সোনারগাঁও রাজমনি পিরামিড ঘুরাঘুরি মুহূর্ত । ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাঁককে
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ ভালো আছি। আমি এর আগে সোনারগাঁওয়ের পানাম নগর,তাজমহলের ঘুরাঘুরির পর্ব শেয়ার করেছিলাম। এবার আমি শেষ পর্ব পিরামিডে ঘুরাঘুরি শেয়ার করতে চলে এসেছি। আমার কাছে প্রতিটা জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লেগেছিল আর আপনাদের সাথে আমার এই সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে আরও বেশি ভালো লেগেছে। আমাদের আগে জানা ছিল না এক টিকেটে দুই জায়গায় ঘুরতে পারবো। যখন সেখানে গেলাম তখন নোটিশ বোর্ড দেখে বুঝতে পারলাম।
তাজমহল যাওয়ার রাস্তায় পিরামিড দেখা গিয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম তাজমহল দেখে যদি সময় থাকে তাহলে পিরামিড দেখতে যাব। কিন্তু যখন তাজমহলের সামনে নোটিশ বোর্ডে এই দারুণ খবর দেখতে পেলাম তখন ভাবলাম এই সুযোগ হাত ছাড়া করা যায়না। তারজন্য আমরা তাজমহলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ছিলাম। এরপর পিরামিড দেখার জন্য চলে গেলাম। আমি বাহিরে থেকে দেখে মনে করেছিলাম ছোট একটি জায়গা হবে।কিন্তু পরে ভিতরে গিয়ে এত সুন্দর জায়গা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আমরা পানাম নগর আর তাজমহল ঘুরেছি এবং ভালোও লেগেছে কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে পিরামিড। এত সুন্দর ও মনকাড়া জায়গা আমি আর দেখিনি। আমার বাসা যদি তার আশেপাশে হতো তাহলে আমার ছেলেকে নিয়ে প্রতিদিন বিকাল বেলা সেখানে ঘুরতে যেতাম। এই পিরামিডের ভিতরে অনেক প্রজাতির গাছ আছে। এত সুন্দর সুন্দর নাম না ফুলের গাছ দিয়ে ঘিরে রেখেছে যা দেখলে মন ভরে যায়।
এরপর আমরা হাঁটা শুরু করলাম একটু ভিতরে যেতেই দেখি গুপ্তঘর। তারপর ভিতরে যাওয়ার আগ্রহ জাগলো। এখানে দুটো সিঁড়ি ছিল একটি দিয়ে যাওয়া যায় আর একটি দিয়ে বের হওয়া যায়। আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম আর সেখানে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সেই ঘরের ভিতরে বিভিন্ন রাজা-রানি দের মোমি রাখা এবং তাদের জামাকাপড় এবং গয়না রাখা ছিল।এসব ভয়ংকর জিনিস দেখে ভয় পেয়েছিলাম বলে ছবি তোলা হয়নি।
এরপর একটু সামনে যেতেই চোখে পড়লো ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ তৈরির জায়গা। সেখানে ছোট মাঠ এবং একপাশে ফাঁসির মঞ্চ আরেক পাশে বসার জন্য লাভের বেঞ্চ তৈরি করে রাখা। এই জায়গাটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এরপর সেখানে একটি ছোট ছেলে হরেক রকমের পাখির মেলা নিয়ে বসেছে। সেই মেলা দেখার জন্য আবার ২০টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হয়। কিন্তু তখন আমাদের হাতে সময় ছিলনা বলে আর দেখা হয়নি। এরপর চারপাশে ফুলে ঘেরা আর মাঝখানের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম।
এরপর একটু সামনে যেতেই দেখলাম হল ঘর আছে। তারপর সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম বেহুলা লক্ষীন্দরের বাসর ঘর এবং আরও একটি ঘর দেখলাম সেখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি করার জন্য সাজানো আছে। এভাবে ঘুরাঘুরি করে অবশেষে আমাদের ঘুরাঘুরি শেষ করলাম। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠে বাসায় চলে আসলাম। আমাদের বাসায় আসতে আসতে রাত আটটা বেজে গিয়েছে। আশা করি আপনাদের সবার কাছে আজকের এই পিরামিডের ঘুরাঘুরির শেষ পর্ব অনেক ভালো লেগেছে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
সত্যি বলতে এক টিকেটে দুই জায়গাতে ঘুরতে পেরেছেন বলে, অনেক দিক থেকে সাশ্রয় এবং ভালোই হয়েছে। আর সবমিলিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে, এরকম জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করছি ধন্যবাদ।
হ্যাঁ এক টিকেটে দুই জায়গায় ঘুরতে পেরে সবদিক দিয়েই অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব চমৎকার ভাবে আমার মন্তব্যে রিপ্লে দিয়ে, উৎসাহ প্রদানের জন্য।
আমি সাধারণত কৃত্রিম জায়গা পছন্দ করিনা।কিন্তু এই জায়গা টি কৃত্রিমতার পাশাপাশি প্রাকৃতিক গাছপালা দিয়েও ভরা।তাই জায়গা টি বেশ ভাল লাগল।আপনার ফটোগ্রাফ গুলোও অনেক সুন্দর ভাবে জায়গাটির সৌন্দর্য তুলে ধরেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি জায়গ সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য।
আমার কাছেও কৃত্রিম জিনিস ভালো লাগেনা। হ্যাঁ ভাইয়া ঐ জয়গায় এত সুন্দর সুন্দর গাছ রয়েছে তা দেখলে মন ভরে যায়। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য শুভকামনা রইল।
সোনারগাঁও রাজমনি পিরামিডে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটি খুব সুন্দর। বেশ কিছু ঐতিহাসিক জিনিসের ভাস্কর্য যেমন ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ, বেহুলা লক্ষীন্দরের বাসর ঘর দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি জায়গা সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু কখনো সময় পেলে ঘুরে আসবেন। ঐ জায়গা দেখতে খুবই সুন্দর। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
সোনারগাঁও রাজমণি পিরামিড ঘুরা ফেরা করে আপনি বেশ কিছু ছবি তুলেছেন। আমি কখনো সোনারগাঁও যাইনি তবে আজ আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ইচ্ছে করছে যেতে। তাছাড়া ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ দেখে ক্ষুদিরামের জীবন কাহিনী মনে পড়ে গেল কারণ ক্ষুদিরাম সম্পর্কে আমার আম্মুর কাছ থেকে জেনেছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আসলেই সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ।
আপু যদি কখনো সময় হয় তাহলে একবার ঘুরে আসবেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
বাহ আপনি অনেক সুন্দর ঘুরাঘুরি মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করেছেন। এক টিকিটে দুই জায়গায় দেখা যায় আপনি প্রথমে জানতেন না। আপনারা পানাম নগর ও তাজমহল ঘুরেছেন এবং ভালোও লেগেছে। কিন্তু আরেকটি জায়গা আরো ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফির মাঝে ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ তৈরি জায়গাটি খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু একটার সাথে আরেকটা ফ্রি সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম। আমার কাছে সব জায়গাই অনেক ভালো লেগেছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
সোনারগাঁও রাজমনি পিরামিড ঘুরাঘুরি করে অনেক আনন্দ পেয়েছেন। সেই থেকে অনেক ছবি ও তুলেছেন।সোনারগাঁও রাজমনি পিরামিডে কখনও যাওয়া হয় নি। আপনার থেকে অনেক তথ্য পেলাম।ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ দেখতে পেলাম আপনার ফটোগ্রাফিতে।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মূহুর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঘুরা ঘুরি করে সত্যি আমি ও আমার পরিবারের সবাই অনেক আনন্দ পেয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।