হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে দেখা (কুলার ডিজাইন) || ১০℅লাজুক খ্যাঁককে
"আমার বাংলা ব্লগের" সকল বাংলাভাষী সদস্যদের আমার সালাম। আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি।
আমি আজকে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আবারো চলে এসেছি আপনাদের মাঝে। আজ আমি আপনাদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে দেখার জন্য একটি নতুন ডিজাইন নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার আজকের ডিজাইন কুলার। আমি ছোটবেলায় মা-চাচিদের দেখেছি এই কুলার মধ্যে ধান নিয়ে ময়লা পরিষ্কার করতে। আবার বিয়ের সময় দোকান থেকে হলুদের ডিজাইন করা কুলা কিনে এনে সাজাতে দেখেছি।
কিন্তু এখন এর প্রচলন চলে গেছে।এখন আর গ্রামে আগের মতো এর ব্যবহার দেখা যায় না। আমার কাছে বিয়ের সময় যখন এই কুলা বিভিন্ন ভাবে সাজানো হতো তখন দেখতে খুব ভালো লাগতো। আজ হঠাৎ করে কুলার কথা মনে হলো তাই ভাবলাম পুরনো ঐতিহ্য মনে করার জন্য এর চেয়ে ভালো ডিজাইন আর কিছু হতে পারেনা। তাহলে চলুন সেই ডিজাইন তৈরির ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
★ সাদা পেপার
★ পেন্সিল
★ কালো জেল পেন
★ রাবার
★ সাইনপেন
★ স্কেল
𒆜ধাপ ১:𒆜
প্রথমে আমি কুলার আকৃতির মতো করে সুন্দর একটি শেপ দিয়ে দেব। আমি প্রথমে হালকা করে পেন্সিল দিয়ে এই শেপ দিয়ে দিলাম।
𒆜ধাপ ২:𒆜
এবার প্রথম দাগের পাশেই আরও একটি দাগ টেনে নেব।এরপর স্কেল ধরে দু'মাথার একটু নিচে আরেকটা দাগ টেনে নিব।
𒆜ধাপ ৩:𒆜
এবার মাঝখানের অংশ হলুদ সাইন পেন দিয়ে সুন্দর ভাবে হলুদ কালার করে নেব।
𒆜ধাপ ৪:𒆜
এরপর চারপাশের দাগ লাল কালার সাইন পেন দিয়ে সুন্দর ভাবে কালার করে নেব।
𒆜ধাপ ৫:𒆜
এবার লাল কালার সাইন পেন দিয়ে চারকোনায় চারটি লাল ফুল এঁকে নেব।
𒆜ধাপ ৬:𒆜
এখন ফুলগুলোর মাঝখানে কালো সাইনপেন দিয়ে লতা একে নেব। এরপর সেই লতার মধ্যে সবুজ কালার সাইন পেন দিয়ে পাতা এঁকে নেব।
𒆜ধাপ ৭:𒆜
এবার কালো সাইনপেন দিয়ে এর ভিতরে সুন্দর ভাবে "আমার বাংলা ব্লগ"লিখে নিলাম।
𒆜 শেষ ধাপ :𒆜
এবার লেখার একপাশে দুটি ফুল এঁকে নেব। এরপর কুলার চারপাশের দাগ গুলো আরও স্পষ্ট বুঝার জন্য কালো সাইনপেন দিয়ে দাগগুলো গাঢ় করে নেব।
এরপর কুলার নিচে সুন্দর ভাবে আমার সাইন দিয়ে দেব। তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের সুন্দর একটি কুলার ডিজাইন।আমার কাছে এই ডিজাইন এঁকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এমন ইউনিক আর্ট গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার কাছে ভালো লাগে। আপনাদের কাছ থেকে যদি এভাবে উৎসাহ পেতে থাকি তাহলে সামনে আরও ইউনিক ডিজাইন শেয়ার করতে পারবো। আশা করি আমার এই ডিজাইন আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
মাশাআল্লাহ আপু ইউনিক একটা আইডিয়া শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো।কুলা এখন আর দেখা যায় না আগের মতো।স্টেপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে ইউনিক একটা আইডিয়া শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য অনেক।
হ্যাঁ ভাইয়া এখন আর সবার ঘরে ঘরে এই কুলা দেখা যায়। গঠনমূলক মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Twitter Share
