চাল ভেজে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ু তৈরির রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এখন মোটামুটি ভালো আছি। আজ আবারও চলে আসলাম নতুন পোস্ট নিয়ে। সবসময় নতুন নতুন পোস্ট করতে ভালোই লাগে। তারজন্য আজ রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি। এখন থেকে প্রতিসপ্তাহে একটি করে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় একমাত্র রেসিপি পোস্ট লিখতে গেলে তাড়াতাড়ি লেখা যায়। রেসিপির হয়তো ফটোগ্রাফি করতে খুব কষ্ট হয়। কারণ রান্না করা আবার প্রতিটার সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করা খুবই কষ্টকর। কিন্তু খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পোস্ট লেখার ক্ষেত্রেও খুব ভালো লাগে। মনে হয় যেন এর ধাপগুলো মুখস্থ থাকে আর সাথে সাথে লিখে ফেলি।
আজকে আমি চাল ভেজে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ু তৈরির রেসিপি নিয়ে এসেছি। আমরা সবাই নাড়ু খেতে খুবই পছন্দ করি। আমার ছেলে তো খুবই পছন্দ করে। আজ আমি যেভাবে নাড়ু তৈরি করেছি তা চাইলে এক দু'দিন রেখে খাওয়া যায়। আমি এতে নারিকেল ব্যবহার করিনি। কারণ আমার ছেলে নারিকেল ছাড়া পছন্দ করে তবে আপনারা যদি তৈরি করেন তাহলে চাইলে নারিকেল দিতে পারেন। তবে খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করাতে খেতে বেশি ভালো লেগেছে। এভাবে আমার চাচিকে ছোটবেলায় নাড়ু বানাতে দেখেছি আর খেতেও খুব ভালো লাগে। যাই হোক এই নাড়ু খেয়ে আমি ও আমার ছেলে খুবই মজা পেয়েছি। আপনাদের কাছে যদি এই নাড়ু রেসিপি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
নাম | পরিমাণ |
---|---|
চাল | এক বাটি |
খেজুরের গুড় | পরিমাণ মতো |
লবণ | স্বাদ মতো |
ঘি | পরিমাণ মতো |
গুঁড়া দুধ | পরিমাণ মতো |
রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে চাল একটি পাতিলে দিয়ে দেবো। এরপর লাল করে ভেজে নেবো।
😋২য় ধাপ😋
এবার সবগুলো ভেজে একটি বাটিতে নিয়ে নেবো।
😋৩য় ধাপ😋
এখন শিলপাটায় অল্প অল্প নিয়ে বেটে গুঁড়া বানিয়ে নেবো।
😋৪র্থ ধাপ😋
এভাবে সবগুলো গুঁড়া বানিয়ে নেবো।
😋৫ম ধাপ😋
এখন এর মধ্যে গুঁড়া দুধ দিয়ে মাখিয়ে নেবো।
😋৬ষ্ট ধাপ😋
এবার একটি পাতিলে খেজুরের গুড় নিয়ে এতে পানি দিয়ে মিশিয়ে নেবো।
😋৭ম ধাপ😋
এখন চুলায় বসিয়ে দেবো আর একটা বলগ তুলে নেবো।
😋৮ম ধাপ😋
এবার গুড়া গুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নেবো।
😋৯ম ধাপ😋
এবার একটি বাটিতে ঢেলে নেবো। এরপর এক চামচ ঘি দিয়ে দেবো।
😋১০ম ধাপ😋
এবার একটি বাটিতে কুসুম গরম দুধ নিয়ে নেবো। এরপর গুড়ার মধ্যে অল্প অল্প দিয়ে দেবো।
😋১১তম ধাপ😋
এবার অল্প অল্প নিয়ে নাড়ু বানিয়ে নেবো।
😋শেষ ধাপ😋
সবশেষে সবগুলো নাড়ু বানিয়ে গুড়া দিয়ে মাখিয়ে নেবো। এতে করে নাড়ু শক্ত হয়। তাহলেই চাল ভেজে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ু তৈরির রেসিপি। এবার সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য চলে যাবো।
এরপর সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে নিয়ে আসলাম। আশা করি আমার মতো আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।আপনাদের কাছে যদি আমার এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে নতুন কোনো রেসিপির মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত না হলে হয়তো বা জানতেই পারতাম না যে এতো ইউনিক ইউনিক রেসিপি পৃথিবীতে রয়েছে। এই রেসিপিটি আমার কাছে একদমই নতুন এবং অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে এরকম রেসিপি কমিউনিটিতে এর আগে কখনোই দেখিনি। চাল ভেজে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ু তৈরীর এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার কাছে আমার এই রেসিপি এত ইউনিক লেগেছে জেনে সত্যি খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
