মানুষ কতটা নিচু মনের হয় | ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাঁককে
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আমি আজ আপনাদের সাথে একদম সত্য এক ঘটনা শেয়ার করতে এসেছি। এই কাহিনী আমার চাচাতো বোনের সাথে হয়েছিল। মানুষ কতটা নিচু মনের হয় সেই দিন আমরা বুঝতে পেরেছি। আমরা সবাই তখন খুব ছোট ছিলাম। আমার বোনের নাম নাজমা সে আমার কয়েক বছরের ছোট। আমরা ছোট থাকতেই তার বাবা বিদেশে চলে যায়। আমরা সবাই একসাথে সারাদিন খেলাধুলা করতাম।
সেই সময়টা আমাদের খুবই ভালো ছিল। নাজমার চার বোন ও দুই ভাই ছিল। তার বাবা প্রায় সময় বিদেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস পাঠাতো। গ্রামের সবাই জানে তার বাবা বিদেশে থাকে। একবছর পর তার বাবা তাদের চার বোনের জন্য কিছু কসমেটিক পাঠায় কিন্তু সেগুলো সোনার ছিলনা। সাধারণ গয়না দেখে ভালো লেগেছিল বলে তাদের জন্য পাঠায়। কিন্তু প্রতিটি গয়না দেখতে চকচক করে বলে সবাই ভেবেছিল সোনার জিনিস। পরে তার বাবা ফোন দিয়ে বললো এগুলো পাথরের তৈরি বলে এত সুন্দর দেখাচ্ছে।
বাড়ির কিছু মানুষ ছাড়া সবাই জানতো এগুলো সোনার জিনিস আর এই জিনিসই একসময় তাদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ালো। একদিন বিকাল বেলা আমরা চাচাতো ভাইবোনের মিলে বাড়ি থেকে একটু দূরে মেইন রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তখন নাজমা সেই গয়না পড়ে নিয়েছিল। কিন্তু আমরা কেউ জানতাম না সেই দিন ওর সাথে এত বড় এক ঘটনা ঘটতে চলেছে। কথায় আছে বিপদ কার কখন কিভাবে আসে বলা যায় না।
আমরা সবাই অনেক দুষ্ট ছিলাম। খুব ছোট ছিলাম বলে তেমন বেশি বুঝতাম না। একটা বাইক গেলে সাথে আমরা ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য রাস্তায় নাক লাগিয়ে শুয়ে থাকতাম। কতক্ষণ আমরা এভাবেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে মজা করলাম। এরপর একটি রিকশা আসাতে আমরা সবাই মিলে সেই রিকশার পেছনে উঠে পড়ি। আমাদের সাথে নাজমাও ওঠে। আমরা অনেক মজা পাচ্ছিলাম হঠাৎ করে একটি ছেলে সাইকেলে করে এসে নাজমার গলায় থাকা গয়না টান দিয়ে নিয়ে যায়।
যেই না গয়নায় টান দেয় সাথে সাথে নাজমা রিকশার পিছন থেকে রাস্তায় পড়ে যায়। আমরা সবাই রিকশা থেকে নেমে চোরের পিছনে দৌড়াতে থাকি। কিন্তু আমরা ধরতে পারিনি তবে চোরকে চিনতে পেরেছি। তারপর নাজমাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। রাস্তা পাকা হওয়াতে তার সম্পূর্ণ শরীর ছুলে গিয়েছে। আগুনে পুড়ে গেলে যেমন হয় ঠিক তেমন হয়েছিল। এর কিছু দিন পর আবার শীতকাল শুরু হয়েছিল তারজন্য ওর কষ্ট দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল।
নাজমার মা সেই চোরের বাড়িতে গিয়ে তার বিচার করে আসে। এই ঘটনার পর থেকে আমরা বাড়ি থেকে আর বেশি দূরে খেলতে যেতাম না। এরপর নাজমাও আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে ওঠে। ঐ ছেলেটা কিন্তু তেমন গরীব ছিল না তবে মানুষের লোভের জন্য কতটা নিচে নামতে পারে। যাই হোক আমার কথাগুলো এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট পড়ে ভালো লাগবে। যদি আমার পোস্টে কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

