"এসো নিজে করি"(অরিগ্যামি) || রঙিন কাগজ দিয়ে ঝাড়ু এবং বেলচা তৈরি
আজকে আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। নতুন পোস্ট করতে সবসময়ই ভালো লাগে। তাছাড়া আপনাদের নতুন নতুন পোস্ট দেখতেও খুব ভালো লাগে। আজকে রঙিন দিয়ে ঝাড়ু এবং বেলচার অরিগ্যামি নিয়ে এসেছি। এই অরিগ্যামি বানাতে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার ছেলে খুব পছন্দ করেছে। এই ধরনের জিনিস দিয়ে বাচ্চারা খেলতে খুব পছন্দ করে। তাছাড়া রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো যেকোনো ধরনের জিনিস দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এই জিনিস বানাতে মোটামুটি ভালোই সময় লাগে। বিশেষ করে ভাঁজ দিতে বেশ ঝামেলা হয় আর লেখার সময় ভাঁজ মনে রেখে লেখা আরও বেশি কষ্ট হয়। তবে সম্পূর্ণ বানানোর পর দেখতে যখন সুন্দর লাগে তখন সত্যিই খুব ভালো লাগে। এবার তাহলে চলুন ধাপগুলো নিচে দেখে আসি।
❂ উপকরণ: ❂ |
---|
নিচের বেলচা বানানোর পদ্ধতি দেওয়া হলো---
❖প্রথম ধাপে, চার কোণ সমান একটি হলুদ পেপার নেবো। এরপর ত্রিভুজের মতো করে ভাঁজ করে নেব। এভাবে পেপারের দু'পাশে ভাঁজ করে নেব।
❖দ্বিতীয় ধাপে, এবার খামের মতো করে ভাঁজ করে নেব।
❖তৃতীয় ধাপে, এরপর দু'পাশ লম্বা ভাবে ভাঁজ করে নেব।
❖চতুর্থ ধাপে, এবার ভাঁজগুলো খুলে নেবো। এরপর লম্বা ভাবে ভাঁজ করে নেব।
❖পঞ্চম ধাপে,এ পর্যায়ে ভাঁজ খুলে প্রথমে একপাশ ভাঁজ করে নেব। এরপর অপর পাশও ভাঁজ করে বক্স বানিয়ে নেব। এবার একপাশের অংশ ভিতরে চেপে নেবো।
❖ষষ্ঠ ধাপে, এবার বেলচা ধরার ডাটি বানিয়ে নেব। এবার হলুদ কালার কাগজ দিয়ে লম্বা লাঠি বানিয়ে নেব।
❖সপ্তম ধাপে, এরপর মাথায় সবুজ কাগজ লাগিয়ে নেবো। এরপর গাম দিয়ে এই ডাটি বেলচার মধ্যে লাগিয়ে পরিপূর্ণ বেলচা বানিয়ে নেব।
নিচের ঝাড়ু বানানোর পদ্ধতি দেওয়া হলো---
❖প্রথম ধাপে,প্রথমে সাদা কাগজ চিকন করে কেটে নেবো। এরপর কয়েকটি ভাঁজ দিয়ে দেবো।
❖দ্বিতীয় ধাপে, এবার চিকন চিকন করে কাঁচি দিয়ে কেটে নেবো। এরপর ভাঁজ খুলে নেবো।
❖তৃতীয় ধাপে, এবার হলুদ পেপার নিয়ে একটি ডাটি বানিয়ে নেব।
❖চতুর্থ ধাপে, এরপর সাদা পেপার সেই ডাটির মধ্যে পেঁচিয়ে নেবো। এরপর মাথায় সবুজ পেপার লাগিয়ে নেবো।
❖ফাইনাল আউটপুট, সবশেষে এবার সুন্দর ভাবে দু'টো জিনিসের ফাইনাল আউটপুট শেয়ার করে নিলাম। এবার এই অরিগ্যামির বিভিন্ন ভাবে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আমি আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের ব্লগ অনেক ভালো লাগবে। যদি ভালো লাগে তাহলে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
বাহ অনেক সুন্দর চিন্তা ভাবনা আপু আপনার। অনেক সুন্দর ঝাড়ু এবং বেলচা তৈরি করলেন আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিত সবার কাছ থেকে ইউনিক জিনিস গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। আপনিও খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেন রঙিন কাগজ দিয়ে। আজকে অনেক সুন্দর রঙিন কাগজের ঘর ঝাড়ু আর বেলচা তৈরি করলেন। প্রতিটি ধাপ দেখে বেশ ভালো লেগেছে।
আপু আপনার মত আমার কাছেও আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত সবার কাছ থেকে এমন ইউনিক ধরনের জিনিস দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার কাছে আমার এই পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আরে বাহ দারুন তো । আপু আপনি আজকে দেখছি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। আজকে আপনার শেয়ার করা পোস্ট ছিল রঙিন কাগজ দিয়ে ঝাড়ু তৈরি এবং বেলচা বেশ দারুন হয়েছে। রঙিন কাগজ দিয়ে এত সুন্দর করে এগুলো তৈরি করবেন বিষয়টা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে দেখতে পেতে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন এ ধরনের জিনিস নিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতে অনেক বেশি পছন্দ করে এবং ভালোবাসে। রঙিন কাগজ দিয়ে ঝাড়ু এবং বেলচা তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে মুগ্ধ হলাম। বোঝাই যাচ্ছে অনেকটা সময় এবং ধৈর্য নিয়ে আপনি এটা তৈরি করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া এই ধরনের ছোট ছোট জিনিস দিয়ে বাচ্চারা খেলতে খুব পছন্দ করে। এই ধরনের কাজ অনেক সময় নিয়েই করতে হয় তাহলে দেখতে খুব সুন্দর দেখায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে এরকম ধরনের ছোট ছোট জিনিসগুলো তৈরি করলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এ ধরনের ছোট ছোট জিনিস গুলো তৈরি করলে খুব কিউট হয়। আর তেমনি আপনার তৈরি করা ঝাড়ু এবং বেলছাও খুব কিউট দেখতে লাগতেছে। বুঝতেই পারতেছি অনেক ধৈর্য ধরে এবং কষ্ট করে আপনি এগুলো তৈরি করেছেন। আসলে ভাঁজে ভাঁজে এগুলো তৈরি করা একটু কষ্টকর। তবুও আপনি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, আপনার উপস্থাপনা দেখে কিন্তু যে কেউ এগুলো তৈরি করে নিতে পারবে। আর ছোট কোন বাচ্চাকে এগুলো দিলে তো খুব খুশি হয়ে যাবে।
