লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পেতে ঢাকায় চলে আসা
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি এবং সুস্থ আছি।
আজ আবারও নতুন পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। দু'দিন আগে আমার একটি পোস্টে বলেছিলাম আমাদের গ্ৰামে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছিল। তবে সেই ঝড় যেমন আনন্দের ছিল তেমনি কষ্টেরও ছিল। যেদিন আকাশ অন্ধকার করে ঝড় শুরু হলো সেদিনই দুপুরে কারেন্ট চলে যায়। এত গরমের পর বৃষ্টি হওয়াতে খুব ভালো লেগেছিল। যেহেতু আমাদের আইপিএস ছিল তার জন্য রাতে তেমন কষ্ট হয়নি। রাতে ঠান্ডা পেয়ে সেদিন খুব আরামের ঘুম হয়েছিল।
এরপর ভোরবেলা গরম লাগাতে সবাই ফ্যান ছেড়ে ঘুমায় আর দুপুর বেলা আইপিএস বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে কারেন্ট আসার কোনো নাম নেই। এরপর আবার বিকাল থেকে ঝড় শুরু হয়। এর আগের দিনের ঝড়ের জন্য কারেন্ট গিয়েছে সবাই ভেবেছিল পরের দিন কারেন্ট আসবে কিন্তু সেদিন আবারও ঝড়। তারপর সেদিনও কারেন্টের আসা সবাই ছেড়ে দেয়। প্রথম দিনের বৃষ্টিতে রাতে ঠান্ডা লাগলেও দ্বিতীয় দিনের বৃষ্টিতে রাতে কম ঠান্ডা লেগেছে।
ঐ দিন রাত বলতে গেলে কষ্ট করে কাটিয়েছি। সকাল থেকে আবারও প্রচন্ড গরম শুরু। একদিকে গরম অন্যদিকে কারেন্ট,আইপিএস কোনোটাই নেই। আমরা বড়রা যেমন এই যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছি তেমনি বাচ্চারাও সহ্য করতে পারছিলো না। আমার ভাতিজি সে তো খুব ছোট তাই বেশি বিরক্ত শুরু করে দিলো। বাড়ির আশেপাশের পাশে যত ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে তাদের সবার শুধু কান্নার আওয়াজ শুনা যেতো।
এদিকে সবার মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার মোবাইলে একদম অল্প চার্জ রয়েছে বলে এই কয়েকদিন ধরে আমি একদমই এক্টিভ থাকতে পারিনি। গতকাল সারাদিন সবাই ভেবেছিল কারেন্ট আসবে কিন্তু কারেন্টের কোনো খবর নেই। এরপর রাত ১০ টা বেজে যায় তখন আমরা চিন্তা করলাম এই গরমে আর গ্ৰামে থাকা সম্ভব নয়। তারপর রাতেই গাড়ি ঠিক করা হয় ঢাকায় চলে আসার জন্য। সারারাত ঘুমাতে পারিনি এত পরিমাণ গরম ছিল। এর মধ্যে কিন্তু রাতেও বৃষ্টি পড়েছে তবে গরম কমেনি। আজ সকাল ৭ টার দিকে গাড়ি আসে আর আমরা ১০ টার দিকে বাসায় চলে আসি।
একদিক দিয়ে দেখতে গেলে ঢাকায় এই ধরনের সমস্যা নেই বলে ভালোই লাগে আবার অন্যদিকে চিন্তা করলে গ্ৰামের বিশুদ্ধ বাতাস ঢাকা শহরে কখনো পাওয়া যাবে না। আমরা হয়তো এখন ঢাকায় থেকে অব্যস্ত হয়ে গিয়েছি বলে কারেন্টের এই যন্ত্রনা সহ্য করতে পারিনি। কিন্তু যারা গ্ৰামে থাকে তাদের কি অবস্থা হয় বলেন? যখন চলে আসি তখন আমার ভাবিরা বলছিলো তোমরা ঢাকায় থাকো বলে চলে যাচ্ছো কিন্তু আমরা কি করবো?
