কয়েক পদের ভর্তা দিয়ে বৌওয়া ভাত খাওয়ার অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম জানাই। আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের নতুন ব্লগ। আজ একদম ভিন্ন এক অনুভূতি নিয়ে চলে আসলাম। এই ধরনের অনুভূতি কখনো মুখে প্রকাশ করা যায় না। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আমার টাইটেল দেখে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিসের অনুভূতি শেয়ার করতে এসেছি? হ্যাঁ কয়েক পদের ভর্তা দিয়ে বৌওয়া ভাত খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে চলে এসেছি। আপনাদের নিশ্চয়ই এমন মুখরোচক খাবারের নাম শুনে জিভে জল চলে এসেছে। আপনাদের কি বলবো, আমার'ই তো জল চলে আসলো। এমন লোভনীয় খাবার দেখলে খেতে তো ইচ্ছে করবেই। কিন্তু উপায় নেই আপনাদের খাওয়াতে পারলাম না,নিজেই খেয়ে নিয়েছি। তবে আপনাদের খাওয়াতে না পারলেও আমার মা কে খাইয়েছি। এই খাবার গুলো উনাদের জন্য তৈরি করা। আমি বেশ কয়েকমাস আগে একটি পোস্ট বলেছিলাম আমার বড় ভাবি আর ছোট ভাবি দু'জনের একসাথেই প্রেগন্যান্ট। তারজন্য তারা যখন যা খেতে আমার কাছে আবদার করে তা খাওয়ানোর চেষ্টা করি। কারণ আমার মা ও অসুস্থ, সেজন্য তাদের দু'জন কেই সংসার সামলাতে হয়। তারা দু'জন অসুস্থ শরীর নিয়ে যা পারে তাই রান্না করে। এই সময়টাতে দেখা যায় অনেক সময় অনেক কিছু খেতে ইচ্ছে করে কিন্তু মা অসুস্থ বলে উনাকেও বলতে পারে না আর এদিকে নিজেরাও তৈরি করতে পারে না। তারজন্য মাঝে আমিই ইচ্ছে করে জিজ্ঞেস করি কিছু খেতে চায় কিনা? রোজার কয়েকদিন আগে তারা দু'জনেই বলছিলো তাদের বিভিন্ন পদের ভর্তা খেতে ইচ্ছে করছে। তখন আমি বললাম তাহলে ঠিক আছে ভর্তা বানিয়ে নিয়ে আসবো। তাছাড়া ভর্তার সাথে ভাতের থেকে বৌওয়া ভাত খেতে বেশি ভালো লাগে। বৌওয়া ভাত মূলত খুদের চাল দিয়ে রান্না করা হয়। আপনারা নিশ্চয়ই সবাই খুদের চাল চিনেন। ধান ভাঙ্গানোর পর যে ভাঙ্গা চাল বের হয় তাকে খুদের চাল বলে। অঞ্চল ভেদে হয়তো আপনারা অন্য নামেও চিনতে পারেন। বৌওয়া ভাত খেতে খুবই মজাদার। আমি সেদিন ছয় পদের ভর্তা বানিয়েছিলাম। সবগুলো ভর্তা বানাতে আমার প্রায় সারাদিন লেগে গিয়েছিলো। ভর্তা বানাতে গেলে বাটাবাটির ঝামেলা রয়েছে আর সেজন্যই মূলত সময় বেশি লাগে। বৌওয়া ভাত খেতে যেমন সুস্বাদু হয়েছিল তেমনি ভর্তা গুলোও খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। আমার তো পোস্ট লিখতে গিয়ে বারবার মনে হচ্ছে আবারও তৈরি করে নেই এই মজাদার রেসিপি। আমি জানি না আপনারা এভাবে বৌওয়া ভাত দিয়ে ভর্তা খেয়েছেন কিনা? যদি কেউ খেয়ে থাকেন তাহলে সুন্দর মতামতের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। যাই হোক আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন পোস্টের মাধ্যমে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি। আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
খুদের চালের ভাতকে আমরা বুদ্দা ভাজি বলি। আমি এর রেসিপি শেয়ার করেছিলাম এবং সেখানে আপনি কমেন্ট করে জানিয়েছিলেন এটাকে আপনারা বৌওয়া ভাত বলেন । এই ভাতগুলোর সাথে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা আমি অবগত আছি।
আপু আপনার রেসিপির কথা আমি ভুলে গিয়েছিলাম। যাক আপনিও এই রেসিপি শেয়ার করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ভর্তা খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। তবে বৌওয়া ভাত এই নাম আজকেই প্রথম শুনলাম। যাই হোক ভর্তা গুলো বেশ লোভনীয় ছিলো। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এভাবে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
কয়েক পদের ভর্তা দিয়ে বৌওয়া ভাত খেয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক প্রজাতির ভর্তা খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ লাগলো আপনার দ্বায়িত্ববোধ দেখে আপু। মা যেহেতু অসুস্থ, তাই আপনি নিজেই যে দুই ভাবির এমন খেয়াল রাহার চেষ্টা করেন এই বিশেষ মুহূর্তে, এটি বেশ ভালোলাগার অনুভূতি ছড়িয়ে দিলো। আর এমন ভর্তা দিয়ে বৌওয়া বা খুদের ভাত খেতে আসলেই অনেক মজা লাগে৷ছবি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে!