আসলে অনেক সময় অন্যের লোভের কারণে আমরা বিপদে পড়ে যাই। আপনার চাচাতো বোন নাজমার সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা সত্যি অনেক লজ্জাজনক। আসলে সেই ছেলেটি ভেবেছিল এটা আসলে সোনার গহনা। তাইতো ছিনিয়ে নিয়েছে। তার এই কাজের জন্য মেয়েটির যে মারাত্মক ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তা সেই ছেলেটা ভেবে দেখেনি। আসলে এসব মানুষের নিচু মানসিকতা দেখলে সত্যিই খারাপ লাগে।
আপু অল্পের জন্য মেয়েটি বেঁচে গিয়েছিল কারণ পিছনেই ট্রাক চলে এসেছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাহিনীটি পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে আপু ঠিক বলেছেন মানুষ লোভে যে কত কিছু করতে পারে তার কোন ঠিক নাই। তাই সামান্য এই গহনার উপর থেকেও লোভ সামলাতে পারেন সোনার গহনা ভেবে এভাবে টান দিল। এবং নাজমা খুব ব্যথা পেয়েছে শুনে খুব খারাপ লাগলো। কাহিনীটি পড়ে আসলে মনে হল যে মানুষ কত নিচু মনের হতে পারে।
আপু অনেক সময় তারা তাদের এই লোভের জন্যই ধ্বংস হয়ে যায়। গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ঘটনাটি পড়ে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলে মানুষের জীবনে কখন দুর্ঘটনা চলে আসে তা বুঝতেও পারা যায় না ।আর কিছু লোভী মানুষের কারণে কিভাবে যে মানুষ বিপদে পড়ে এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ ছিল। লোভী মানুষটি চিন্তাও করে না তার জন্য অন্য মানুষকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে ।সত্যি ঘটনাটি পড়ে বেশ খারাপ লাগলো।
আপু সমাজে এমন কিছু নিচু মন-মানসিকতার মানুষ থাকে যাদের লোভের জন্য অন্য মানুষের বিপদে পড়তে হয়। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
কি আর বলব আপু আজ সকালেই আমাদের এলাকায় স্কুলের সামনে থেকে এক ছোট বাচ্চার গলা থেকে স্বর্ণের চেন নিয়ে গেছে।বাচ্চাটি এখনো মানসিক ট্রমা তে আছে।এদের লোভের হাত থেকে ছোট বাচ্চারাও রেহাই পায়না।ধন্যবাদ আপু সতর্কতা মূলক একটি পোস্ট লেখার জন্য।
ভাইয়া আমাদের স্কুলে এসব জিনিস পড়ে যাওয়া একদম নিষেধ ছিল। কারণ কখন কিভাবে বিপদ আসে বলা যায় না। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
গল্পটি পড়ে আপু অনেক খারাপ লাগলো আসলেই। মানুষ যে দিন দিন কত নিচু হয়ে যাচ্ছে যে এটার বাস্তব প্রমাণ আপনার পোস্টে প্রকাশ করেছেন।সোনার অলংকার ভেবে পান দেওয়ায় মেয়েটির অনেক কষ্ট হয়েছে।এটা আসলেই কষ্টৈর ছিল। এসকল লোভী মানুষের জন্য আমাদের সমাজে এত সমস্যা।
হ্যাঁ আপু এই ধরনের মানুষের লোভের জন্য সমাজে অনেক মানুষেরই সমস্যা হয়। তবে অনেক সময় তাদের শাস্তি দিলেও তা ভুলে যায়। ধন্যবাদ।
আসলে সবকিছুই মানুষের মানুষিকতার ব্যাপার। গরীব হলেই যে মানুষ চোর হয় এমনটা মোটেও না।তবে কপাল ভালো যে নাজমার বড়ো ধরনের কোনো ক্ষতি হয় নি।
ভাইয়া আমরা নাজমার অবস্থা দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে পরে দেখলাম যে অনেক বড় একটা বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে। ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।