ধান শুকানো দেখার কিছু সুন্দর মুহূর্ত
শুভ সকাল,
আ সসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি ভালো আছি। আজ আবারও নতুন ও ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। নতুন নতুন পোস্ট করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি নতুন পোস্ট দেখতেও খুব ভালো লাগে। ভিন্ন পোস্ট না হলে কখনোই পোস্টের কোয়ালিটি বাড়ে না। তারজন্য প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করার জন্য। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার আজকের নতুন ব্লগ শুরু করছি।
সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়। পুরনো ছবি দেখলে সেই সময়ের কথা যেমন মনে পড়ে যায় তেমনি সেই মুহুর্তটাকে খুব মিস করি। ঈদে যখন গ্ৰামে গিয়েছিলাম তখন এই ছবি গুলো তুলেছিলাম। আমাদের কিছু ধানের জমি রয়েছে কিন্তু ঢাকায় থাকি বলে নিজেরা করা হয়না। সেগুলো আমার চাচাতো ভাই চাষ করে। এবার সবার আগে আমাদের ক্ষেতের ধান পাঁকে। এরপর বাড়ি আনা হয় আর ধান মাড়াই করা হয়। এরপর শুকাতে দেওয়া হয় আর সেই শুকাতে দেওয়ার এত সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করেছি।
আমরা সবাই দুপুর বেলা গাছের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন আমার ভাতিজি একা একা ধান ধরবে বলে হাঁটা শুরু করে। সে নতুন হাঁটা শিখেছে বলে এক জায়গায় বসে থাকতে চায় না। এরপর আমার ছোট ভাইয়ার বউ বলে চলো ধান নেড়েচেড়ে দেই। তাদের দু'জনের এই সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করলাম। তাদের দেখে আমার ছেলেও ছুটে যায় কিন্তু সে ধানে পা রাখতে ভয় পায়। সেজন্য পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
আমার ছেলের এই অবস্থা দেখে সবাই হাসাহাসি শুরু করে। কারণ তাকে কোনো ভাবেই ধানে পা রাখাতে পারিনি। শুধুমাত্র তাই নয় সে মাটিতে পর্যন্ত খালি পায়ে হাঁটতে চায় না। বাচ্চাদের এমন মুহূর্ত দেখে যেন ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। নতুন ধান ঘরে আসলে আমরা কত আনন্দ পেতাম। মায়ের সাথে ধানের কিছু কাজ করে দিতাম। অবশ্য আমিও তেমন বেশি পারি না কিন্তু তারপরও কাজ করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বর্তমানের ছেলে মেয়েরা একদমই কাজ করতে চায় না।
সেই সময় সত্যি খুব মধুর ছিল। সকাল বেলা ঝলমলে রোদ দেখে সবাই উঠানে ধান শুকাতে দিতো আর দুপুর না হতেই কালো অন্ধকার করে মেঘ চলে আসতো আর দৌড়াদৌড়ি করে ধান ঘরে তুলা আবার বৃষ্টি শেষ হলে রোদের দেখা পেলে আবার ধান বাহিরে বের করার সময়টা সত্যি খুব মিস করি। তখন যেনো মায়ের সাথে এই কাজগুলো করে দিতে খুব ভালো লাগতো। সেই দিন গুলো এখন স্মৃতির পাতায় জমা পড়ে রয়েছে, যেখানে আর কখনও যাওয়া যাবে না কিন্তু মনে করা যাবে।
শহরে এমন দৃশ্য কখনও দেখা যায় না তাইতো গ্ৰামে ছুটে যাই এই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য। আমরা ছোটবেলায় যা দেখেছি বর্তমানের ছেলেমেয়েরা তা ও দেখতে পায়না। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। এই দোয়া কামনা করি। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