https://twitter.com/TanjimaAkter16/status/1564650327277613056?s=20&t=p8pc5GqTMqL-2xu5GKMSIA
খুব সুন্দর একটি কুলার ডিজাইন আর্ট করেছে আপনি। আপনি ঠিকই বলেছেন এটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এখন তো এই ধরনের জিনিস দেখাই যায় না। আপনার আজকের ডিজাইনটি বেশ ভালো লেগেছে। কালার কম্বিনেশনের কারণে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগছে দেখতে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
আপু অনেক গ্রামেই এই কুলা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে এখনো এই কুলা দেখলে অনেক ভালো লাগে।গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি অসাধারণ একটি চিত্রাংকন করেছেন । যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু আপনাদের ভালোবাসার জন্যই তা সম্ভব হয়ে ওঠে। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ওয়াও আপনি তো দেখছি খুবই চমৎকার একটি কুলার ডিজাইন অংকন করেছেন। আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই কুলার ডিজাইন অংকন। আপনি খুবই দক্ষতার সহকারে এবং নিখুঁতভাবে এই ডিজাইন করেছেন এবং আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করেছেন উপস্থাপনা করে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমার বাড়িতে এখনও কুলো আছে। সুন্দর এঁকেছেন দিদি। পরিষ্কার আর্ট দেখতে ভালো লাগে বেশ। ভালো থাকুন।
দিদি আমাদের বাড়িতে এখন আর নেই। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি বলেছেন সেই ছোটবেলায় দেখেছিলাম এই ধরনের কুলা, হঠাৎ করেই এগুলোর ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে, খুবই ভালো লাগলো পুরনো দিনের একটি জিনিস আপনি চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আমিও অনেক আগে দেখেছিলাম এই কুলা। অনেক দিন হয়েছে দেখা হয়না তাই পুরানো জিনিস মনে করে এই ডিজাইন এঁকেছি। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপু গ্রামাঞ্চলে কিন্তু ওই ঐতিহ্যবাহী কুলা গুলো এখনো বিদ্যমান। এখনো দেখি আমার আম্মুরা চাল বা ধান ঝাড়ার জন্য এই কুলা ব্যবহার করে থাকে। আসলে এ ধরনের ঐতিহ্যগুলো ধরে রাখা দরকার। খুব চমৎকারভাবে আপনি আজ অঙ্কন করে আমাদের মাঝে এত সুন্দর ঐতিহ্যবাহী কুলা একে দেখিয়েছেন।
কিন্তু আপু অনেক গ্রামে এখন এর প্রচলন উঠে গেছে বলতে হয়।আপনাদের আবার পুরোনো জিনিস মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই ডিজাইন করা।ধন্যবাদ।
কুলা আসলেই একটি ঐতিহ্যবাহী জিনিস। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে কুলার চিত্র অঙ্কন করেছেন এবং তার মাঝখানে আমার বাংলা ব্লগ লিখেছেন। যা চিত্রাংকনের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি করেছে। আপনার অঙ্কিত চিত্র অংকন আমার খুবই ভালো লেগেছে আপু। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি চিত্রাংকন আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আমার কাছেও তাই মনে হচ্ছে ভাইয়া।যেকোনো আর্টের মধ্যে আমার বাংলা ব্লগ এই নাম লিখলে যেন প্রাণ ফিরে পায়।ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি খুবই সুন্দর ভাবে কুলার ডিজাইন অংকন করেছেন দেখে সত্যি অসম্ভব সুন্দর লাগছে এবং আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন পড়ে ভালো লাগলো।