গল্প || ভালোবাসার মানুষ যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে (২য় পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
গত সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম। আজ সেই গল্পের ২য় পর্ব নিয়ে এসেছি। ভালোবাসার মানুষ যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু কিছু কিছু পরিস্থিতি এমন থাকে যখন তাকে ছেড়েও যাওয়া যায় না। শিলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। রিমা কে যখন শিলা এমন লোভনীয় অফার দেয় তখন রিমা কোনো কিছু না ভেবে নিজের কথা চিন্তা করে স্বার্থপরের মতো প্রস্তাব মেনে নেয়। শিলার প্রস্তাব ছিল,তুমি সন্তান হওয়ার পর আমাকে দিয়ে দিবে আর তার বিনিময়ে তোমাকে একটা ফ্ল্যাট ও এক কোটি টাকা দেবো আর তুমি যে আকাশের সন্তানের মা হতে চলেছ তা কখনো কাউকে বলতে পারবে না। এতে তুমি সারা জীবন সুখে জীবন কাটাতে পারবে। রিমা এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে কাগজে সাইন করে দেয়। যদিও শিলার পক্ষে রিমাকে নিয়ে এই দশ মাস অপেক্ষা করা খুবই কষ্টকর ছিল।
কারণ শিলা পেটে কাপড় বেঁধে সবাইকে জানিয়েছে সে মা হতে চলেছে। এভাবেই সময় চলে যায় আর এক সময় রিমা ছেলে সন্তানের মা হয়। কিন্তু কথায় বলে না,জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। রিমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। রিমা ছেলেকে শিলার হাতে তুলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো টাকা ও ফ্ল্যাট নিয়ে চলে যায়। এদিকে শিলা ছেলেকে খুব আদর যত্নে বড় করতে থাকে। কখনও শিলা বুঝতে দেয়নি এটা তার আসল মা নয়। ছেলেকে নিয়ে প্রায় সময় বিদেশে ঘুরতে যায়। ছেলেও খুব খুশি আর এভাবেই একসময় আকাশ আর শিলার মধ্যে যে মনোমালিন্য হয়েছিল তা শেষ হয়ে যায়।
আকাশ আর শিলার সংসার যেনো সুখের হয়ে উঠে কিন্তু সেই সুখ আর বেশিদিন টিকবে না সেটা শিলা বুঝতে পারেনি। অন্যদিকে রিমা একটা স্কুলে জব করে আর বিয়েও করেছে। রিমাও ভালো জীবন যাপন শুরু করেছে। ছেলের বয়স যখন ছয় বছর তখন হঠাৎ করে রিমা শিলার কাছে এসে তার ছেলেকে ফেরত চায়। কিন্তু এটা কি কখনও সম্ভব। এরপর শুরু হয় শিলার নতুন লড়াই। এবার শিলার পাশে এসে আকাশ দাঁড়ায়। এদিকে রিমা যখন ছেলের কাছে যায় আর আদর করতে চায় তখন ছেলে দূরে সরে যায়। ছেলে যেনো রিমা কে সহ্য করতে পারে না এমন অবস্থা। কারণ শিলা তো নিজের সন্তানের মতোই তাকে বড় করেছে আর কোনো অভাব তাকে বুঝতে দেয়নি।
এরপর শিলা রিমাকে বলে আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ পরিবেশ দিয়েছি। বাবার পরিচয় দিয়েছি আর তার নানা দাদাসহ সবার পরিচয় দিয়েছি আর সবচেয়ে বড় বিষয় আমি তাকে বংশের পরিচয় দিয়েছি। কিন্তু তোমার কাছে থাকলে সে কি পেতো, ঠিকমতো তো দু'বেলা খাওয়াতেও পারতে না,পরিচয় তো দূরের কথা। কিন্তু কোনো কথাই রিমা শুনতে রাজি নয়। সে তার ছেলেকে ফেরত চায়। এদিকে আকাশ আর শিলা ছেলেকে ফেরত দিবে না। এরপর শিলার জীবনে অন্যরকম এক যুদ্ধ শুরু হয়। এবার দেখা যাক সেই যুদ্ধে কে জিতে,শিলা নাকি রিমা।(চলবে---)
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপনার লেখা এই গল্পের প্রথম পর্বটা আমার পড়া হয়েছিল। রিমা দেখছি এত বছর পরে নিজের সন্তানকে ফেরত চাচ্ছে। শিলাতো ঐ সন্তানকে নিজের সন্তানের মত করে অনেক আদর যত্ন দিয়ে বড় করেছে। আর ওই সন্তানকে সবকিছুই দিয়েছে। এখন দেখা যাক তাদের মধ্যে কে ওই সন্তানটাকে রাখতে পারে।
আপু পরবর্তী পর্বে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্য।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1842789776673640721?t=VceCAv_5zX-fZd-VMPboDg&s=19
হ্যাঁ এই কথাটা আপনি ঠিক বলেছেন যে জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। মা হতে হলে অবশ্যই দায়িত্ববান এবং শান্তিশীল চিন্তাভাবনা থাকতে হয়। প্রথম পর্বটা আমার পড়ার সৌভাগ্য হয় নাই তবে এই পর্ব থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আশা করি খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে পাবলিশ করবেন।
ভাইয়া আপনি এই পর্ব থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু ভালোবাসার মানুষ যখন বিশ্বাস ঘাতকরা করে তখন সেই কষ্টটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে যায়।খুব সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন আপু। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তীতে শিলা ও রিমার মধ্যে কে জিতে জানার জন্য ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যেই হোক না কেন বিশ্বাসঘাতকতা করে কেউ পছন্দ করে না। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রয়েছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আমি আপনার এই গল্পের প্রথম পর্ব পড়িনি তবে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। সত্যিই ভালোবাসার মানুষের দেওয়া আঘাত সহ্য করা যায় না। একজন সন্তানের দুজন দাবিদার।অবশেষে সন্তান কার কাছে থাকবে সেটা জানার জন্য পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আপু পরবর্তী পর্বের মধ্যে সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে। অপেক্ষায় থাকার জন্য ধন্যবাদ।
রিমা মেয়েটা তো দেখছি একেবারে জঘন্য। এক কোটি টাকা এবং ফ্ল্যাটের বিনিময়ে নিজের ছেলেকে দিয়ে চলে যাওয়ার পর, এখন কিভাবে ছেলেকে আবার ফেরত চায়। তাছাড়া সে তো কাগজে সিগনেচার করে ছেলেকে একেবারের জন্য শিলাকে দিয়ে দিয়েছিলো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ভাইয়া টাকার লোভ সবচেয়ে বড়লোভ, তার জন্য অনেক সময় নিজের সন্তানকেও অস্বীকার করা হয়। যাই হোক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।