বর্তমানে চলছে গ্রামে ধান মাড়াই এর আমেজ। প্রতিটি কৃষকের ঘরে নতুন ধান আগমনের আনন্দে সবাই দিশেহারা। আসলে এরকম মুহূর্ত গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়ে থাকে। কেননা সকালবেলায় রোদে ধান শুকাতে দেয় আবার আকাশ ঘন কালো মেঘ করে আসাতে সবাই তাড়াতাড়ি করে ধান উঠিয়ে নেয় আবার মেঘ সরে গেলে পুনরায় ধান রোদে শুকাতে দেয়। দারুন কিছু মুহূর্ত লক্ষ্য করা যায়। কিছুদিনের মধ্যেই আবার এই দৃশ্যগুলো দেখা যাবে গ্রামের মধ্যে। আপনি এরকম মুহুর্তগুলো এখন মিস করেন এটা শুনে খারাপ লাগলো। তবে সময় করে গ্রামের বাড়িতে অবশ্যই আসবেন তাহলে মন একটু হলেও ভালো হয়ে যাবে।
হ্যাঁ ভাইয়া কিছুদিন পরেই গ্ৰামে যাবো। এমন সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
গ্রামীণ পরিবেশের সৌন্দর্য আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ ভালো একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে ধান শুকানোর অসাধারণ মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন আপনি। আশা করি এই মুহূর্তটা আপনার ভালো লেগেছে এবং গ্রামীণ জীবনের সেই অনুভূতি গ্রহণ করতে পেরেছেন।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা ঠিক সময় খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কখনো কখনো মনে হয় এই তো বছর গেল। এভাবে একদিন সব কিছুই ফুরিয়ে যাবে। ধান শুকানো মুহূর্তগুলো গ্রাম অঞ্চলেই দেখা যায়। আপনি ঈদের মধ্যে গ্রামের বাসায় এসেছেন বলেই দেখতে পেরেছেন। আরে মুহূর্তগুলো সব সময় সুন্দর হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া সময় খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই শহরের মানুষেরা অনেক কিছুই মিস করে। ইট পাথরের শহরে কি আর দেখা যায়। গ্রামীণ পরিবেশে থাকার মজাই আলাদা। যাইহোক ধান শুঁকানোর মুহূর্ত ছোটবেলায় দেখেছি, কিন্তু এখন আর দেখা যায় না। এখন বেশিরভাগ মানুষ এগুলোকে ঝামেলা মনে করে। আপনার ছেলে তাহলে শেষপর্যন্ত ধানের মধ্যে পা রাখেনি😂। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। কত বছর হয়েছে এরকম দৃশ্য সামনাসামনি দেখা হয় না। ছোটবেলায় নানুদের বাড়িতে গেলে এসব দৃশ্য দেখার সুযোগ হত। কিন্তু এখন একদমই দেখা হয় নাই এগুলো। ঈদের সময় গ্রামে গিয়ে ছবিগুলো তুলেছেন তাহলে। ঠিকই বলেছেন আপু শহরে এরকম দৃশ্য কখনোই দেখা যায় না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
আপু এখনকার ছেলে মেয়েরা বেশিরভাগ সময় শহর এলাকায় বড় হচ্ছে। যার কারনে অনেক বাচ্চারাই মুক্ত খোলা হাওয়াতে বেড়ে উঠতে পারছে না। এমনকি তারা অনেক সাধারন জিনিস দেখেও ভয় পাচ্ছে। তবে আমার কাছে মনে হয় গ্রামের পরিবেশটা বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো। যাইহোক আপনার ছেলে ভয় পেয়ে ধানে পা দিচ্ছে না। আর এটা নিয়ে সবাই হাসাহাসি করছে এটা একদমই ঠিক না। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
গ্রাম অঞ্চলে ধান শুকানোর দারুন দৃশ্য উপভোগ করা যায়। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই ধান শুকানোর দৃশ্য দেখা যায়। ধান শুকানো দারুন একটি দৃশ্য আজ আপনি তুলে ধরেছেন আপু।আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরাও সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।