আপু কি করবো মা অসুস্থ তার জন্য তাদের তেমন কিছু তৈরি করে খাওয়াতে পারে না। সেজন্য আমিই মাঝে মাঝে তাদের ইচ্ছে গুলো পূরণ করার চেষ্টা করি। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আমি প্রতিনিয়ত বৌওয়া ভাত খেয়ে থাকি।কারন আমি বিক্রমপুরের মেয়ে।আমাদের এলাকায় নানান রকমের ভর্তা করে এই বৌওয়া ভাত খাওয়া হয়।আপনি আপনার দুই ভাবীর জন্য রান্না করলেন।যা খুবই প্রশংসনীয়। আশাকরি তারা খুব মজা করে খেয়েছিল। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি যেহেতু বিক্রমপুরের মেয়ে আর এই বৌওয়া ভাত বিক্রমপুরের খুবই বিখ্যাত একটি খাবার। যাই হোক আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনার বৌওয়া ভাত খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু আমাদের এদিকে তেমন বৌওয়া ভাত খাওয়া হয় না।তবে আপনার খাবার দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। এভাবে একদিন তৈরি করে অবশ্যই খাব। ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলতে হয় আপনার করা ভর্তা গুলো অনেক লোভনীয় লাগছে।আপনি আপনার ভাবীদের এই স্পেশাল মূহুর্তে ভর্তা খাওয়ানোর ভালো একটা কাজ করেছেন।নিশ্চয়ই আপনার ভাবিরা অনেক খুশি হবে।অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার এই মূহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু ভাবিরা এই আয়োজন দেখে খুব খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বৌওয়া ভাত নিজে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে একবার খেয়েছিলাম পাশের বাসার এক আন্টি দিয়েছিল। ভর্তা দিয়ে খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আর আপনি তো বিভিন্ন প্রকার ভর্তা দিয়ে বৌওয়া ভাত খেয়েছেন। নিশ্চয়ই খেতে বেশ মজার ছিল। আপনার তৈরি করা ভর্তা গুলো দেখে আমারই খেতে ইচ্ছে করছে। কারণ যে কোন ভর্তাই খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
যাক আপনিও পাশে বাসার আন্টির কাছ থেকে একবার খেয়েছেন যেন ভালো লাগলো। হ্যাঁ আপু অনেকগুলো ভর্তা দিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভর্তাগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে লোভ সামলাতে পারছি না, মন চায় এখনই বানিয়ে খেয়ে ফেলি। বৌভাত দিয়ে এরকম ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমি অনেকবার খেয়েছি। খুবই লোভনীয় একটি খাবার। দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা করে খেয়েছেন। বৌভাত দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভর্তা খাওয়ার মজার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনিও এভাবে বউ ভাত দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভর্তা খেয়েছেন জেনে খুশি হলাম। নিশ্চয়ই খেতে আপনার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনারা বলেন বৌওয়া ভাত! আর আমাদের দিকে বলে বউ ভাত! এই বউ ভাত ছোটবেলায় খুব খেতাম আপু। ভর্তা দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগতো খেতে। অনেকদিন পরে দেখে তো মনে পরে গেল আপু। আপনার ভর্তার আইটেম দেখেই জিভে জল চলে এল।
ভাইয়া এক এক জায়গায় এই ভাত কে একেক নামে ডাকা হয়। তবে আপনিও ছোটবেলায় খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
জি আপু, ছোটবেলায় অনেক খাওয়া হতো এই ভাত।