রেসিপি: পেঁপে দিয়ে ঠান্ডা জুস।
আসসালামু আলাইকুম। হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
এখন যেই পরিমান গরম পড়েছে এতে মনে হচ্ছে শরীর থেকে সব পানি আর লবণ বের হয়ে যাচ্ছে। এই গরমে প্রতিদিন এক গ্লাস ফলের জুস ঘরে তৈরি করে খেতে পারলে অনেক ভালো হয়। আমাদের যেমন উপকার হবে তেমনি বাচ্চাদের জন্যও খুবই উপকারী। তবে অনেক সময় আমাদের কাছে ঝামেলার মনে হয় বলে তৈরি করা হয়না। দোকানের জুস বাচ্চাদের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি বড়দের জন্যও। এই গরমে ঠান্ডা জুস খেলে শরীর যেন প্রাণ ফিরে পায়। আমি গ্ৰামে এসেছি তাই রেসিপি পোস্ট করতে সমস্যা হয়ে যায়।
আজ সকাল থেকে ভাবছি রেসিপি পোস্ট করবো কিন্তু কি পোস্ট করবো বুঝতে পারছি না। হঠাৎ দেখতে পেলাম আমার চাচা শ্বশুর একদম গাছ থেকে পেরে দুটো পাঁকা পেঁপে দিয়ে গিয়েছে। তখন চিন্তা করলাম একটি পাকা পেঁপে দিয়ে জুস বানালে খুব ভালো হবে। একটা পেঁপে কেটে সবাইকে দিয়েছি কিন্তু ছেলেকে খাওয়াতে পারলাম না। তারজন্য জুস বানানোর চিন্তা করলাম। এরপর ঠাণ্ডা জুস বানানোর জন্য ছেলেকে এক গ্লাস খাওয়াতে পেরেছি। পরিবারের সবাই খেয়েও খুব মজা পেয়েছে। তাহলে চলুন রেসিপির ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
পেঁপে | ১ পিস |
চিনি | হাফ কাপ |
ঠান্ডা পানি | হাফ বোতল |
আইসক্রিম | ১ বাটি |
ব্লেন্ডার |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে পেঁপের উপরের খোসা ফেলে দেব। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবো।
😋২য় ধাপ😋
এখন পেঁপে গুলো ছোট ছোট পিস করে কেটে নেবো।
😋৩য় ধাপ😋
এবার পেঁপে গুলো ব্লেন্ডার করে নেব। তারজন্য প্রথমে পিসগুলো ব্লেন্ডারের মধ্যে দিয়ে দেব।
😋৪র্থ ধাপ😋
এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেবো।এবার ব্লেন্ড করে নেবো।
😋৫ম ধাপ😋
এবার চিনি দিয়ে দেব। এরপর আবারো ব্লেন্ড করে নেবো।
😋৬ষ্ঠ ধাপ😋
এরপর আইসক্রিম দিয়ে দেব। এবার আবারও ব্লেন্ড করে নেবো।
😋শেষ ধাপ😋
এরপর ব্লেন্ডার থেকে জগে ঢেলে নেবো। তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের পেঁপে দিয়ে ঠান্ডা জুস। এবার পরিবেশনের জন্য চলে যাব।
😋পরিবেশন😋
এখন আমি আপনাদের সাথে আমার রেসিপি সুন্দর ভাবে পরিবেশন করার জন্য নিয়ে আসছি। আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে একবার বাসায় তৈরি করে দেখবেন। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপির মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ওয়াও পেঁপে দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক ফ্রেশ একটি পেঁপে আপু। এই পেঁপে দিয়ে জুস করলে খেতে অনেক ভালো লাগবে। আপনি ঠিক বলছেন পেঁপে বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে বাচ্চাদের পেঁপে খেলে পেট অনেক বেশি ক্লিয়ার হয়। জুস দেখে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে বেশ মজার করে তৈরি করেছেন কালারটা অসাধারণ হয়েছে।
হ্যাঁ আপু বাচ্চাদের জন্য পেঁপে অনেক উপকারী। খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এই গরমে যেকোনো জুয খেতে ভীষন ভালো লাগে। আপনি আজ পেঁপের জুস করলেন।জুস খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি। আমি পেঁপের জুস করেছি অনেক কিন্তু আইসক্রিম দিয়ে কখনও করা হয়নি। অনেক ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আইসক্রিম দিয়ে খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
সত্যি আপু এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত হলে আর কিছুই লাগে না। আর বাচ্চারা জুস অনেক পছন্দ করে। আর একজায়গায় থেকে অন্য জায়গায় গেলে রেসিপি করতে একটু ঝামেলা হয়। আর এভাবে হাতে জুস বানালে অনেক সুস্বাদু হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এই গরমে ঠান্ডা এক গ্লাস শরবত হলে আর কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়না। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
পেঁপে খাওয়া আমাদের জন্য খুবই উপকারী। পেঁপের জুস অবশ্য কখনো খাওয়া হয়নি। তাছাড়া যে কোনো জুস তৈরির ক্ষেত্রে আইসক্রিম দিলে সেই জুসের স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। আপনার পেঁপের জুস তৈরির পদ্ধতি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।
হ্যাঁ আপু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার যেহেতু কখনো পেঁপর জুস তৈরি করে খাওয়া হয়নি তাহলে আজই এই রেসিপি তৈরি করে নেবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
এই গরমে এরকম একটি পেঁপের ঠান্ডা জুস পান করতে পারলে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।এছাড়াও পেঁপে তে অনেক ভিটামিন,যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু তাহলে আজই পেঁপের জুস বানিয়ে নেবেন। আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
পেঁপে খেতে যেমন সুস্বাদু,তেমনি আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। এই গরমে আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়া। এই গরমে দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। পেঁপের ঠান্ডা জুস এক গ্লাস খেলে কলিজা একেবারে শীতল হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছেন। যাইহোক সময়োপযোগী একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।