বাস্তবিক গল্প: শাহানার জীবনের গল্পের পুনরাবৃত্তি(শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।


আজ আবারও নতুন পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। তবে এটা গত সপ্তাহের গল্পের শেষ পর্ব। আমার কাছে গল্প লিখতে ও পড়তে খুব ভালো লাগে। তাই তো প্রতি সপ্তাহে একটি করে গল্প লেখার চেষ্টা করি। আমার গল্প পড়ে আপনারা উৎসাহিত করেন দেখে খুব ভালো লাগে। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি বাস্তব জগতের কিছু গল্প আমার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য। অনেক সময় আমাদের আশেপাশে এমন সব ঘটনা ঘটে থাকে যা নাটকের চেয়েও নাটকীয় হয়। তাছাড়া দেখবেন কিছু সিনেমা কিংবা নাটকের গল্প আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে অনেকটা মিলে যায়।

যাই হোক অনেক কথা বলেছি চলুন গল্পের শেষ অংশ শুরু করা যাক। গত পর্বে বলেছিলাম শাহানার স্বামী খুব অসুস্থ আর ডাক্তার বলেছে তার দু'টো কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারপর শাহানার স্বামী বাড়িতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে দেখে তাকে গ্ৰামে নিয়ে যাওয়া হলো। যেদিন গ্ৰামে নিয়ে গিয়েছে সেদিন থেকেই সে অনর্গল কথা বলতে শুরু করেছে। যা একটা স্বাভাবিক মানুষ বলে না। তার এই অবস্থা দেখে সবাই শুধু বলে আর বাঁচবে না। তার চেহেরায় যেন মৃত্যুর ছাপ চলে এসেছে।


20240307_150443.jpg


শাহানার স্বামীর এত সমস্যা কিন্তু এর মধ্যে আবার শাহানার ননদ ও দেবর জমি নিয়ে গণ্ডগোল শুরু করেছে। তারা চিন্তা করছে ভাই তো আর বাঁচবে না তাহলে জমি দিয়ে কি হবে আমরা সবাই তার ফসল নিয়ে যাবো। শাহানা আর তার স্বামী মিলে আলু ক্ষেত লাগিয়েছিলো। যখন শাহানার স্বামী অসুস্থ তখনই আলু তোলার সময় হয়েছে আর সেই আলু নিয়েই বরং ঝামেলা। শাহানার ননদ ও দেবর আলু নিয়ে যাবে আর শাহানা দিবে না কারণ সে অনেক কষ্ট করে জমি চাষ করেছে।


মানুষ কতটা খারাপ দেখেন ভাই অসুস্থ তার কথা চিন্তা না করে সে মারা যাবে সেই কথা চিন্তা করে আর কে কি নিবে তা নিয়ে রাগারাগী শুরু করে দেয়। তারপর আশেপাশের মানুষ জন এই দেখে তাদের খুব খারাপ বলতে শুরু করে। এভাবে কয়েকদিন কেটে যায়। একদিন শাহানা তার বাবার অসুস্থতার খবর শুনে তার বাবাকে দেখতে আসে। ঐদিকে শাহানার স্বামী একটু সুস্থ লাগছে বলে ঘর থেকে বাহিরে বের হয়। তাদের বাড়ির কাছেই একটি স্কুল রয়েছে। তিনি হাঁটতে হাঁটতে সেই স্কুল পর্যন্ত চলে আসে।


এরপর হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তারপর খিঁচুনি শুরু হয় আর তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। এই কথা শুনে শাহানা তাড়াতাড়ি চলে আসে আর সাথে শাহানার ভাইকেও নিয়ে আসে। এরপর তারা সিএনজি করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ঢাকা মেলিকেলের রোগী আর কিডনির রোগী দেখে তারা রাখতে চায়নি। এরপর তারা অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসে। গাড়ির মধ্যে শাহানার স্বামীর অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়।


এরপর ডাক্তার রোগীর অবস্থা দেখে সাথে সাথে এম আর আই করার জন্য বলে। তারপর তারা রোগীকে নিয়ে যায় এবং এম আর আই করে বেডে নিয়ে আসে। সেলাইন দেওয়ার পর একটু সুস্থ হয়। পরের দিন রিপোর্ট চলে আসে আর ডাক্তার বলে উনার ডায়বেটিস লো হয়ে পেশার বেড়ে গিয়েছিল তারজন্য এমন সমস্যা হয়েছে। তবে এখন সব ঠিক আছে আর কিডনির যে সমস্যা তা চিকিৎসা করালে ভালো হবে।


তারপর সেখানে তারা কিছু দিন থাকে আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এখন শাহানার স্বামী মোটামুটি সুস্থ আছে। সবাই তাদের দু'জনের জন্য দোয়া করবেন। আমার গল্প আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোনো গল্পের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।


IMG_20220215_193615.png



1693314960932.jpg

আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।

আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।



C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png


C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ (1).png


PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP


RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

Sort:  
 4 months ago 

আসলে আপু আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা শুধু স্বার্থ খোঁজে বেড়ায়। সত্যি শাহানার দেবর ও ননদেরা যে কাজ করেছিল। যাইহোক আল্লাহর অশেষ রহমত যে শাহানার স্বামী এখন সুস্থ। দোয়া করি তারা যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

হ্যাঁ আপু সবাই শুধু স্বার্থ খোঁজে বেড়ায়। তবে এখন
শাহানার স্বামী এখন মোটামুটি সুস্থ রয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।

 4 months ago 

শাহানা ও তার স্বামীর জন্য শুভ কামনা। আমাদের সমাজে এরকম অনেক সমস্যাই বিদ্যমান।আর এধরণের অসুখ-বিসুখ, পারিবারিক সংকট নিয়েই মানুষের জীবন। সমস্যা আছে বলেই জীবনে এত আনন্দ আসে। আপনি শাহানার ঘটনাটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। আশার কথা, শাহানার স্বামী এখন সুস্থ হয়ে বাসায় আছে। শাহানার স্বামীর পুরোপুরি সুস্থতা কামনা করছি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 4 months ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

 4 months ago 

গল্পের শাহানা এখন তো অসহায় হয়ে পড়েছে। তার বাবা অসুস্থ সেটা দেখতে গিয়ে জানতে পারলো তার স্বামী ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে পরবর্তীতে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তারা ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে এমআরআই করিয়ে স্যালাইন দেওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়েছেন। তার জন্য সুস্থতা কামনা করছি।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

ভাইয়া শাহানার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন যেন তারা সুখী জীবন কাটাতে পারে। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57034.02
ETH 3084.35
USDT 1.00
SBD 2.41