খেজুরের ডাল দিয়ে গাড়ি খেলা দেখার কিছু মূহুর্ত || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাক🦊এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আমি আবারও ভিন্ন ও ইউনিক পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। তবে আপনাদের কাছে কতটা ইউনিক লাগবে জানিনা। সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের ভালো লাগার জন্য ভালো ও ইউনিক পোস্ট শেয়ার করতে। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে শুরু করি। এর আগে কিছু পোস্টে আমি বলেছিলাম গ্রামে বেড়াতে এসেছি। তারজন্য যা আমার ভালো লাগছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। আপনারাও আমার আগের পোস্ট গুলোতে খুব সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আশা করি আজকের পোস্টও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি আজ বিকেল বেলা যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম তখন দেখতে পেলাম কিছু ছেলে মেয়ে খেলাধুলা করছে। দূরে থেকে তেমন ভালো বুঝতে পারিনি কি খেলছে। এরপর কাছে গিয়ে এদের খেলা দেখে ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে গেল। এই খেলা কতইনা খেলেছি। আজ ওদের এই খেলা দেখে সেই সময়টাকে খুব মিস করছি আর ভাবছি এত তাড়াতাড়ি আমাদের জীবন থেকে কিভাবে সেই সময়গুলো হারিয়ে গেল।
এই খেলার নাম হলো খেজুরের ডাল দিয়ে গাড়ি খেলা। ছোটবেলায় এভাবে গাড়ি বানিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি। স্কুল থেকে এসেই না খেয়ে খেলার জন্য বেরিয়ে পড়েছি। একবার খেলাধুলা করতে শুরু করলে নাওয়া-খাওয়া একদম ভুলে যেতাম। এছাড়া আরও অনেক খেলা আছে যা মনে পড়লে ইচ্ছে করে যদি আগের মতো খেলতে পারতাম তাহলে খুব ভালো হতো।
সবচেয়ে বেশি মজা হতো পুতুলের বিয়ে নিয়ে খেলা। বর পক্ষ আর বৌ পক্ষ এই দুটো দল করা হতো। আমরা তখন কলাপাতা দিয়ে ঘর বানিয়ে সেই ঘরে পুতুলের বিয়ে দিতাম। এই খেলা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। আমার মা সেলাই কাজ করে তার জন্য আমার পুতুলের কাপড়ের অভাব ছিল না। ছোট বেলায় যখন মেলায় যেতাম তখন পুতুল আর হাড়ি পাতিল কিনা হতো বেশি।
আমরা আবার শিমুল ফুলের নিচের অংশ দিয়ে গাড়ির চাকা বানিয়ে খেলতাম। এছাড়া চাঁদনী রাতে সবাই মিলে কানামাছি খেলতে অনেক মজার হতো। আমাদের বাড়ির সামনে আবার ধান ক্ষেত আমরা চাঁদনী রাতে সেই ক্ষেত থেকে মাটি এনে যার যার বাড়ির উঠান ভরে রাখতাম। এই দিন গুলো হয়তো আর কখনো ফিরে আসবে না। ছোটবেলায় যখন মা আমাদের ছোটবেলার গল্প শুনাতো তখন ভালো লাগেনি। কিন্তু আজ যখন নিজের জীবন থেকে সেই মুহূর্ত গুলো উপলব্ধি করছি তখন মায়ের সেই কথাগুলো খুব মনে পড়ছে।
আজ হয়তো মায়ের কাছ থেকে গল্প শুনার মতো সেই সময় হয়না তবে খুব ইচ্ছে করে সেই জীবনে ফিরে যেতে। হয়তো কখনো মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে পারবো না আগের মতো। হয়তো নিজের জন্মস্থানে আগের মতো তেমন যাওয়া হবে না। যখন মানুষ বড় হয়ে যায় তখন যেন তার মধ্যে সবকিছুরই পরিবর্তন চলে আসে আর মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে তো মনে হয় সবকিছুই শেষ হয়ে যায়। ছোটবেলার খেলা গুলো সত্যি খুব মিস করি। এই কথাগুলো হয়তো কখনো বলে শেষ করা যাবে না। আজ আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম। আবার দেখা হবে নতুন কোনো লেখা নিয়ে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power











.png)
Twitter Share
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1543252696378970117?s=20&t=iePDf1DqSWZqkiVmjixuZg
আপু আমারাও একসময় ছোট থাকতে এভাবেই গাড়ি বানিয়ে খেলা করতাম। খুবই ভালো লাগদো,আপনার পোস্ট দেখে ধন্যবাদ আপু।শুভেচ্ছা রইলো।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ছবি গুলো আমাকে শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। অনেক খেলাধুলা করতাম ছোট বেলায়। কিন্তু এখন খেলাধুলা কি জিনিস সেটাই বুঝতে পারি না। আসলেই শৈশবের মত মধুর সময় আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া শৈশবের সেই মধুর সময়ে আমরা চাইলেও কেউ কোনো দিন যেতে পারবো না। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই পোস্ট দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।এই খেজুরের ডাল দিয়ে কতো যে খেলা হয়েছে সেটার হিসাব নেই। মনে হচ্ছে এইরকম যদি কখনো আবার সুযোগ হতো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
আমরা জানি কখনো এই দিন ফিরে আসবে না তবুও মন যেন বারবার সেই শৈশবে ফিরে যেতে খুব ইচ্ছে করে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আমরাও ছোটবেলায় খেজুরের ডাল দিয়ে এরকম গাড়ি বানিয়েছি। এটা কে আমরা গাড়ি বলতাম না ঘোড়া বলতাম। আপনার এই পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি আনকমন পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার এই পোস্ট দেখে সবার ছোটবেলার কথা মনে পড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। আপনিও এই গাড়ি বানিয়ে খেলেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি এবং কথাগুলা পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে হয়ে গেল আমিও ছোটবেলায় এরকম ভাবে খেজুরের ডাল দিয়ে গাড়ি বানিয়ে খেলা করেছে
আমার পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক আনন্দিত। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ছোটবেলায় কত যে এই খেজুরের লাঠি দিয়ে গাড়ি বানিয়ে খেলেছি। আজকে আপনার পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে গেল। আসলেই ছোটবেলাটা খুব আনন্দে থাকে। বাচ্চারা গাড়ি চালাচ্ছে ও খুবই আনন্দ পাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে ।
হ্যাঁ ভাইয়া ছোট বেলার এই খেলা সত্যি খুব মনে পড়ে। ছোটবেলাটা সত্যি অনেক আনন্দের থাকে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি যথার্থ বলেছেন খেজুরের ডাল দিয়ে গাড়ি খেলার জন্য আমরাও ছোটবেলায় খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে সব সময় খেজুরের ডাল দিয়ে গাড়ি খেলতাম। সত্যিই শৈশবের স্মৃতিগুলো আপনি আবারও মনে করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
যখনই কারো পোস্টে শৈশব নিয়ে কিছু লেখা দেখি সত্যি আপনার মতো আমারও সেই দিন গুলোর কথা খুব মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খেজুরের ডাল দিয়ে গাড়ি খেলার মূহুর্ত টি সত্যিই অসাধারণ। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনার মোবাইল ফোনে ধারণ করেছেন। আলোকচিত্র ও কিছু শব্দের মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে মুহূর্তটি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। খুব সুন্দর কথা বলেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো।