গ্ৰীষ্মকালের খারাপ ও ভালোলাগার দিক || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনাদের দোয়ায় অনেক অনেক ভালো আছি। সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ আবার নতুন আরেকটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেহেতু এখন গ্ৰীষ্মকাল চলে সেজন্য গ্ৰীষ্মকালের খারাপ ও ভালোলাগার দিকগুলো আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছে। আসলে অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম কোন একটা ঋতু নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু শেয়ার করবো। কিন্তু সেই সময় আর পাচ্ছিলাম না। আমার কাছে গ্ৰীষ্মকাল ভালোও লাগে আবার খারাপও লাগে। এই ঋতু নিয়ে আমার ভালো ও খারাপ লাগার কিছু কথা আজ শেয়ার করব। আশা করি আমার আজকের লেখা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো আর কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক।
সুজলা-সফলা,শস্য-শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। এ দেশে ছয়টি ঋতু। প্রথমেই শুরু হয় গ্রীষ্মকাল দিয়ে। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দু-মাস গ্রীষ্মকাল। এই সময়ে আমাদের দেশে খুব গরম পড়ে। বৈশাখ মাসে বিকেল বেলা আবার মাঝে মাঝে ঝড়-বৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে বৈশাখ মাসের ঝড়কে 'কালবৈশাখী’ ঝড় বলে। গ্রীষ্মকালে সূর্যের তাপে পুকুর, নদী-নালা,খাল-বিল সবকিছু শুকিয়ে খা-খা করে। এসময় আশেপাশে পানির খুব অভাব দেখা যায়। বিশেষ করে ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি পানির অভাব দেখা দেয়। এই গ্ৰীষ্মকালে পানি নিয়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। একদিকে প্রচুর গরম অন্যদিকে পানির কষ্ট।
তার মধ্যে আবার আছে লোডশেডিং ওফ কি যে কষ্টকর জীবন। এই গরমের মধ্যে যদি কারেন্ট না থাকে তাহলে কিভাবে থাকা সম্ভব। এমনিতেই প্রচুর গরম তার মধ্যে নেই কারেন্ট। এই সময় যদি কারেন্ট চলে যায় তাহলে মনে হয় যেন সবকিছু অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। এই গরম মনে হয় সহ্য করা যায় না। গ্রীষ্মের তাপে সবকিছু ফেটে চৌচির হয়ে যায়। মানুষ ও পশুপাখি পর্যন্ত গরমে এপাশ-ওপাশ করতে থাকে।
যখন অতিরিক্ত গরম পড়ে তখন মানুষের বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়। অতিরিক্ত গরমের কারণে এই সময়ে অনেক রোগ যেমন জ্বর, কাশি, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। এ সময় হাসপাতালের অনেক শিশু ও বয়স্ক মানুষ ভর্তি হয়। আশেপাশে সব জায়গায় ম্যালেরিয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। সন্ধ্যা হলেই মশার কামড়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়।
তাছাড়া আবার কখনো কখনো কাল বৈশাখী ঝড়ের কারণে অনেক ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। আবার এই বৈশাখী ঝড়ের কারণে অনেক মানুষ মারা যায়। আমরা প্রতিদিনই এমন খবর টিভিতে দেখে থাকি। এ বৈশাখী ঝড়ের কারণে অনেক সময় রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কারণ গাছ পড়ে তখন রাস্তাঘাট একদম বন্ধ থাকে। এই কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে অনেক সময় ছাত্রছাত্রীরা স্কুল কলেজে যেতে পারে না। তখন তাদের দেখা যায় পড়ালেখা অনেক সমস্যা হয়ে যায়।
এত কষ্টের মাঝেও আবার একটু শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। জানিনা আমার মতো আপনারা পান কিনা। এই সময় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়। গ্ৰীষ্মকালীন ফলের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, বেলসহ নাম না জানা বিভিন্ন ধরনের ফল। আমরা সবসময় ফল পাই কিন্তু গ্ৰীষ্মকালে যে ফল পাওয়া যায় সেই ফলের স্বাদ আর কোনো সময় পাওয়া যায় না। আমার কাছে এই ফলগুলোর মধ্যে আম সবচেয়ে বেশি প্রিয়। আম খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমি সব সময় গ্রীষ্মকালের অপেক্ষায় বসে থাকি। কখন আমের সময় আসবে আর আম খাব। কাঁচা ও পাকা দুটো আম আমার অনেক ভালো লাগে।
আমার কাছে গ্রীষ্মকাল তেমন বেশি ভালো লাগে না। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বসন্তকাল। এই সময় বেশি শীত বা বেশি গরম থাকে না। যেদিকে তাকাই শুধু ফুল আর ফুল। আমার কাছে বসন্তকাল অনেক ভালো লাগে। গ্রীষ্মকাল নিয়ে আজ আর লিখবো না এখানেই আমার এই ঋতু নিয়ে লেখা শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন ঋতু কথা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
Twitter Share
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1515608795581652993?s=20&t=G3UfZpaNhiP-r9mXy6iX6g
গৃষ্ম কালীন সময়ে খারাপ ও ভালো লাগার দিকগুলো নিয়ে অনেক কথায় আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। যেগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনার মতামত সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গৃষ্ম কাল কে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছে আমাদের মাঝে। গৃষ্ম কাল এর যাবতীয় বিষয়ে খুটিনাটি দিকগুলো উপস্থাপন করেছেন আপনার সুদক্ষ তা দ্বারা। এত সুন্দর হবে একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি খুব চমৎকার করে গ্রীষ্মকালের ভালোলাগা ও খারাপ লাগা দিকগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। গ্রীষ্মকালের শুরুতে আবহাওয়া এমন শুষ্ক থাকে যে চারদিকে প্রচুর ধুলাবালি আবার পরক্ষণেই প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে চারিদিকটা কর্দমাক্ত। কিন্তু তারপরেও গ্রীষ্মকালে এমন একটি মাস আছে যে মাসটিকে আমরা মধুময় মাস বলি। এই মাসে আমাদের দেশে প্রচুর ফুলের সমারোহ দেখা দেয়। আর মধুমাসের সেই ফলগুলি অনেক সুমিষ্ট বটে। গ্রীষ্মকালের ভালোলাগা খারাপ লাগা দিকগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্ট পড়ে আপনার মনের ভাব খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শীতকাল আমার তেমন ভালো লাগে না।দিন ছোট বলে।গরম হলেও গ্রীষ্ম কালেই ভালো লাগে।তাছাড়া আম ও লিচু খেতে দারুন লাগে।যাই হোক খুব ভালো লিখেছেন।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে বসন্তকাল সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভালোলাগা এবং মন্দ লাগা দুটো রয়েছে গ্রীষ্মকালের পুরোটা জুড়ে। গ্রীষ্মকালে অত্যাধিক গরম হওয়ার কারণে বাহিরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবে এ সময়ে গাছে নানান ধরনের ফল ফলাদি জন্মে। যা এই ঋতুর ভালো দিক। সুন্দর ভাবে সব কিছু তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম ভাইয়া শুধু অনেক ধরনের ফল খেতে পারি বলে আমার কাছে গ্ৰীষ্মকাল ভালো লাগে। তাছাড়া বসন্তকাল সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।