😋মুরগির পা,চামড়া আর কলিজা ভুনা😋
আসসালামু আলাইকুম। হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আজ হঠাৎ করে বাতাসের আবাস পেলাম। বেশ কিছু দিন ধরে প্রচন্ড গরমের পর আজ একটু ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। কয়েকদিনের গরমে সবার ঘরে ঘরে বাচ্চা সহ বড়রা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যাই হোক কাজের কথায় আসি আজ আমি খুবই মজাদার রেসিপি নিয়ে এসেছি। আমার কাছে মুরগির চামড়া আর পা আলু দিয়ে ভুনা খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি এই রেসিপি গ্রামে আসার আগে তৈরি করে ছিলাম। কিন্তু সময় সুযোগ হয়নি বলে শেয়ার করা হয়নি।
যখনি মুরগি আনা হয় তখনই আমি মুরগির পা চামড়া আর কলিজা আলাদা করে রেখে দেই। আমার হাসবেন্ড এই রেসিপি খেতে খুব পছন্দ করে। গরম ভাত কিংবা পোলাও এর সাথেও খাওয়া যায়। আমি প্রায় সময় এই রেসিপি তৈরি করি। আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির চামড়া | এক বাটি |
আলু | ২টি |
পেঁয়াজ কুঁচি | ১/২ প্লেট |
তেল | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুঁড়া | ১ চামচ |
মরিচ গুঁড়া | দেড় চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চামচ |
জিরার গুঁড়া | হাফ চামচ |
গরম মশলার গুঁড়া | হাফ চামচ |
আদা রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে আমি আলু ছোট ছোট করে কেটে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
😋২য় ধাপ😋
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপর কড়াই গরম হয়ে গেলে এতে পরিমান মতো তেল দিয়ে দেব।
😋৩য় ধাপ😋
এবার তেল গরম হয়ে গেলে এতে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দেব। এরপর এতে দুটি তেজ পাতা ও দারচিনি দিয়ে দেব।
😋৪র্থ ধাপ😋
এখন আদা রসুন বাটা আর মশলার গুঁড়া দিয়ে দেব। এরপর একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নেব।
😋৫ম ধাপ😋
এবার এতে মুরগির পা চামড়া দিয়ে দেব। এরপর মশলার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নেব।
😋৬ষ্ঠ ধাপ😋
এবার এতে আলু দিয়ে দেব এবং সবগুলো সুন্দর ভাবে মিশিয়ে নেব।
😋৭ম ধাপ😋
এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেব। এরপর সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেব।
😋শেষ ধাপ😋
এরপর পানি শুকিয়ে গেলে ভাজা ভাজা করে নামিয়ে নেব। তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের মজাদার মুরগির পা,চামড়া আর কলিজা ভুনা রেসিপি। এবার পরিবেশনের জন্য চলে যাব।
😋পরিবেশন😋
এখন আমি আপনাদের সাথে আমার রেসিপি সুন্দর ভাবে পরিবেশন করার জন্য নিয়ে আসছি। আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে একবার বাসায় তৈরি করে দেখবেন। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপির মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনি তো মুরগির চামড়া দিয়ে দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে এভাবে কখনো মুরগির চামড়া রান্না করা হয়নি।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।আমার কাছেও মুরগির চামড়া অনেক ভালো লাগে তবে আপনার মত কখনো রান্না করিনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মুরগির পা,চামড়া আর কলিজা ভুনা দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে, এতো মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুস্বাদু একটি মুরগির রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অতি লোভনীয় মনে হল। খুব ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করা দেখে যা আপনি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আর তার পূর্বে টেবিল আকারে উপস্থাপন করেছেন সমস্ত উপাদানগুলো। অসাধারণ একটি পোস্ট।
আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। রেসিপিটি আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। মুরগির মাংসের থেকে গিলা কলিজা গুলো চিবিয়ে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার আম্মু মাঝেমধ্যে এগুলো আলাদা করে রান্না করে। রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু এবং মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন এমন গরমের দিনেও হালকা বাতাস বের হয়েছে অনেক ভালো লাগতেছে বাতাস গুলো গায়ে লাগলে। অনেক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন মুরগির পা, চামড়া আর কলিজা দিয়ে। এগুলো ঝাল ঝাল করে ভুনা করে খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপনি তো আপু খুব চমৎকার একটি ভিন্ন রকম রেসিপি করেছেন। মুরগির পা চামড়া এবং কলিজা এগুলো ভুনা করে রান্না করলে সত্যি খেতে এমনি মজা লাগে। আপনার হাজব্যান্ড এগুলো খেতে অনেক পছন্দ করে। তবে মুরগির পা চামড়া এবং কলিজা দিয়ে মাঝে মধ্যে আমরা ঝাল করে খেয়ে থাকি। তবে আমিও বাড়িতে চেষ্টা করব এভাবে রেসিপিটি তৈরি করার জন্য। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
মুরগির পা,চামড়া আর কলিজা ভুনার বেশ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু মুরগির পা,চামড়া আর কলিজা ভুনা মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। আমি এগুলো রুটি দিয়ে বেশি খেয়ে থাকি। দেশি পল্টি সব মুরগির ভুনাই আমার কাছে ভাল লাগে। তবে আমাদের ঘরে অনেকে পল্টি খায় না। তারা আবার দেশি মুরগি ছাড়া খেতে পারে না। রেসিপিটা ধারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন। মুরগির পা চামড়া ও কলিজা মাঝে মধ্যে আমার খাওয়া হয়। কখনো ভুনা করে কখনো বা ঝাল করে খেয়ে থাকি। তবে আপনি মুরগির পা চামড়া এবং কলিজার সাথে আলু দিয়েছেন। তবে রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
মুরগির পা,চামড়া আর কলিজা ভুনা দেখেই তো লোভ লেগে গেল আপু। রেসিপির কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে। গরম গরম রুটি দিয়ে খেতে খুব ইয়াম্মি লাগবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।