বসিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে তো এমন বড় জায়গায় দৌড়াতে পেরে মহা খুশি হয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যার পর আমি এক বক্স চকলেট নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু সেই চকলেট নিয়ে এক কাহিনী হয়ে যায়। আমি চকলেটের বক্স তানিশার হাতে দিয়ে উইশ করলাম আর আমার ছেলে গিয়ে তা নিয়ে আসে। সে এটা কোনো ভাবেই দিতে রাজি নয়।
বারবার বলছে আম্মু তুমি এটা আমার জন্য এনেছো আর কান্না শুরু করে দেয়। তখন আমার হাসবেন্ড উপায় না দেখে নিচে গিয়ে আরো একবক্স নিয়ে আসে। আমার ছেলে সেদিন ঐ বক্স আর দিলোই না। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখি একা একা চকলেট একটা করে বের করছে আর সবাইকে নিয়ে দিয়ে আসছে। সবাই এটা দেখে খুব হাসাহাসি শুরু করি। তবে দুঃখের বিষয় আমি চকলেট বক্সের ছবি তুলতে ভুলেই গিয়েছিলাম।
এভাবেই টুনটুনি পাখির জন্মদিন পালন করা হয়। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। বাহিরে ফুরফুরে বাতাসে খুব ধুলাবালি উড়ে তাই বাহিরে গেলে সাবধানে থাকবেন। তাহলেই পরিবার এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আসলে এভাবেই দেখতে দেখতে সময় পার হয়ে যায়। আপনি সেদিন দেখলেন আপনার ভাবিকে হসপিটালে নিয়ে গেলো, আর এই টুনটুনি পাখিটির জন্ম হলো, দেখতে দেখতে একটি বছর পর হয়ে গেল। আসলে এভাবেই যেন দিনের পর দিন পার হয়ে যাবে। একদিন এই সোনামণি অনেক বড় হবে। দোয়া রইল ওর জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া এভাবে সময়ে পর সময় চলে যাবে আর একসময় সে অনেক বড় হয়ে যাবে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
সত্যিই আপু আপনার ভাতিজি তানিশাকে সত্যিই টুনটুনি পাখির মত লাগে। সব গুলো ছবিতে হাঁসি দিয়ে রেখেছে। বাচ্ছাদের এমন হাঁসি হৃদয় কেড়ে নেওয়ার মত। আর সময় কিভাবে যেন অতিক্রম হয়ে যায় কেউ বুঝতেও পারে না। আপনার ভাতিজি দীর্ঘজীবী হোক। ধন্যবাদ।