ছেলেকে নিয়ে বাহিরে বের হওয়া
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে জানাই আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি।
গতকাল থেকে ছেলেটা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমাকে বারবার বলে আম্মু মাথা ঘুরায়। আমাকে একটু কোলে নাও না আর ছেলের এমন কথা শুনে খুব কষ্ট হয়। যেই ছেলে এত দুষ্টমি করে এক জায়গায় বসে থাকে না সে একদম চুপ হয়ে গিয়েছে। যখন দুষ্টমি করে তখন মাঝে মাঝে খুব রাগ হতো কিন্তু এখন অসুস্থ দেখে অনেক কষ্ট হয়। আজ সারাদিন ঘুমিয়ে ছিল। এখন সবার ঘরে ঘরে বাচ্চাসহ বড়রা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একটু অসুস্থ হলেই এখন সবাই ভয় পায় মনে করে হয়তো ডেঙ্গু হয়েছে।
আজ সারাদিন ছেলের খুব জ্বর ছিল তাই চিন্তা করলাম বিকালে একটু ঘুরে আসি। ছেলে বারবার বলতাছে আম্মু বার্গার খাব। এরপর আছরের আযানের পর ছেলেকে নিয়ে বের হলাম। সবসময় ছেলে রাস্তায় বের হাঁটে কিন্তু আজ তাকে কোলে করে হাঁটতে হয়েছে। রাস্তায় গিয়ে এত সুন্দর ওয়েদার দেখে খুব ভালো লাগলো। এই কয়েকদিন গরমের পর আজ একটু বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিকালের পরিবেশ খুব সুন্দর ছিল। হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস ছিল বলে খুব ভালো লেগেছিল।
আকাশে খন্ড খন্ড মেঘ ছিল। এরপর দেখতে পেলাম সূর্য অস্ত চলে গিয়েছে কিন্তু আকাশে এখনো লাল আভা দেখা যায়। এত সুন্দর দৃশ্য দেখে থাকতে পারলাম না। অনেক ইচ্ছে ছিল ফটোগ্রাফি কনটেস্টে জয়েন হবো কিন্তু বাসার কাছে এমন কোনো দৃশ্য নেই যার ফটোগ্রাফি করবো। ছেলেকে নিয়ে অনেকক্ষণ বাহিরে ছিলাম। এরপর তাকে বার্গার খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। সবসময় চেষ্টা করি ছেলেকে একটু হাসিখুশি রাখার জন্য।
আমরা রাস্তা দিয়ে হাটার সময় দেখতে পেলাম রাস্তার একপাশে বৃষ্টি হওয়াতে পানি জমে রয়েছে। এভাবে পানি জমে থাকলেই সেখান থেকে মশার জন্ম হয়। আমাদের এখানে ছোট্ট একটি বাচ্চার ডেঙ্গু হয়েছে আর ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে তাকে জ্বরের ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর ছেলেকে বাসায় নিতেও পারেনি সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এমন অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু গেটের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে মারা যায়। এই কথা শুনার পর এখন খুব ভয় হয়।
এরপর শুনেছি সেই ফার্মেসীর লোকটিকে পুলিশে ধরে নিয়ে যায়। এখন যেই আবহাওয়া শুরু হয়েছে এতে করে মানুষ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে। আজ বাহিরে গিয়ে শহরের বর্ষাকালীন কিছু ছবি তুলেছি। আমার কাছেও বাহিরে হাঁটাহাঁটি করে ভালো লেগেছে এমনকি ছেলেটাও খুব মজা পেয়েছে। যাই হোক আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
হ্যাঁ আপু দেশের পরিস্থিতি অনেক খারাপ সবাই কিন্তু অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমারও ভয় লাগে বাচ্চারা যদি একটু করে খারাপ লাগছে শুনলেই ডেঙ্গুর কথা মনে পড়ে যায়। তবে একটু সাবধানে থাকা ভালো বাচ্চাদেরকে নিয়ে। আপনি ভালো কাজ করলেন বাচ্চা যেহেতু অসুস্থ হাটাহাটি করে আসলেন। এই সময় আবহাওয়াটা অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে আকাশের দৃশ্য চমৎকার।
আসলে এখন বেশিরভাগ ঘরে ঘরে অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। আমার মেয়েটাও আজ কয়েক দিন অসুস্থ। আসলে বাচ্চারা এমনিতে অনেক দুষ্টামি করে, কিন্তু অসুস্থ হলে একেবারে নিরব হয়ে যায়, তখন তা দেখলে সত্যি খুব কষ্ট লাগে। আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছিলেন এবং বার্গার খেয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। তবে সেই অসুস্থ ছেলেটির কথা শুনে খারাপ লেগেছে যে মারা গিয়েছে।
আসলে বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে নিজেদের কাছেও একেবারে ভালো লাগেনা। আমার মেয়েটা অসুস্থ আর তার এই অসুস্থতা দেখে আমার নিজের কাছেও খারাপ লাগে। আপনার ছেলে অসুস্থ এটা জেনে খারাপ লেগেছে। আপনার ছেলের জন্য দোয়া করি যেন সে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। মা ছেলে মিলে তাহলে ঘোরাঘুরি করেছিলেন বাহিরে বের হয়ে। আপনার ছেলে খুশি হয়েছিল এটা জেনে ভালো লাগলো।
ছোট বাচ্চা অসুস্থ হলে মা-বাবার টেনশন আরো বেড়ে যায়। আপনার ছোট বাচ্চাটির অসুস্থতার কারণে আপনার মনে অনেক ধরনের চিন্তা এসে গেলো। তবে ঢাকাতে এখন প্রচুর পরিমাণে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। যাইহোক বিকেল বেলা বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরতে গেলাম ভালোই করলেন বাইরে। তবে কিছু কিছু ফার্মেসি আছে যেগুলো ওষুধের ডেট চলে যায়। সে ওষুধগুলো আবার রোগীদেরকে দেয়।তাদের ভুল ওষুধের কারণে মানুষের জীবন পর্যন্ত চলে যায়। তবে আমার মনে হয় পুলিশে তাকে ধরে নিয়ে গেছে ভালোই করেছে। আপনার বাচ্চার জন্য দোয়া রইল যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়।