কালবৈশাখী ঝড়ে যেনো সব ঠান্ডা করে দিয়ে গেলো
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি এবং সুস্থ আছি।
ঈদের পর থেকে প্রচন্ড গরম যাচ্ছে। দু'দিন ধরে তো একদম অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। গতকাল আমার মামাতো বোনের শ্বশুরবাড়ি দাওয়াত ছিল। মা বলেছিল এত গরমে যাবো না কিন্তু আমার দুলাভাই খুব রাগ করে। এরপর বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছিল। আমরা দুপুর ১ বাজে তাদের বাড়িতে যাই। যতক্ষণ সিএনজিতে ছিলাম ততক্ষণ যেনো শান্তি ছিল। সিএনজি থেকে নামার পর মনে হলো এসির ভিতর থেকে বাহিরে বের হয়েছি। একদম শরীর জ্বলে যাচ্ছিলো। সিএনজি চললে বাতাস লাগে বলে ভালোই লেগেছিল।
তাদের বাড়িতে গিয়ে বসে শুধু শরবত খেলাম আর এর মধ্যেই কারেন্ট চলে যায়। কারেন্ট যাওয়ার পর তো একদম অবস্থা খারাপ। সবাই বাড়ির সামনেই গাছপালা রয়েছে সেখানে চেয়ার নিয়ে বসে পড়লাম। কতক্ষণ আর এভাবে থাকবো সেজন্য খাওয়া দাওয়া ব্যবস্থা করা হলো। যখন খেতে বসেছি মনে হলো যেনো মাত্র গোসল করে এসেছি। এরপর খাওয়া শেষ করে উঠতেই মামা আসে আর বলে আমাদের এদিকে নাকি কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছে।
এরপর আমরা তাড়াতাড়ি অটোরিকশা করে চলে আসলাম। কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন তাদের ঐদিকে প্রচুর রৌদ ছিল কিন্তু যত সামনে আসতে থাকি ততই যেন অন্ধকার শুরু হতে থাকে। ছেলে কোলে ছিল বলে আর ছবি তুলতে পারিনি। যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে আসি তখন বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হলো। এরপর ঝড়ো হাওয়া শুরু হলো আর এর সাথে বজ্যপাত ছিল। বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পর শিলা বৃষ্টি শুরু হলো।
এভাবে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে যেন সব কিছু ভেঙে চুড়ে দিয়ে গেছে। বাড়ির আশেপাশে অনেক গাছ পালা ভেঙ্গে গিয়েছে। আমরা বেড়াতে গিয়েছিলাম বলে আম কুঁড়াতে পারিনি। তবে বাড়ির ছেলে মেয়েরা আম কুড়িয়ে আমাদের জন্য রেখে দিয়েছে। গতকালের বিকাল সত্যিই খুব সুন্দর ছিল। এত দিনের গরম কয়েক সেকেন্ড যেনো রহমতের বৃষ্টি এসে ঠান্ডা করে দিয়ে গেলো।
আপনাদের দিকে বৃষ্টি হয়েছে কিনা সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। গরমের পর এমন ঠান্ডা পরিবেশন সত্যিই উপভোগ করার মতো। অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আমাদের অঞ্চলে তো এখনো প্রচণ্ড গরম পড়ছে বৃষ্টির দেখা নেই।
একটু ঝড় হলেও আপনার কিন্তু সৌভাগ্যবান যে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে পেয়েছেন বৃষ্টির দেখা।
আর এই গরমে বৃষ্টি মানে মরুভূমির মাঝে থেকে একটু পানি পাওয়া।
হ্যাঁ ভাইয়া একটু বৃষ্টির দেখা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমাদের এদিকে একটু ঠান্ডা করে দিয়ে গেলে ভালো হতো কিন্তু এত বেশি ঠান্ডার প্রয়োজন নেই যে গাছ ভেঙে ক্ষতি হয়ে যাবে। তবে প্রচন্ড গরম পরছে ঈদের পর থেকে দিন দিন তাপদাহ বেড়েই চলেছে। যাই হোক আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে কিন্তু আপনাদের ওখানে ঝড় বৃষ্টির তাণ্ডব কতটা ভয়ানক ছিল সেটা বুঝতে পারলাম।
হ্যাঁ আপু ঈদের পর থেকে প্রচন্ড গরম পড়েছে। একটু বৃষ্টির আশায় সবাই বসে আছে। ধন্যবাদ।
আপু আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি শুধু আপনাদেরকে ঠান্ডা করে দিয়ে গেল। আমাদের জন্যও একটু দোয়া করুন, যাতে করে আমরাও আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি পেয়ে কিছুটা শীতল হয়ে যাই। আমাদের এদিকে এখনো প্রচুর রোদ, প্রচন্ড গরম গা দরদর করে ঘামছে। খুব অস্বস্তিকর দিন কাটছে, তাই আপনার ওদিকে কালবৈশাখী ঝড় সব ঠান্ডা করে দিয়ে গেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। কালবৈশাখীর ঝড়ে প্রকৃতি শীতল হয়ে যাওয়া নিয়ে, আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া দোয়া করে দিলাম যেনো আল্লাহ তায়ালা খুব তাড়াতাড়ি রহমতের বৃষ্টি আপনাদের দিকেও দেয়। ধন্যবাদ।