হ্যাঁ আপু এই কাজগুলো ভাঁজে ভাঁজে তৈরি করা একটু কষ্টকর। কিন্তু যখন আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ পাই তখন খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস গুলো দেখতে সত্যিই দারুন লাগে। তবে প্রথম দিকে বোঝা যায় না, শেষ পর্যন্ত গিয়ে দেখতে কেমন হবে। তবে রঙিন কাগজের তৈরি জিনিসগুলো যখন একদম তৈরি করা শেষ হয়ে যায়, তখন দেখে অবাক হতে হয়। কেননা ভীষণ সুন্দর লাগে রঙিন কাগজের তৈরি জিনিসগুলো দেখতে। যাইহোক আপু,রঙিন কাগজ দিয়ে ঝাড়ু এবং বেলচা তৈরি খুব দক্ষতার সাথে তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে তার প্রতিটি ধাপ শেয়ার করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাইয়া রঙিন কাগজ দিয়ে কোন জিনিস তৈরি করলে প্রথম দেখে বোঝা যায় না কিন্তু শেষে যখন দেখতে ভালো লাগে তখন নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার এত সুন্দর একটা আইডিয়া দেখে আমি তো মুগ্ধ হয়েছি। আপনি অনেক সুন্দর একটা আইডিয়া থেকে, এত কিউট দেখতে ঝাড়ু এবং বেলচা তৈরি করেছেন। এরকম কাজ গুলো আমার অনেক সুন্দর লাগে। এই ধরনের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হয় অনেক বেশি দক্ষতার। আর দক্ষতার সাথে এগুলো করলে তো ভালো লাগবেই। ভাঁজে ভাঁজে এগুলো তৈরি করতে নিশ্চয়ই সময় লেগেছিল। সময় লাগলেও দেখতে কিন্তু অনেক বেশি সুন্দর লাগতেছে। ছোট বাচ্চাদেরকে দিলে আনন্দ সহিত খেলতে পারবে এগুলো দিয়ে।
হ্যাঁ ভাইয়া এগুলো ভাঁজে ভাঁজে তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছিল। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার মন্তব্য করে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাপরে বাপ। আপনাকে যতই দেখছি, ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে দারুন দারুন কিছু ক্রেয়েটিভ পোস্ট শেয়ার করে যাচেছন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ক্রেয়েটিভ জিনিসই আমার বেশ ভালো লাগে। আজকে ঝাড়ু আর ভেনচাও ছিল অসাধারণ।
আপু আপনার কাছে আমার তৈরি যে কোন জিনিস দেখতে ভালো লাগে জেনে সত্যি মুগ্ধ হলাম। এভাবে প্রশংসা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ অসাধারণ প্রতিভা তো দেখছি আপনার। আপনি আজকে রঙিন পেপার দিয়ে খুবই সুন্দর করে একটি বালু উত্তোলন করা বেলচা এবং একটি ঝাড়ু তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি দুটি জিনিসই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।তবে, বিশেষ করে বেলচা টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। আপনি একদম দারুন পদ্ধতি অবলম্বন করে বেলচা টি তৈরি করেছেন।
আপনার কাছে আমার বানানো দুটি অরিগ্যামি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে আরও বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে এরকম জিনিস গুলো তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু বিশেষ রকমের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যদি মাপ এবং ভাজ সঠিকভাবে না হয় তাহলে যেটা বানাতে চাই মোটেও দেখতে সুন্দর দেখায় না। তবে আপনি কিন্তু বেলচা এবং ঝাড়ু তৈরি করে দারুন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল আগামীতে আরো দারুন রকমের কিছু অরিগামি শেয়ার করবেন আমাদের সাথে এটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই কাজগুলো করতে হলে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, তা না হলে একটু ভুলের জন্য নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রঙিন কাগজ দিয়ে যে আসলে কত কিছু তৈরি করা যায় এটা আমার আগে জানা ছিল না। এখানে আসার পর দেখি সবাই খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করে। আমিও মাঝে মাঝে চেষ্টা করে তৈরি করার। আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর ঝাড়ু এবং বেলচা তৈরি করেছেন। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আপনার এই অরিগামি টা দেখে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মত আমারও রঙিন কাগজ দিয়ে এত কিছু তৈরি করা যায় আগে জানা ছিল না। এখানে আসার পর আমিও অনেক কিছু শিখেছি। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।