সুস্বাদু বড়া পিঠার রেসিপি || [১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
হ্যালো বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম। সবাই নিশ্চয়ই অনেক অনেক ভালো আছেন। এভাবেই যেন আপনারা সবাই সবসময় অনেক ভালো থাকেন এই দোয়া কামনা করি। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। তার জন্য আপনাদের কাছে চলে আসলাম একটা মজার রেসিপি নিয়ে। যা কিনা ছোট বড় সবাই অনেক পছন্দ করে। এটি খুবই সাধারণ একটি রেসিপি কিন্তু খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমার পরিবারের সবাই এই রেসিপি খুব পছন্দ করে। আমার আজকের রেসিপি হলো খুব ছোট্ট একটি পিঠা যার নাম বড়া পিঠা। এই পিঠার নাম কম বেশি সবাই জানে। এটি অল্প উপকরণ দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বানানো যায়। আমার এই রেসিপি সবার কাছে কেমন লাগবে জানি না কিন্তু আমার কাছে এই রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক এই পিঠা বানাতে কি কি প্রয়োজন
নং | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ময়দা | দেড় কাপ |
২ | ডিম | ২ টি |
৩ | লবন | ১ চামচ |
৪ | কলা | ২ টি |
৫ | বেকিং পাউডার | হাফ চা-চামচ |
৬ | চিনি | ১ কাপ |
বড়া পিঠা বানানোর ধাপসমূহ
ধাপ ১
প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটি নেব। এবার দুটি কলা , দুটি ডিম ও এক কাপ চিনি নেব। তারপরে এ তিনটিকে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নেব। আমি তিনটি জিনিস একসাথে নিয়েছি আপনারা চাইলে আলাদা আলাদা করে গুলিয়ে নিতে পারেন।
ধাপ ২
এবার আমি এই গোলার মধ্যে দেড় কাপ পরিমাণ ময়দা থেকে অল্প অল্প নিয়ে মাখিয়ে নেব। যদি একসাথে দিয়ে দেই তাহলে মাখানো বেশি সুন্দর হয় না। তারপর এতে বেকিং পাউডার ও লবণ দিয়ে আবারও মাখিয়ে নেব। আর যদি মাখানো সুন্দর না হয় তাহলে পিঠাও সুন্দর হবে না।
ধাপ ৩
এখন আমার সবগুলো উপকরণ মাখানো হয়ে গেলো। সবগুলো উপকরণ মাখিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দেব। আপনাদের হাতে যদি সময় না থাকে তাহলে আপনারা সাথে সাথে বানিয়ে নিতে পারেন। অল্প সময় যদি আমরা রেখে দেই তাহলে দেখা যাবে সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশে গোলাটা অনেক স্ফট হয়ে যাবে। এতে করে পিঠা অনেক সুন্দর ফুলে ওঠবে।
ধাপ ৪
এবার আমি চলে যাব চুলায়। চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দেব। তারপর কড়াই গরম হয়ে গেল এতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো।
ধাপ ৫
![]() | ![]() |
---|
এখন তেল গরম হয়ে গেলে এতে আমি চামচ দিয়ে ছোট ছোট গোল গোল করে বড়া দিয়ে দেবো। তারপর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করব। এরপর একপাশ হয়ে গেলে অন্য পাশ উল্টয়ে নেব।
শেষ ধাপ
এভাবে করে সবগুলো পিঠা বানিয়ে নেব। তাহলেই হয়ে যাবে আমাদের আজকের বড়া পিঠা রেসিপি।
অনেক অপেক্ষা পর অবশেষে হয়ে গেল আমাদের বড়া পিঠা। এই পিঠা ঠান্ডা বা গরম দুই অবস্থায় খাওয়া যায়। এই পিঠা আপনারা চাইলে নরমাল ফ্রিজে রেখে অনেক দিন খেতে পারেন। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে আপনাদের সাথে নতুন আরো একটি রেসিপি নিয়ে। অনেক অনেক সময় নিয়ে আমার এই রেসিপি পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বড়া পিঠা আমাদের এলাকাতেও তৈরি হয় তবে এরকম গোল না করে চ্যাপ্টা করে বানানো হয়। আপনার গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছে ও খুব সুন্দর হয়েছে এবং আশা করছি খুব সুস্বাদুও হয়েছে। সবথেকে বড় কথা এটি কিছুদিন ধরে রেখে খাওয়া যায় তাই অনেক উপকারী এবং ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই পিঠা নরমাল ফ্রিজে রেখে অনেক দিন খাওয়া যায়। সত্যি ভাইয়া পিঠাগুলো খুবই সুস্বাদু লাগে। দোয়া করবেন সামনে যেন আরো ভালো কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।
Twitter Link
https://twitter.com/TanjimaAkter13/status/1483833846676484099?s=20
আপনার তৈরি বড়া পিঠা দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে । দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক ভালো লাগবে ।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার পাকড়া রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভাল লাগলো। খাই নাই আগে এইরকম রেসিপি। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখলাম। খুবই লোভনীয় রেসিপি।খেতে ইচ্ছে করছে।আমি অবশ্যই একদিন ট্রাই করব।আপনাকে ধন্যবাদ এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু মনি থেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে একদিন তৈরি করবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ভরা পিঠা খুব মজা লাগে এটা সবারি প্রিয় একটা পিঠা। আমার পছন্দের একটা রেসিপি। আর এটা বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে বেশি খাওয়া হয়। গ্রামের বাড়িতে থাকতে অনেক খেয়েছি এই পিঠা। তবে এখনো খাই মাঝে মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার এই বরা টি খেতে খুবই মজা লাগে। আমিও মাঝে মাঝে এভাবে বানিয়ে বিকালের নাস্তা হিসেবে খেয়ে ফেলি। ঝটপট তৈরি করা যায় এবং খেতেও সুস্বাদু। আপনার বরাগুলো দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার হয়েছে।
জি আপু মনি ঝটপট খুবই সহজে তৈরি করা যায়। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আমার পছন্দের পিঠা গুলোর মধ্যে একটি। অনেক ভালো বাসি আমি এই পিঠা গুলো। গরম এর সময় আম্মু প্রায়ই বানায়। আমি অনেক খাই এই পিঠা গুলো। ধন্যবাদ আপু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া খুবই সুন্দর কমেন্টের জন্য। আপনার জন্য ও অনেক শুভকামনা রইল।