আমার মন আজ খুবই খারাপ || ১০% লাজুক-খ্যাঁককে
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি এই শীতের মধ্যে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি তেমন ভালো নেই। কারণ আমার ছেলে আজ খুবই অসুস্থ। আমার ভালো থাকা না থাকা সবকিছু আমার ছেলেকে ঘিরে। আমি ভেবেছিলাম ছেলেকে একটু আনন্দ দেওয়ার জন্য এবার ১৬ ডিসেম্বর কোথাও ঘুরতে যাব। কিন্তু আগের দিন রাত থেকেই ছেলে হালকা একটু অসুস্থ হতে থাকে। তারপরও রাতের বেলা বাবা ছেলে অনেক আনন্দ করেছিল। যেহেতু পরের দিন শুক্রবার তারজন্য সবাই অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি সবসময়ই অনেক দেরি করে ঘুম থেকে ওঠি।
শুক্রবার সকালে বাবা ছেলে মিলে নিচে গিয়ে নাস্তা আনাতে আর যেহেতু শুক্রবার তারমধ্যে ১৬এ ডিসেম্বর ছিল তারজন্য বলছে পোলাও মাংস খাব। সেজন্য কিছু জিনিস আনার জন্য নিচে গিয়েছে দুজনে। আমি এদিকে ঘরের কাজ করতে লাগলাম হঠাৎ করে কলিং বেলের শব্দে গেট খুলে দেখে আমি পুরাই দাঁড়িয়ে গেলাম। আমার ছেলে বাহিরে গিয়ে তার বাবার শরীরে বমি করে ভরে দিয়েছে । ছেলের এই অবস্থা দেখে সে কিছু না নিয়ে বাসায় চলে আসে। তারপর ছেলেকে পরিষ্কার করে দিলাম আর সে নিজেও জামা পাল্টিয়ে নিল। এরপর নিচে যাবে আবার কিন্তু ছেলেও বায়না ধরেছে যাবে তাই আবারও সাথে নিয়ে গেল।
এবার জিনিস গুলো নেওয়ার পর বাসায় আসবে সেই মুহুর্তে ছেলে আবারও বমি করে দিল। বাসায় আসলে দেখি ছেলে আমার দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই ছেলে আমার মা ছাড়া কিছু বুঝে না তারমধ্যে অসুস্থ হলে ওকে আর কেউ নিতে পারেনা। ছেলে অসুস্থ থাকলে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া বলেন আর অন্য কাজ বলেন কোনো কিছুতেই আমার মন বসে না। তারপর মা বললো বাবু অসুস্থ পোলাও মাংস না খেতে। কি আর করার ছেলের জন্যই তো মাকে ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। তখন কাঁচা কলা ভর্তা সহ অন্য সবজি রান্না করলাম আর দেখলাম তার বাবাও ছেলের জন্য আমার সাথে এসব খাবার খেয়েছে।
এরপর বিকালে আবার পাতলা পাতলা পায়খান শুরু হলো। এতে করে আমার ছেলে একদম দুর্বল হয়ে যায়। তারপর আর কিসের ঘুরাঘুরি ছেলেকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পরি। এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে তার বড় মামা একটা ড্রেস গিফট করে। ছেলে আমার নতুন জামার এতটাই পাগল সে অসুস্থতার মাঝেও নতুন ড্রেস পরে ছবি তুলে নিল। এরপর শরীর ভালো লাগেনা বলে খোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে। এভাবে ঐ দিন চলে যায় আর শনিবার একটু মনে হয়েছিল সুস্থ হয়েছে। কিন্তু রবিবার সকালে আবার বমি তারপর আবার ডাক্তারের কাছে যাই।
ডাক্তার আবার নতুন ঔষধ দেয়। এখন আল্লাহর রহমতে একটু সুস্থ হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপ খেলা দেখে খুব মজা পেয়েছি। যেহেতু আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার ছিলাম তাই ফ্রান্সকে সাপোর্ট করেছিলাম। কিন্তু অবশেষে তারাও হেরে গিয়েছে তাই সবমিলিয়ে আমার মনটা ভীষণ খারাপ। যাই হোক আমার লেখা আজ এখানে শেষ করলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
সন্তান যখন অসুস্থ থাকে, মায়েরা কতটা চিন্তায় থাকে আমরা কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারি। কোনো কিছুতেই যেন মন বসে না। আপনার সন্তান আশা করি এখন আল্লাহর রহমতে ভালো আছে, সুস্থ্য আছে।
ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালো আছে । সন্তানের কষ্ট হলে মায়ের কষ্টের সীমা থাকে না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কয়েকদিন হলো মোটামুটি ভালোই শীত পড়েছে আর তার জন্য ছোট বাচ্চা গুলো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে বেশ কয়েকটা বাচ্চা বমি,পাতলা পায়খান জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বাচ্চা অসুস্থ হলে মায়েদের আর কিছুই ভালো লাগে না তখন কিসের খাওয়াদাওয়া কিছুতেই মন থাকে না। আপু বাবুর দিকে খেয়াল রাখবেন। বাবুর সুস্থতা কামনা করছি।
আপু আজ সন্ধ্যা থেকে একটু ভালো আছে। আমার ছেলে অসুস্থ থাকলে আমার সব কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শীতের সময়ে বাচ্চাদের এইরকম অসুখের প্রবণতা বেশি থাকে। বাসার বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। আর আপনি তো মা আপনার অবস্থা আরও শোচনীয়। আশাকরি আপনার বাচ্চা খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবে আপু। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।।
ভাইয়া একমাত্র মা ই বুঝে সন্তানের কষ্ট। আলহামদুলিল্লাহ এখন একটু সুস্থ হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু ছেলে মেয়ে অসুস্থ হলে সব বাবা-মা খুব চিন্তা গ্রস্ত হয়ে যায়। হঠাৎ করে আপনার ছেলের এমন অসুস্থতা আসলে চিন্তার ব্যাপার। যাইহোক ডাক্তার দেখানোর পর এখন একটু সুস্থ আছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। আপু আমি কিন্তু আর্জেন্টিনার সাপোর্টার ছিলাম। আর এবারের খেলাটা বেশ জমে গেছে।
আপু সন্তান অসুস্থ হলে যতক্ষণ সুস্থ না হয়ে ওঠে ততক্ষণ মন ভালো থাকেনা। আলহামদুলিল্লাহ আজ সন্ধ্যা থেকে একটু ভালো আছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আহা বাচ্চাদের যে কখন কি হয় বোঝাই যায় না। যে কোন ছোটখাটো বিষয় তারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। দুবার বমি করলে আর তার সাথে লুজ মোশন হলে স্বাভাবিক শরীর তো দুর্বল হয়ে পড়বেই। যদি ও ব্রেস্ট ফিডার হয়,তবে তো আপনাকেও সাবধানে চলতে হবে। আপনার খাওয়া দাওয়ার ১৯-২০ হলে ওর শরীর অসুস্থ হতেও পারে।যাই হোক ডাক্তার দেখিয়ে ও সুস্থ হয়েছে সেটা একটা ভালো খবর।আর ম্যাক্সিমাম ব্রাজিল ফ্যানরাই পরে ফ্রান্সকে সাপোর্ট করেছে। কিন্তু জিতেছে আর্জেন্টিনা। সেটা আমাদের জন্য একটা বড় পাওনা।৩৬ বছর অপেক্ষার ফল।ধন্যবাদ।