অয়নের ঈদ আনন্দ
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি এবং সুস্থ আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম নতুন পোস্ট নিয়ে। এতক্ষণে আমার টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছে কি টপিক আলোচনা করতে এসেছি। হ্যাঁ আমার ছেলের ঈদ আনন্দের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করতে চলে এসেছি। ঈদ মানে কি সে এখনও ভালো করে বুঝে না। তবে এতটুকু বুঝেছে তাকে নতুন জামা পড়তে হবে আর তার বাবার সাথে নামাজ পড়তে যেতে হবে। গ্ৰামে আসার পর থেকে তাকে ছেড়ে দিয়েছি মন খুলে আনন্দ করার জন্য। সে তার নানু বাড়ি আসলে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়। কারণ এখানে তার সমান অনেক ভাই ও মামা রয়েছে।
তাদের সাথে সারাদিন খেলে এমন কি রাতেরও ১০ টা পর্যন্ত। চাঁদ রাতে সে খুব আনন্দ পেয়েছে। আমরা সবাই চাঁদ রাতে অনেক মজা করেছি। এরপর ভোরবেলা উঠেই তাড়াতাড়ি সব রান্নার কাজ শেষ করলাম। কারণ ঈদের সালামি নিতে হবে না। আমার ছেলে তো প্রথমে ঘুম থেকে উঠতেই চায়নি। এরপর বাচ্চাদের শব্দে উঠে যায়। কিন্তু তাকে কোনো ভাবে রেডি করাতে পারছিলাম না। তার এক কথা আম্মু আমি যাবো না।
এবার তারা বাবা ছেলের ম্যাচিং পাঞ্জাবি কেনা হয়েছিল। সেজন্য তার বাবা নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু অবশেষে ব্যর্থ হলো।আমার আবার চাচাতো ভাই বেশি। সেজন্য সবার কাছ থেকে আমার ছেলে ঈদের সালামি পেয়ে গেলো। আমার ছেলে এই সময়টা খুব ইনজয় করেছিলো। সে সেলামি কি কিছুই বুঝে না তবে যখন দেখে সবাই তাকে টাকা দিচ্ছে তখন সে খুব আনন্দ পাচ্ছিলো। বিশেষ করে নতুন টাকা পেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলো।
আমার ছোট ভাইয়ের বউ কে আমার ছেলে মামাই* বলে ডাকে। ঈদের সকাল বেলায় আমার ছেলের জন্য তার মামাই একদম লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলো। সবার টাকা দেখতে একই রকম ছিল। যদি টাকা চুরি হয়ে যায় সেজন্য আমি সবগুলো টাকা ব্যাগে রেখে দিয়েছি। কিন্তু সেটা আমার ছেলে দেখেনি। সেজন্য তার মামাই এর হাতে টাকা দেখে কান্না শুরু করে দিলো। এরপর তার নানুর কাছে বলছে নানু মামাই আমার সব টাকা নিয়ে গিয়েছে
আমার ছেলের এই কথা শুনে সবাই কি হাঁসি। এরপর তার মামাই ও তাকে সেলামি দিলো আর আমি তখন সব টাকা বের করে দেখালাম। কিন্তু ও ছোট মানুষ তো যার জন্য ওর মাথায় সেই কথাটাই রয়ে গিয়েছে। এরপর থেকে কোনো টাকা হারালেই বলে মামাই নিয়ে গেছে। এরপর সবাই নামাজে চলে গেলো। কিন্তু ছেলেকে পাঠাতে পারিনি। এরপর খাওয়া দাওয়া করিয়ে গোসল করালাম। তারপর অনেক কিছু বুঝিয়ে শুনিয়ে পাঞ্জাবি পড়াতে পেরেছি।
তার বাবা নামাজ পড়ে এসে ছেলেকে এত সুন্দর করে রেডি করা দেখে সাথে সাথে কিছু ছবি তুলে নিলো। অনেক কষ্টে ঈদের দিন তার এই কয়েকটা ছবি তুলতে পেরেছি। ছেলে কে আর কি বলবো যেই পরিমান গরম পড়েছে তার মধ্যে এমন জামা কাপড় পড়ে থাকা যায়। এভাবেই আমার ছেলে এবার ঈদের সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ছোট্টবেলার ঈদ যেটা সত্যিই জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। এরকম যখন ছোট্ট ছিলাম সেই মুহূর্তে হালকা বুঝতাম নতুন পোশাক পড়ে পরিবারের সাথে ঈদের মাঠে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়া। নতুন টাকার নোট হাতে ধরিয়ে দিলে খুশিতে আত্মহারা হওয়া ।কতই না সুন্দর ছিল । আপনার প্রিয় সন্তান বাবার হাত ধরে ঈদের মাঠে গিয়েছে সেই আনন্দের মুহূর্ত টাই অন্যরকম ছিল। এই পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম।
হ্যাঁ ভাইয়া সোনালী দিন গুলো খুব সুন্দর ছিল। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের আনন্দ ছোটদের মাঝে বেশি থাকে। আর এই মুহূর্তে ছোটদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার ছেলের কথাটা সত্যি আমার কাছে ভালো লাগলো মনে হল যেন আমিও শুনেছি। বাবা ছেলে ম্যাচিং করে পাঞ্জাবি পরেছিল যেন ভালো লাগলো। আশা করি আমার ভাগ্নের সাথে আপনারা বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং ঈদের আনন্দটা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বাবু। সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া আমার ছেলে ঈদের আনন্দ আরও দ্বিগুন বাড়িয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
মাশআল্লাহ ছেলেকে তো অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছেন ঈদের দিন, দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগতেছে। আপনার ছেলে তো দেখছি তার বাবার সাথে সেম পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে যায়নি। কিন্তু বাচ্চারা তো মসজিদে যাওয়ার জন্য আরো বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে। এখনো যেহেতু ছোট তাই সালামি কি, অথবা নামাজে গিয়ে কি করবে এগুলো বুঝতে পারেনি। আস্তে আস্তে বড় হতে হতে বুঝতে পারবে সবকিছুই। সালামির বিষয়টা শুনে আমার নিজেরও অনেক বেশি হাসি পেয়েছে। সবার হাতে একই টাকা ছিল তাই তো সে এরকমটা বলেছে। তবে যাই হোক আপনার ছেলের ঈদের আনন্দটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপু ছোট মানুষ তো বুঝে না তারজন্য নিতে পারে নি। তবে প্রতি শুক্রবার বাবার সাথে নামাজ পড়তে যায়। যাই হোক আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অয়নকে খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। সে এবং তার বাবা ম্যাচিং পাঞ্জাবি কিনেছে কিন্তু একসাথে নামাজে যেতে পারেনি। অনেক চেষ্টা করেও নিয়ে যেতে পারেনি তাকে। পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক সালামী পেয়েছে। যদিও অয়ন তেমন কিছু বোঝেনা তবে নতুন টাকা পেয়ে নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু পরিবারের মানুষ বেশি বলে সালামির পরিমাণটাও বেশি পেয়েছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।