হাতের তৈরি সেওই পিঠা রেসিপি || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম, আমার নতুন আরেকটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় অনেক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। পৌষ-মাঘ এই দু'মাস শীতকাল।আজ পৌষ মাসের প্রথম দিন চলে। এই শীতে যদি আবার গরম গরম পিঠা খাওয়া যায় তাহলে সবারই অনেক ভালো লাগে। এবার শীত চলে যাচ্ছে কিন্তু পিঠাই খেতে পারিনি। আমার বেবি ছোট এজন্য ওকে নিয়ে তেমন কোনো কিছু বানাতে পারিনা। ওকে সময় দিতে দিতেই আমার সারাদিন চলে যায়। যতটুকু সময় পাই আপনাদের সাথে এক্টিভ থাকার চেষ্টা করি। আর এই অল্প সময়ের জন্য আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম আমার নতুন রেসিপি সুস্বাদু হাতের তৈরি সেওই।
এই সেওই তৈরি করতে যা যা লাগে
১. আধা কেজি আতপ চালের গুঁড়া
২. এক বাটি কুড়ানো নারিকেল
৩. চিনি স্বাদ মতো
৪. লবণ পরিমাণ মতো
৫. দুধ এক কেজি
সেওই তৈরির ধাপ নিচে দেওয়া হল
ধাপ ১
এবার একটি পাতিলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলার উপর বসিয়ে দিলাম। চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে পানিগুলো গরম করে নেব।
গরম পানির মধ্যে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নেব। তারপর আতপ চালের গুড়া গুলো ঢেলে দেব।
এবার একটু নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব। পাঁচমিনিট সময় নিয়ে চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আতপ চাউলের গুড়াগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নেব।
এবার একটি বাটিতে নিয়ে ভালো করে মতে নেব যাতে কোনো দানা না থাকে। আমাদের সেওই বানানো ভালো হবে না খারাপ হবে তা নির্ভর করে এই মতার উপরে।
এবার একটি পলিথিন দিয়ে ভালো করে ঢেকে দেব। যদি ঢেকে না দেই তাহলে বাতাস লেগে শক্ত হয়ে যাবে। শক্ত হয়ে গেলে সেওই বানানো কষ্ট হয়ে যাবে
ধাপ ২
প্রথমে আমি লম্বা লম্বা করে লতি বানিয়ে নেব। তারপরে এগুলো একটি বাটিতে নিয়ে উপরে কিছু গুঁড়ি দিয়ে দেব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বানিয়ে নিতে হবে।
এরপরে একটা পিস থেকে অল্প একটু নিয়ে হাত দিয়ে ডলা দিলেই সেওই হয়ে যাবে।
এভাবে করে সবগুলো সেওই বানিয়ে নেব। এই সেওই বানানো শেষ হলে এগুলো একসাথে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এটি খেতেও অনেক মজার। আপনারা চাইলে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন।
ধাপ ৩
তারপরে আবার চলে যাব চুলায় সেওই গুলোকে রান্না করার জন্য। এখন এক কেজি দুধ বসিয়ে দেব। তারপর দুধ ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করব।
এবার দুধে স্বাদমত লবণ ও চিনি দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নেব।
তারপরে আমি কুড়ানো নারিকেল দিয়ে আলতো করে একটু নাড়াচাড়া করে নেব।
এরপরে আমি যে সেওই গুলো বানিয়ে রেখেছিলাম সেগুলো দুধের মধ্যে ঢেলে দেব।
এবার আমি ১৫ মিনিট চুলার আগুন মাঝারি রেখে সিদ্ধ করে নেব।
শেষ ধাপ
অবশেষে তৈরি হয়ে গেল আমাদের সেওই পিঠা রেসিপি। এটি ঠান্ডা বা গরম দু'ভাবে খেতেই অনেক ভালো লাগে। এই রেসিপি আপনারা যেকোনো অনুষ্ঠানে এবং অতিথি আপ্যায়নে পরিবেশন করতে পারেন। আমরা যে প্রথমে শুকনো সেওই পিঠা বানালাম এগুলো আপনারা রোদে শুকিয়ে অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপির মধ্যে এই সেওই। এটি আপনারা গুড় দিয়েও রান্না করতে পারবেন। কিন্তু আমার কাছে সেওই রান্না লাল হলে ভালো লাগে না,সাদা থাকলে মনে হয় অনেক সুন্দর লাগে। এজন্য আমি চিনি দিয়ে রান্না করি। আমার এই রেসিপি তৈরি সময় নিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকের রেসিপিটি খুব সুন্দর হয়েছে।
সব কিছু মিলিয়ে দারুণ।
ধন্যবাদ আপু আপনার এত সুন্দর উৎসাহের জন্য। দোয়া রাখবেন আপু সবসময় যেন কমিউনিটির নিয়ম মেনে এবং নিজের চেষ্টা দিয়ে সামনে আরও এগিয়ে যেতে পারি।
আপনার রান্না খুব সুস্বাদু দেখাচ্ছে।
আমাদের সাথে এই থালা ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ.
ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহ দেওয়ার জন্য। দোয়া করবেন সবসময় যেন এভাবেই ভাগ করে নিতে পারি আপনাদের সাথে।
হাতে কাটা সেমাই পিঠা আমার খুবই পছন্দের এটা অনেকবার মায়ের হাতে খেয়েছি। আর আপনার এই পিঠা রান্না করা দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা খুবই খেতে মজার হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এরকম একটি মজাদার ছিল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য। জি ভাইয়া এই পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজার। দোয়া রাখবেন ভাইয়া সবসময়। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার হাতের তৈরি সেওই পিঠা রেসিপি আমার খুব প্রিয় একটি পিঠার রেসিপি। সেওই পিঠা তৈরি পদ্ধতি অনেকটাই সহজ তা আপনার পোস্টটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই পিঠার আলাদা একটি স্বাদ কাজ করে একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। আপনি রেসিপি তৈরিতে খুব পারদর্শিতা দেখছি। খুব ভালো বর্নণা দিয়েছেন সেওই পিঠা রেসিপি সম্পর্কে। শুভকামনা রইল।
ভাইয়া এই পিঠা সত্যিই অসাধারণ এবং খেতে খুবই ভালো লাগে। আমারো অনেক পছন্দের এই পিঠা।
আবারো ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য, যা সামনে আগানোর চেষ্টা আমার অনেক বাড়িয়ে দিবে।
শীত মানেই পিঠার ছড়াছড়ি।আপনার সেওই পিঠা রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ।আমার ও ভালো লাগে এই পিঠা ।পিঠা বানানোর পদ্ধতিটি সুন্দর ভাবে বুজিয়েছেন ধন্যবাদ এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য। দোয়া রাখবেন সবসময় যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারি।
হাতের তৈরি সেওই পিঠার রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই পিঠাটি খেতে আমিও খুবই পছন্দ করি। আপনার উপস্থাপন এবং তৈরি করার পদ্ধতি দেখে আমি শিখে পারলাম।আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া সবসময় পাশে থাকার জন্য এভাবে। আর এই পিঠা সত্যিই অনেক সুস্বাদু যেহেতু আপনি নিজে খেয়েছেন।
আপনার এই পিঠাগুলো দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার আম্মু মাঝেমধ্যে বাসায় এই পিঠাগুলো তৈরি করে। এই পিঠাগুলো আমি খুবই পছন্দ করি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মায়েদের হাতে এই পিঠা খেতে আরো বেশী সুস্বাদু। ধন্যবাদ ভাইয়া সবসময় এভাবে পাশে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনি খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি মজাদার পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।আপনার তৈরি এই সিওই পিঠা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।বেশ অনেক বছর হলো এই পিঠা খাইনি ,তবে আপনার তৈরি এই পিঠাটি দেখে সত্যিই আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে ।এই পিঠা রাতের বেলা রান্না করে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে ।আপনার পিঠার ছবিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনার কাছ থেকে পরবর্তীতে এ রকম মজাদার পিঠা রেসিপি আশা করব, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া সঠিক বলছেন এই পিঠা রাত্রে রান্না করে সকালে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি বেশি করে রান্না করছি এখনো খাচ্ছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।