আপনাদের ওই দিকটাতে কালবৈশাখী ঝড় হলেও আমাদের এদিকে এখনও তেমন কিছু হয়নি আপু। আসলে বর্তমানে যে গরম পড়েছে তাতে একটু বৃষ্টি বা হালকা একটু ঝড় হলে মন্দ হয় না। তারপরে আবার বলছেন যে আপনাদের ঐদিকে শিলা বৃষ্টি হয়েছে, তাহলে তো আমের গুঁটির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আপু। যাইহোক, এত গরমে আপনারা একটু স্বস্তি পেয়েছেন, এটাই অনেক বড় ব্যাপার।
ভাইয়া টানা তিন দিন রাতে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে আর তিন দিনই শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আম ও ধান দু'টো ক্ষেত্রেই সমস্যা রয়েছে। ধন্যবাদ।
বলেন কি আপু! এমন টানা ৩ দিন শিলা বৃষ্টি হওয়ার কথা খুব কমই শুনেছি আমি।
অনেক সময় না চাইলেও আত্মীয় স্বজনের বাসায় যেতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে কোথাও বের হতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক কালবৈশাখী ঝড় গুলো এমনই। হঠাৎ করে আসে এবং পরিবেশ ঠান্ডা করে দিয়ে চলে যায়। গতকালকে আমাদের এখানেও মোটামুটি ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর বেশ কয়েক ঘন্টা পরিবেশ ঠান্ডা ছিলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অতিরিক্ত গরমে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না কিন্তু তারপরও যেতে হয়। আপনাদের দিকেও ঝড় বৃষ্টি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
প্রচন্ড এই গরমের মাঝে যদি কালবৈশাখী ঝড় এবং একটু বৃষ্টি হয় তাহলে গরমের হাত থেকে বেশ রক্ষা পাওয়া যায় এবং স্বস্তি মেলে। যাহোক আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি আশা করি আপনাদের এলাকায় যেমন কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে এবং আবহাওয়াটা ঠান্ডা হয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের এলাকা হালকা ঝড় ও বৃষ্টির মাধ্যমে খুব শীঘ্রই আবহাওয়াটা ঠান্ডা হবে
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের দিকে কাল বৈশাখী জড় আসে নাই তবে দুই দিন যাবৎ বিকাল বেলা হালকা বাতাসের সাথে কিছুক্ষন বৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রচন্ড গরমটা চলে গেছে। চার পাশটা ঠান্ডা হয়েছে। ধন্যবাদ।
আমাদের এদিকে টানা তিন রাতে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। যাক আপনাদের দিকে হালকা বৃষ্টি হয়ে সব ঠান্ডা করে দিয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ঝড় কখনোই আমার ভালো লাগে না।ভয় কাজ করে মনে।তবে এতো গরমের পর বৃষ্টি ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের এখানে তেমন হয়নি বৃষ্টি। কাল বিকেলে সামান্য হয়েছিল।কিন্তু আকাশ যেভাবে কালো হয়ে এসেছিল সেই অনুপাতে বৃষ্টি হয়নি।যাক আপনারা একটু হলেও স্বস্তি পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমারও ঝড় দেখলে খুব ভয় করে কিন্তু এই গরমের পর ঝড় হলেও খুব ভালো। একটু হলেও শান্তি পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ।
না আপু আমাদের এলাকায় তো এখনো একটুও বৃষ্টি হয়নি। আর তীব্র গরমে জনজীবন তো অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। বাইরে যাওয়ার অবস্থায় নেই মনে হয় যেন রোদের তাপে গা পুড়ে যাচ্ছে এমন অবস্থা।
বৈশাখ মাসের প্রথমে এমন বৃষ্টি পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।