সত্যিই তাদের অশান্তির শেষ নেই। একদিকে লোডশেডিং এরমধ্যে আবার গরম তার উপর বাচ্চাদের যন্ত্রনা সব মিলিয়ে খুবই খারাপ অবস্থা। ঢাকায় এসে যে শান্তিতে আছি তা কিন্তু নয় প্রচন্ড গরম তবে এর মাঝেও কারেন্ট আছে এটাই অনেক। যাই হোক অনেক কথা বলেছি। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপু আমাদের এখানে বৃষ্টিই নাই। আর গরম এর কথা কি বলব।সাথে বিদ্যুৎ ও থাকে না ঠিক মতে।ট্যাংক এর পানি একবার শেষ হলে এই শহর এলাকায় এক বিন্দু পানি পাওয়া যায় না।
ভাইয়া আমাদের গ্ৰামে দু'দিন বৃষ্টি হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আসলে কয়েকদিন ধরে খুবই গরম পড়ছে আর এই গরমে কারেন্ট না থাকলে অনেক কষ্ট হয়। আর এই কারেন্টের সমস্যা বেশিরভাগ গ্রামই হয়ে থাকে। আপনারা তো দেখছি গ্রামের গরমের কষ্ট সহ্য না করতে পেরে ঢাকায় চলে এসেছেন। আসলে আপনাদের কাছে হয়তো সুযোগ ছিল তাই চলে আসতে পেরেছেন কিন্তু যাদের কোনো সুযোগ নেই তাদের তো সেখানেই থেকে যেতে হয়। তবে যেহেতু অভ্যেস বলতে একটা বিষয় আছে তাই হয়তো তাদের অতটা কষ্ট হয় না যতটা হুট করে গেলে হয়। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সবমিলিয়ে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। কিছু দিন ধরে অনেক গরম পরেছে। এই গরমে মানুষ অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তাই আপনি ঢাকায় চলে যান। আমার জানা মতে এখন সব জাগায় অতিরিক্ত গরম। এই গরমের মধ্যে ঠিক মতো বিদ্যু থাকে না। সব মিলিয়ে অবস্থা একদম খারাপ। যাইহোক ঢাকায় গিয়ে কিছুটা শান্তি পাবেন আপনি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ভাইয়া ঢাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছি কিন্তু গ্ৰামের তুলনায় ঢাকায় গরম বেশি। ধন্যবাদ।
দিন দিন গরম পড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য লোডশেডিং এর সমস্যা শুরু হয়ে গেছে। তবে ঢাকাতে গিয়ে যদি রক্ষা পাওয়া যায় বেশ ভালো। আমার এখানে লোডশেডিং হলে মাঝেমধ্যে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। সেখানে লোডশেডিং খুব কম হয়।
যাক আপনি লোডশেডিংয়ের সমস্যা জন্য মাঝে মাঝে গিয়ে শ্বশুর বাড়ি থাকেন জেনে খুশি হলাম। এক কাজে আপনার দু'কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
ঝড়ের জন্য কয়েকদিন বেশ অস্বস্তিতে কাটিয়েছেন দেখছি। আসলেই আপু বতর্মান সময়ে কারেন্ট ছাড়া চলা মুশকিল। লোডশেডিং এর জ্বালায় শেষ পযর্ন্ত ঢাকায় চলে গেলেন। ব্যাপার টা এখন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে শহর গুলো চকচকে রাখতে গ্রামে লোডশেডিং করা হচ্ছে হা হা।
শহর চকচকে রাখতে গ্ৰামে লোডশেডিং এর সমস্যা আরও আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তাইতো এবার একদমই লোডশেডিংয়ের অভাব বুঝতে পারিনি। ধন্যবাদ।
আসলে আপু, গ্রামাঞ্চলে যারা থাকে তাদের আসলে এই গরম সহ্য হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যেহেতু শহর থেকে গিয়েছেন, এজন্য আপনার কষ্টটা একটু বেশি হয়েছে। এই গরমে কারেন্ট ছাড়া থাকা আসলেই বেশ অস্বস্তির একটা ব্যাপার। আপনারা যে ঢাকা চলে এসেছেন, এটা বেশ ভালোই করেছেন । সেটা না করলে হয়তো আরো বেশি কষ্ট হতো।
হ্যাঁ ভাইয়া এই গরমে কারেন্ট ছাড়া এক সেকেন্ড থাকা যায় না। তারজন্য চলে আসতে হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
হ্যাঁ আপু, আপনাদের চলে আসার কারণটা বুঝতে পেরেছি আমি।