সময় উপযোগী সুন্দর একটি রেসিপি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই রেসিপি কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এখন সময় হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার এসিপি তৈরি করার। এই সময় খেজুরের রস কুসুরের রস সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে খেজুরের রসটা মানুষ বেশি পছন্দ করে থাকে। আর সেটা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পিঠা পুলি রেসিপি তৈরি করা হয়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতের সময়ে খেজুরের গুড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
নাড়ু আমার জানা মতে কম বেশি সবারই পছন্দ। তার মধ্যে আমার ও ভীষণ পছন্দের। ভিন্ন রকম ভাবে নাড়ু তৈরি করেছেন। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। ভালো ছিলো আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আমি শুনেছি যে গমের ছাতু দিয়ে নাড়ু তৈরি করে। কিন্তু আজ তো দেখছি একেবারে ভিন্ন রকমের একটি নাড়ুর রেসিপি আমাদের সাথে আপনি শেয়ার করলেন। চাল ভাজা দিয়ে এমন করে নাড়ু বানানো যায় সেটা আমি আজ প্রথম দেখলাম। তবে আপনার রেসিপিটি কিন্তু বেশ দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু চাল ভাজা দিয়েও নাড়ু বানানো যায় আর খেতেও খুবই সুস্বাদু। ছাতু দিয়ে নাড়ু খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আমরা সাধারণত নাড়িকেল দিয়ে নাড়ু তৈরি করে খাই, আপনি তো গুড় দিয়ে চমৎকার পদ্ধতিতে নাড়ু তৈরি করে দেখালেন। আমি বিষয়টি আমার স্ত্রীকে দেখিয়েছি, দেখা যাক আমরাও হয়তো খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে খাবো। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার এবং লোভনীয় খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে।আমার ছেলের কাছে এই নাড়ু খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এমন রেসিপি আমি আজ প্রথম দেখলাম।চাউল ভেজে সেটা দিয়ে খেজুর গুর মিক্সিং করে নারু বানানো।মনে হচ্ছে খুবই দারুন একটি রেসিপি এবং খাবার ছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন এই রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।
এই প্রথমবার এমন নাড়ু দেখেছেন জেনে খুশি হলাম। এই নাড়ু খেতেও খুব মজার। ধন্যবাদ।
আসলে এটা কিন্তু ঠিক, রেসিপি তৈরি করার সময় সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করাটা অনেক বেশি কষ্টকর। চাল ভেজে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ু তৈরি করার রেসিপি টা দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে। এই মজাদার রেসিপি আমার কখনোই খাওয়া হয়নি। যার কারনে এর টেস্ট কিরকম এটা আমার জানা নেই। তবে রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে আমার অনেক বেশি। ভিন্নভাবে তৈরি করা নাড়ু খাওয়া হয়েছে। তবে এভাবে তৈরি করা নাড়ু খাইনি। খুব মজাদার ভাবে এটা তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এটা তৈরি করার চেষ্টা করবো আমি অবশ্যই।
আপু এই নাড়ু খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে একবার বানিয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ।
এই মজাদার রেসিপি টা আজকে প্রথমবার দেখলাম। চাল ভেজে খেজুরের গুড় দিয়ে নাড়ু তৈরি করা যায় এটা কখনোই জানা ছিল না। ভিন্ন রকম পদ্ধতিতে নাড়ু তৈরি করা অনেকবার খেয়েছি আমি। শীতের সময় এরকম নাড়ু সবাই মিলে বসে খেতে খুবই ভালো লাগবে। আপনি মজাদার নাডু তৈরি করার পদ্ধতি সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। যে কেউ চাইলে এটা তৈরি করতে পারবে।
এভাবে নাড়ু আমার চাচি তৈরি করে আর উনার কাছ থেকেই শেখা। হ্যাঁ ভাইয়া শীতের সময়ে সবাই একসাথে বসে এভাবে নাড়ু খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
বাহ অনেক ইউনিক একটি নাড়ুর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। নারিকেলের নাড়ু খাওয়া হয়েছে কখনো চাল ভেজে এভাবে নাড়ু তৈরি করে খাওয়া হয়নি। বেশ ইউনিক এবং লোভনীয় লাগছে। আপনি আপনার তৈরি ধাপ গুলো আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু এটা ঠিক বলেছেন, রেসিপি করতে যেমন কষ্ট হয় ঠিক তেমনি রেসিপিটা স্টেপ বাই স্টেপ ফটোগ্রাফি করতেও কষ্ট হয়! আর আপনার নাড়ুর রেসিপিটি ভালো ছিল! এটা আগে দেখতাম আম্মা মাঝে মাঝেই বানানো। এখন খাওয়া হয় না রেসিপিটি
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।