🤦মেয়েরা সবসময় অবহেলিত আর নির্যাতিত হয়🤦
বন্ধুরা,সবাইকে জানাই অগ্ৰিম ঈদ মোবারক। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। কাল মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের জন্য সবার মনে আজ আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে সারাদিন কে কি করবে না করবে সব আগে থেকে রুটিন করে রেখেছেন নিশ্চয়ই। এই একটা দিন আমরা সকলে শত ব্যস্ততা শেষ করে একসাথে মিলিত হতে পারি। আমরা সবাই ঈদের দু-তিন দিন খুব ব্যস্ত সময় পার করি। আমি তো এখন শ্বশুর বাড়ি আছি তাই আরও বেশি ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।
যাই হোক এত ব্যস্ততার মাঝেও আজ অন্যরকম একটি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আচ্ছা আপনারা বলেন তো আমরা মেয়েরা কি মানুষ না? আমার তো মনে হয় মানুষ না, কারণ কি জানেন এই যে মেয়েরা এত নির্যাতিত হয় মানুষ হলে কি এত নির্যাতিত হতে পারতো। আমরা দেখতে পাচ্ছি পৃথিবী অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এখনো গ্ৰামে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের জন্য সমাজটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
আমার ননদের মেয়ে
আমার ভাবি লাগে তাদের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে। তার যখন বাবু হবে তখন তার শ্বাশুড়ি বলে বেশি করে খাওয়া দাওয়া করো যাতে আমার নাতির কষ্ট না হয়। তখন তার মাত্র দুমাস চলে। সবাই মিলে কত সেবা যত্ন শুরু করলো। এভাবে খুব আদর যত্ন পাঁচ মাস কেটে গেল। এরপর তার স্বামী গাইনী ডাক্তার দেখায় আর তিনি পরীক্ষা করে বলে মেয়ে হবে। এরপর বাড়িতে এসে শ্বশুড়িকে এই কথা বললে যুদ্ধ শুরু হয়।
এরপর থেকে তার উপর অত্যাচার শুরু হয়। তাকে ঠিক মতো খেতে দিতো না। ভাবি এই অবস্থায় ঘরের সব কাজ কাম করতো। এভাবে দিন যেতে থাকে। ভাবির বাবা মা বাচ্চা হওয়ার এক মাস আগে এসে নিয়ে যায়। কিন্তু কি অলৌকিক ঘটনা ভাবির মেয়ে না হয়ে ছেলে হয়েছে। এই কথা শুনে তার শ্বশুর বাড়ির সবাই ভাবির কাছে চলে আসি। তার জন্য বলে অন্ধকার ঘরে কি হয় কেউ বলতে পারেনা। এরপর ভাবির যত্নের অভাব নেই।
ভাবি এই সুযোগ তখন কাজে লাগিয়েছিল। মেয়ে হবে শুনে এই অবস্থা করেছো আর এখন যেহেতু ছেলে হয়েছে তাহলে আমি খাটে থেকে নামবো না। শ্বাশুড়ি কে বললো আমার সব খাবার খাটে দিয়ে যাবেন। মেয়ে হবে শুনে তারা কেন এমন করলো। সবাই ভাবে মেয়ে হলে পরবর্তী বাবা মায়ের দেখা শুনা করতে পারবে না। এসব কথা বলে এখনো অনেক জায়গায় মেয়েদের কে ঘরের এক কোণায় ফেলে রাখা হয়।
এই সমাজে কেন এভাবে মেয়েদের অবহেলা করা হয়। আমি জানিনা কবে এই সমাজের মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন হবে। অনেক সময় দেখা যায় মেয়েরাই মেয়েদের অসম্মান করে।আমার ননদের ক্ষেতেও তাই হয়েছে। তার মেয়ে হয়েছে বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তেমন বেশি খুশি হয়নি। এখন মেয়ের এক বছর হয়ে গিয়েছে তারপরও মাঝে মাঝে অনেক কথা শুনতে হয়। এখন বর্তমানে মেয়েরা সব পারে।
প্রতিটা জায়গায় মেয়েদের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে তারপরও মেয়েরা অবহেলিত। অনেক সময় চাকরির ক্ষেত্রেও মেয়েদের নির্যাতন সহ্য করতে হয়। যাই হোক আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

আপু অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের সাথে আছেন দেখে খুশি হলাম আপু। আপু এইসব প্রথা বলেন আর সভাব বলেন। এখনো কিছু কিছু জায়গা তে আছে। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে হেদায়েত করুক। আর আল্লাহ চাইলে সব কিছুই সম্ভব হয় এটাই তার প্রমাণ আপু।একদম ঠিক করছে ভাবি এখন বিছানায় বসেই খাওয়া উচিত। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এখনো মেয়েদেরকে বোঝা বলে মনে করে। মেয়েরা যে এখন পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে, কত বড় বড় দায়িত্ব পালন করছে। তারা এগুলো জানলেও মানতে নারাজ। কিন্তু একটি মেয়ে একটি পরিবারের জন্য রহমত স্বরূপ। যারা মেয়েদেরকে অবহেলা করে, তাদের প্রতি সৃষ্টিকর্তাও নারাজ হয়ে যায়। যারা এগুলো ভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো উচিত । যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মেয়েরা যে পরিবারের জন্য রহমত স্বরূপ তা এখনো অনেক মানুষ মনে করে না। তারজন্য এখনও মেয়েদের নির্যাতিত হতে হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।